ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা কমাবে যুক্তরাষ্ট্র 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৯: ২৫
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ১০: ১৮

আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা কমাবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি সহায়তা তহবিলের সংকট এবং আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চাপে থাকার কারণে বাইডেন প্রশাসন এই সহায়তা কমাতে পারে। এমনটাই বলা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে। 

দেড় বছর আগে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্র ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু মার্কিন প্রশাসনের সহায়তা তহবিলের অর্থ প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। এই অবস্থায় বাইডেন কংগ্রেসের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন আরও ৪ হাজার কোটি ডলার জরুরি ব্যয় বিল পাস করতে। কিন্তু বিলটি নিয়ে এখন পর্যন্ত রিপাবলিকান পার্টির তরফ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। 

এর আগে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল,ইউক্রেনকে দেওয়া ক্রমাগত সামরিক সহায়তা এবং ন্যাটোর অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে কিয়েভ হয়তো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারবে। কিন্তু বহুল আলোচিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করেও ইউক্রেন তেমন কোনো সাফল্য লাভ করতে পারেনি। বরং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ শুরু পর ৪৩ হাজার সেনা হারিয়েছে। 

ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাল্টা আক্রমণে সফলতা অর্জনের জন্য ইউক্রেনকে যথেষ্ট সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশটি তা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে অস্ত্র সহায়তা কমানোর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন হিসাবমতো ইউক্রেনে পর্যাপ্ত পরিমাণ সমরাস্ত্র পাঠানো হয়েছিল, যা পাল্টা আক্রমণ ক্যাম্পেইনের জন্য যথেষ্ট ছিল। তবে ২০২৪ সালে হয়তো এই পরিমাণ একই থাকবে না।’ 

এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী বছর রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চাপ দিতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনটাই আশঙ্কা করছেন ইউরোপের দেশগুলোর কর্মকর্তারা। 

ইউক্রেন রণক্ষেত্রে খুব একটা অগ্রগতি অর্জন করতে না পারায় ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতারা যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। এ ছাড়া তাঁরা আরও একটি বিষয় নিয়ে শঙ্কিত। সেটি হলো, যুক্তরাষ্ট্রে বিরোধী দল ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাইডেন প্রশাসনকে ইউক্রেনে হস্তক্ষেপ থেকে পিছু হটতে বাধ্য করতে পারে। এসব কারণে বাইডেন কিয়েভকে আলোচনার টেবিলে বসার জন্য চাপ দিতে পারেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত