অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি রাশিয়ার শীর্ষ ইসলামিক কর্তৃপক্ষ বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বহুবিবাহের অনুমতি দিয়ে একটি ফতোয়া জারি করেছিল। তবে রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস থেকে আসা আপত্তির পর এই ফতোয়া প্রত্যাহার করা হয়েছে। রুশ সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ান উলামা পরিষদের সহকারী পরিচালক মুফতি ইলদার আলিয়াউদিনভ ঘোষণা করেছিলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় পুরুষেরা ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী একাধিক বিয়ে করতে পারেন। বিশেষ করে যখন, প্রথম স্ত্রী সন্তান ধারণে অক্ষম হন বা সন্তান নিতে অনিচ্ছুক হন। তবে এই ধরনের বিবাহের জন্য স্বামীকে সব স্ত্রীর প্রতি সমান আর্থিক সহায়তা, পৃথক বাসস্থান প্রদান এবং সমান সময় ব্যয় করতে হবে। এ ছাড়া, স্বামীকে তার প্রথম স্ত্রীকে নতুন বিবাহ সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
মুফতি ইলদার আলিয়াউদিনভ বলেন, ‘শুধু ধর্মীয় বিবাহে থাকা নারীদের অধিকার আইনত সুরক্ষিত নয়। তবে আমাদের ফতোয়া তাদের অধিকার সংরক্ষণে সহায়তা করবে।’
রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস জানায়, এই ফতোয়া রাশিয়ার আইন ও ‘ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধের’ পরিপন্থী। তাদের আনুষ্ঠানিক নোটিশের পর, উলামা কাউন্সিল ফতোয়াটি প্রত্যাহার করে। ফতোয়াটি প্রত্যাহারের পর উলামা পরিষদের প্রধান ইমাম শামিল আলিয়াউদিনভ টেলিগ্রামে লেখেন, ‘এটি আল্লাহর ইচ্ছা। আমরা এ নিয়ে তর্কে যেতে চাই না।’
রাশিয়ার পারিবিরিক আইন অনুযায়ী, বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। যদিও কিছু মুসলিম-প্রধান অঞ্চলে এটি প্রচলিত, তবে আইনত স্বীকৃত নয়।
ফতোয়ার আওতায় ধর্মীয় বিবাহের মাধ্যমে নারীদের সম্পর্ক স্বীকৃত হতে পারে, তবে এটি তাদের আইনি অধিকার সুরক্ষিত করে না। সমালোচকদের মতে, এই ধরনের বিবাহ নারীদের আর্থিক ও সামাজিক ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এই সিদ্ধান্ত এমন একটি সময়ে এসেছে যখন রাশিয়া জনসংখ্যা হ্রাসের সংকট মোকাবিলায় কাজ করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশটিতে জনসংখ্যা সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার বড় পরিবার গঠনে আর্থিক প্রণোদনা ও গর্ভপাত বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চও এই প্রচারণাগুলোতে সক্রিয় সমর্থন দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ইংগুশেতিয়ার প্রেসিডেন্ট রুসলান আউশেভ বহুবিবাহের অনুমতি দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে রাশিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় এটিকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন।
সম্প্রতি রাশিয়ার শীর্ষ ইসলামিক কর্তৃপক্ষ বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় বহুবিবাহের অনুমতি দিয়ে একটি ফতোয়া জারি করেছিল। তবে রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস থেকে আসা আপত্তির পর এই ফতোয়া প্রত্যাহার করা হয়েছে। রুশ সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ান উলামা পরিষদের সহকারী পরিচালক মুফতি ইলদার আলিয়াউদিনভ ঘোষণা করেছিলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় পুরুষেরা ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী একাধিক বিয়ে করতে পারেন। বিশেষ করে যখন, প্রথম স্ত্রী সন্তান ধারণে অক্ষম হন বা সন্তান নিতে অনিচ্ছুক হন। তবে এই ধরনের বিবাহের জন্য স্বামীকে সব স্ত্রীর প্রতি সমান আর্থিক সহায়তা, পৃথক বাসস্থান প্রদান এবং সমান সময় ব্যয় করতে হবে। এ ছাড়া, স্বামীকে তার প্রথম স্ত্রীকে নতুন বিবাহ সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
মুফতি ইলদার আলিয়াউদিনভ বলেন, ‘শুধু ধর্মীয় বিবাহে থাকা নারীদের অধিকার আইনত সুরক্ষিত নয়। তবে আমাদের ফতোয়া তাদের অধিকার সংরক্ষণে সহায়তা করবে।’
রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস জানায়, এই ফতোয়া রাশিয়ার আইন ও ‘ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধের’ পরিপন্থী। তাদের আনুষ্ঠানিক নোটিশের পর, উলামা কাউন্সিল ফতোয়াটি প্রত্যাহার করে। ফতোয়াটি প্রত্যাহারের পর উলামা পরিষদের প্রধান ইমাম শামিল আলিয়াউদিনভ টেলিগ্রামে লেখেন, ‘এটি আল্লাহর ইচ্ছা। আমরা এ নিয়ে তর্কে যেতে চাই না।’
রাশিয়ার পারিবিরিক আইন অনুযায়ী, বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। যদিও কিছু মুসলিম-প্রধান অঞ্চলে এটি প্রচলিত, তবে আইনত স্বীকৃত নয়।
ফতোয়ার আওতায় ধর্মীয় বিবাহের মাধ্যমে নারীদের সম্পর্ক স্বীকৃত হতে পারে, তবে এটি তাদের আইনি অধিকার সুরক্ষিত করে না। সমালোচকদের মতে, এই ধরনের বিবাহ নারীদের আর্থিক ও সামাজিক ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এই সিদ্ধান্ত এমন একটি সময়ে এসেছে যখন রাশিয়া জনসংখ্যা হ্রাসের সংকট মোকাবিলায় কাজ করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশটিতে জনসংখ্যা সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার বড় পরিবার গঠনে আর্থিক প্রণোদনা ও গর্ভপাত বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চও এই প্রচারণাগুলোতে সক্রিয় সমর্থন দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ইংগুশেতিয়ার প্রেসিডেন্ট রুসলান আউশেভ বহুবিবাহের অনুমতি দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে রাশিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় এটিকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিশ্ব বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরই সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। ট্রাম্পের ব্যক্তিত্ব ও তাঁর আগের মেয়াদের শাসন নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
৮ ঘণ্টা আগেচীনের গ্রেট ওয়াল তার ২ হাজার বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাসে বহু ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো সার্বিয়ান শিল্পী মারিনা আব্রামোভিচ এবং জার্মান শিল্পী উলের মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা।
৯ ঘণ্টা আগেভারতের স্থানীয় একটি আদালত সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) দলের প্রধান ও লোকসভার সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সংসদে ‘ফিলিস্তিনপন্থী’ স্লোগান দেওয়ায় সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে এনে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
১০ ঘণ্টা আগেহায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) বিদ্রোহীদের দ্বারা আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় ফিরে গেছেন ২৫ হাজার সিরীয়। আজ মঙ্গলবার তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে এ কথা জানান।
১০ ঘণ্টা আগে