অনলাইন ডেস্ক
আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টারি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ডানপন্থীদের উত্থানের আশঙ্কা করছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। অজানার প্রতি ভয়ের কারণে জনতুষ্টিবাদী ডানপন্থী দলগুলোকে ভোটাররা বেছে নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান খবরটি জানিয়েছে।
লে গ্র্যান্ড কন্টিনেন্ট ম্যাগাজিনের আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় জোসেপ বোরেল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো ইইউর নির্বাচনেও অনেক কিছুই নির্ধারিত হবে। ভীতির আশঙ্কা করছি আমি। ইউরোপীয়রা ভয় পাচ্ছে বলে তাদের ভোট নিয়ে আশঙ্কা আছে। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, অজানা এবং অনিশ্চয়তার ভয় একটি হরমোন তৈরি করে যা তৈরি করে নিরাপত্তাহীনতার বোধ। তখন মানুষ সে অনুযায়ীই প্রতিক্রিয়া দেখায়।’
এক বছরের মাথায় ইউক্রেন এবং গাজার দুটি যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন জোসেপ বোরেল। তিনি বলেন, উভয় সংঘাতই ইউরোপীয় ব্লকের ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলেছে। দ্রুত বড় ধরনের পরিবর্তন না হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের পরাজয়ের আশঙ্কা করছেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে যুদ্ধ থামানোর কোনো লক্ষণও তিনি দেখছেন না। এমনকি, পূর্ব ইউক্রেনকে ধরে রাখার জন্য কোনো চুক্তির মাধ্যমে সহিংসতা বন্ধেরও ইঙ্গিত নেই বলে মন্তব্য করেন জোসেপ বোরেল। তার মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাগ্যও সুতোয় ঝুলছে ইউক্রেন যুদ্ধের ফলাফলের ওপর।
জোসেপ বোরেলের মতে, ইউক্রেনের ছোট একটি অংশ জয় করে বাকিটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধীনে রাখার ধারণায় পুতিন সন্তুষ্ট হবেন না। তিনি বলেন, ‘পুতিন যুদ্ধ থামাবেন না, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে সেটার সম্ভাবনা নেই। দীর্ঘ সময় জুড়ে তীব্র মাত্রার যুদ্ধের জন্য তাই আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কী করতে পারি। আর আমরা কি আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু প্রয়োগ করব?’
তিনি বলেন, ‘প্রবল শক্তিশালী একটি পক্ষ থেকে আসা বিপদ সম্পর্কে ভাবার সময় হয়তো এখনই। কারণ সেই পক্ষটি কেবল ইউক্রেনের জন্যই হুমকি না, গণতন্ত্র ও সমগ্র ইউরোপের জন্যও হুমকি। এখনই যদি আমরা আমাদের সব শক্তি দিয়ে ঘটনার গতিপথ পাল্টে দিতে না পারি তবে পুতিনের জয় ঠেকানো যাবে না। একই সঙ্গে, গাজায় চলমান ধ্বংসযজ্ঞও আমরা থামাতে না পারলে ইইউর প্রকল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
গাজায় চলমান সংঘাত নিয়ে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান বলেন, হামাস কেবল একটি সামরিক বাহিনী নয়, একটি ধারণার নাম। তাই শুধু বোমা দিয়ে হামাস নির্মূল সম্ভব নয়। আরও ভালো ধারণাই পারে হামাসকে পরাজিত করতে।
ইউরোপ জুড়ে চলমান অভিবাসন ও জীবনমান নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই এসেছে বোরেলের এসব মন্তব্য। ডানপন্থী দলগুলোর উত্থানও দেখা যাচ্ছে ইউরোপে। সে প্রসঙ্গে জোসেপ বোরেল বলেন, ‘হুমকি ও আক্রমণের এক বিশ্বে আমরা বাস করছি। গণমাধ্যমে প্রতিদিনই আমরা কেবল ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র দেখি। এতে তৈরি হওয়া ভয় থেকে উৎসারিত হরমোনজনিত কর্মকাণ্ডের দিকেই ঝুঁকছে সবাই। যে দলগুলো মানুষের ভয় নিয়ে খেলতে পারে এবং ভালো প্রশ্নের খারাপ প্রতিক্রিয়া দিতে পারে—তারাই এখন ইউরোপীয় জনগণের সমর্থন আকর্ষণ করছে।’
তিনি স্বীকার করেছেন যে, উদ্বিগ্ন হওয়ার বাস্তব কারণ যেমন আছে, তেমনি আছে উপলব্ধিগত কারণ। যেসব রাজনৈতিক শক্তি কোনো পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট বিশ্লেষণ উপস্থাপন করতে পারে তাদের সমর্থন করার জন্য ভোটারদের অনুরোধ করেছেন জোসেপ বোরেল। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি তা করতে না পারি, তবে ইউরোপীয় নির্বাচনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মতোই বিপজ্জনক হবে।’
আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টারি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ডানপন্থীদের উত্থানের আশঙ্কা করছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। অজানার প্রতি ভয়ের কারণে জনতুষ্টিবাদী ডানপন্থী দলগুলোকে ভোটাররা বেছে নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান খবরটি জানিয়েছে।
লে গ্র্যান্ড কন্টিনেন্ট ম্যাগাজিনের আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় জোসেপ বোরেল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো ইইউর নির্বাচনেও অনেক কিছুই নির্ধারিত হবে। ভীতির আশঙ্কা করছি আমি। ইউরোপীয়রা ভয় পাচ্ছে বলে তাদের ভোট নিয়ে আশঙ্কা আছে। এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, অজানা এবং অনিশ্চয়তার ভয় একটি হরমোন তৈরি করে যা তৈরি করে নিরাপত্তাহীনতার বোধ। তখন মানুষ সে অনুযায়ীই প্রতিক্রিয়া দেখায়।’
এক বছরের মাথায় ইউক্রেন এবং গাজার দুটি যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করেছেন জোসেপ বোরেল। তিনি বলেন, উভয় সংঘাতই ইউরোপীয় ব্লকের ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলেছে। দ্রুত বড় ধরনের পরিবর্তন না হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের পরাজয়ের আশঙ্কা করছেন তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে যুদ্ধ থামানোর কোনো লক্ষণও তিনি দেখছেন না। এমনকি, পূর্ব ইউক্রেনকে ধরে রাখার জন্য কোনো চুক্তির মাধ্যমে সহিংসতা বন্ধেরও ইঙ্গিত নেই বলে মন্তব্য করেন জোসেপ বোরেল। তার মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভাগ্যও সুতোয় ঝুলছে ইউক্রেন যুদ্ধের ফলাফলের ওপর।
জোসেপ বোরেলের মতে, ইউক্রেনের ছোট একটি অংশ জয় করে বাকিটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধীনে রাখার ধারণায় পুতিন সন্তুষ্ট হবেন না। তিনি বলেন, ‘পুতিন যুদ্ধ থামাবেন না, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে সেটার সম্ভাবনা নেই। দীর্ঘ সময় জুড়ে তীব্র মাত্রার যুদ্ধের জন্য তাই আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কী করতে পারি। আর আমরা কি আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু প্রয়োগ করব?’
তিনি বলেন, ‘প্রবল শক্তিশালী একটি পক্ষ থেকে আসা বিপদ সম্পর্কে ভাবার সময় হয়তো এখনই। কারণ সেই পক্ষটি কেবল ইউক্রেনের জন্যই হুমকি না, গণতন্ত্র ও সমগ্র ইউরোপের জন্যও হুমকি। এখনই যদি আমরা আমাদের সব শক্তি দিয়ে ঘটনার গতিপথ পাল্টে দিতে না পারি তবে পুতিনের জয় ঠেকানো যাবে না। একই সঙ্গে, গাজায় চলমান ধ্বংসযজ্ঞও আমরা থামাতে না পারলে ইইউর প্রকল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
গাজায় চলমান সংঘাত নিয়ে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান বলেন, হামাস কেবল একটি সামরিক বাহিনী নয়, একটি ধারণার নাম। তাই শুধু বোমা দিয়ে হামাস নির্মূল সম্ভব নয়। আরও ভালো ধারণাই পারে হামাসকে পরাজিত করতে।
ইউরোপ জুড়ে চলমান অভিবাসন ও জীবনমান নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই এসেছে বোরেলের এসব মন্তব্য। ডানপন্থী দলগুলোর উত্থানও দেখা যাচ্ছে ইউরোপে। সে প্রসঙ্গে জোসেপ বোরেল বলেন, ‘হুমকি ও আক্রমণের এক বিশ্বে আমরা বাস করছি। গণমাধ্যমে প্রতিদিনই আমরা কেবল ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র দেখি। এতে তৈরি হওয়া ভয় থেকে উৎসারিত হরমোনজনিত কর্মকাণ্ডের দিকেই ঝুঁকছে সবাই। যে দলগুলো মানুষের ভয় নিয়ে খেলতে পারে এবং ভালো প্রশ্নের খারাপ প্রতিক্রিয়া দিতে পারে—তারাই এখন ইউরোপীয় জনগণের সমর্থন আকর্ষণ করছে।’
তিনি স্বীকার করেছেন যে, উদ্বিগ্ন হওয়ার বাস্তব কারণ যেমন আছে, তেমনি আছে উপলব্ধিগত কারণ। যেসব রাজনৈতিক শক্তি কোনো পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট বিশ্লেষণ উপস্থাপন করতে পারে তাদের সমর্থন করার জন্য ভোটারদের অনুরোধ করেছেন জোসেপ বোরেল। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি তা করতে না পারি, তবে ইউরোপীয় নির্বাচনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মতোই বিপজ্জনক হবে।’
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পরোয়ানা জারি করায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আয়ারল্যান্ডে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি প
১ ঘণ্টা আগেনিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) ‘মানবতার শত্রু’ বলে অবহিত করেছেন নেতানিয়াহু। হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, মানবতাকে রক্ষা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু আজ সেটি মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেলাওসের পর্যটন শহর ভাং ভিয়েং-এ সন্দেহজনক মিথানল বিষক্রিয়ায় আরও একজন অস্ট্রেলীয় তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিষাক্ত অ্যালকোহল সেবনে সেখানে ছয় বিদেশি পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২ ঘণ্টা আগেদখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই।
৩ ঘণ্টা আগে