Ajker Patrika

হেমিংওয়ের লেখা যে চিঠি বিক্রি হলো ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায়

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩: ০১
হেমিংওয়ের লেখা যে চিঠি বিক্রি হলো ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায়

সেই চিঠিতে বিশ্বখ্যাত ঔপন্যাসিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে লিখেছিলেন, ‘অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে আমি অনেক ক্লান্ত।’ আরও লিখেন, ‘ভালো ছেলে হয়ে গেছি এবং বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করছি।’

 ১৯৫৪ সালে পূর্ব আফ্রিকা থেকে নিজের আইনজীবী আলফ্রেড রাইসকে হেমিংওয়ের লেখা চার পৃষ্ঠার সেই চিঠিটি ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫ ডলারে বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি টাকা।

মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক একটি নিলাম হাউসে নিলাম শুরুর আগে চিঠিটির ভিত্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯ হাজার ২৫০ ডলার। পরে মাত্র ১২টি ডাকের মাধ্যমেই চিঠিটির মূল্য ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫ ডলারে পৌঁছায়। তবে এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কে বা কারা চিঠিটি কিনে নিয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেমিংওয়ে যে সময়ে চিঠিটি লিখেছিলেন সে সময় তাঁর বয়স ছিল ৫৫ বছর। পূর্ব আফ্রিকার দেশ কঙ্গো, কেনিয়া ও রুয়ান্ডা ভ্রমণ করছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার চতুর্থ স্ত্রী ও আমেরিকান সাংবাদিক মেরি ওয়েলশ হেমিংওয়ে। চিঠিটি লেখার আগে মাত্র দুদিনের ব্যবধানে বিশ্বখ্যাত ওই দম্পতি পরপর দুটি বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রথম দুর্ঘটনার চেয়ে দ্বিতীয়টি ছিল অনেক বেশি মারাত্মক, যার প্রভাব বাকি জীবন বহন করেছিলেন হেমিংওয়ে।

প্রথম ঘটনায় হেমিংওয়ে দম্পতিকে বহন করা বিমানটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে কেনিয়ার কুমির অধ্যুষিত নাইল নদে ডুবে গিয়েছিল। পরে পর্যটকদের একটি লঞ্চ তাঁদেরকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। ১৯৫৪ সালে লুক ম্যাগাজিনে হেমিংওয়ের লেখা একটি স্মৃতিচারণায় এ বিষয়টি উঠে এসেছিল। 

দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটির বিষয়ে ২০১৭ সালে হেমিংওয়েকে নিয়ে বই লেখা ড. অ্যান্ড্রু ফারাহ জানিয়েছিলেন, বিমানের পাইলট সামনের জানালাটি লাথি দিয়ে ভেঙে তিনিসহ বাকি যাত্রীদের জীবন বাঁচিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে অ্যান্ড্রু ফারাহ জানিয়েছিলেন, ভাঙা জানালা দিয়ে মেরিকে খুব সহজেই বাইরে বের করা সম্ভব হলেও ওই জানালাটির তুলনায় হেমিংওয়ের শরীরটি ছিল দশাসই। এ ছাড়া আগের দুর্ঘটনায় হেমিংওয়ের কাঁধে তখনো দগদগে ক্ষত। এ অবস্থায়ই জানালা দিয়ে বের হতে গিয়ে তাঁর মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল। এই আঘাতের ফল হয়েছিল খুব খারাপ। এমনকি এর ফলে হেমিংওয়ের স্মৃতিশক্তিও অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছিল এবং মাথাব্যথা একটি স্থায়ী সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছিল।

হেমিংওয়ের স্মৃতিচিহ্ন কিংবা তাঁর আসল স্বাক্ষরযুক্ত চিঠি বা বইয়ের প্রথম সংস্করণ প্রায়ই নিলামে তোলা হয় এবং হাজার হাজার ডলারে বিক্রি হয়।

সর্বশেষ বিক্রি হওয়া চিঠিটি ১৯৫৪ সালের ১৭ এপ্রিল লিখেছিলেন হেমিংওয়ে। তবে ভুল করে চিঠিতে সালের জায়গায় ১৯৫৩ লিখেছিলেন হেমিংওয়ে। এ থেকেই বোঝা যায়, মাথায় আঘাতটি তাঁর স্বাভাবিক কাজকর্মেও প্রভাব ফেলেছিল। চিঠিতে আইনজীবী আলফ্রেড রাইসকে নিজের অবস্থা বর্ণনার পাশাপাশি হেমিংওয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁর অর্থের প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের বিপক্ষে সেমির আগেই ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

এলপি গ্যাস, তেল, আটাসহ বেশ কিছু পণ্যে ভ্যাট তুলে দিল এনবিআর

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: রিজার্ভ-ডেতেও সেমিফাইনাল না হলে হৃদয়বিদারক সমীকরণ

অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় যা বললেন জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত