কসোভোতে বিক্ষোভ থামাতে আরও ৭০০ সেনা মোতায়েন ন্যাটোর

ডয়চে ভেলে
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩, ১৬: ১১
আপডেট : ৩১ মে ২০২৩, ১৬: ২৭

কসোভোর সার্বীয় অধ্যুষিত অঞ্চলে বিক্ষোভ থামাতে আরও ৭০০ সেনা মোতায়েন করেছে ন্যাটো। প্রয়োজনে আরও সেনা যেন মোতায়েন করা যায়, তার জন্য রিজার্ভ ফোর্সকে প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ন্যাটোর নতুন সেনারা ইতিমধ্যে কসোভোতে পৌঁছে গেছেন। এদিকে নিজেদের দাবি অনড় রয়েছে সার্বীয়রা। তাই আগামী কয়েক দিনে উত্তেজনা কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে আলবেনিয়ান গোষ্ঠীর মেয়র নির্বাচিত হওয়া নিয়ে শুরু হওয়া সংঘর্ষে সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিনে ন্যাটোর অন্তত ৩০ জন সেনা আহত হয়েছেন। এরপরই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

কসোভোর যে অঞ্চলে বিক্ষোভ চলছে, সেটি সার্বিয়া সীমান্তের কাছে। দেশটির ৯০ শতাংশ অধিবাসী আলবেনিয়ান হলেও ওই অঞ্চলটি সার্বীয় অধ্যুষিত। ২০১৩ সাল থেকে ওই অঞ্চলে নিজেরদের জন্য আলাদা পৌরসভা গঠনের দাবি করছে সার্বীয়রা। সেই দাবি কোনোভাবেই মানতে রাজি নন কসোভোর প্রধানমন্ত্রী আলবিন কুর্তি। তিনি মনে করেন, সার্বীয়দের জন্য আলাদা পৌরসভা গঠন করলে কসোভো কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে।

এরই প্রতিবাদে গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত পৌরসভার ভোট বয়কট করেন সার্বীয়রা। তাই ওই নির্বাচনে মাত্র সাড়ে তিন শতাংশ ভোট পড়ে। আর সেই ভোট পেয়ে ওই অঞ্চলের পৌরসভাগুলোতে মেয়র নির্বাচিত হন আলবেনিয়ানরা। গত সোমবার মেয়ররা পৌরসভায় বসতে গেলেই বিক্ষোভ শুরু করে সার্বীয়রা। সেই বিক্ষোভ ঠেকাতে মাঠে নামে স্থানীয় পুলিশ ও ন্যাটোর সেনারা। কসোভোতে ন্যাটোর সেনারা কসোভো ফোর্স বা সংক্ষেপে কেফোর্স বলে পরিচিত।

সোমবার সার্বীয় অধ্যুষিত এলাকায় প্রথমে স্থানীয় পুলিশ এবং পরে কেফোর্সের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তীব্র সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভ দমনে পুলিশ কাঁদানে ও গ্রেনেড ছুড়েছে। এরপর সার্বীয়রাও পাল্টা আক্রমণ করে। সেই সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন কেফোর্সের জওয়ান আহত হয়েছেন। পাশাপাশি ৫২ জন বিক্ষোভকারীও আহত হয়েছেন।

এখন প্রতিটি পৌরসভা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দিয়েছে কেফোর্সের সদস্যরা। মেয়রদেরও নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাঁটাতারের বাইরে দাঁড়িয়েই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সার্বীয়রা।

এ দিকে সার্বীয়দের বয়কটের পরও এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়া পৌরসভা নির্বাচনকে ‘অন্যায়’ বলে অভিহিত করেছেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার ভুসিক। তিনি সার্বীয়দের দাবি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত