টিকটকে টিকা নিয়ে গুজবের বিরুদ্ধে লড়ছেন অক্সফোর্ড পড়ুয়া এক বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২১, ১৫: ১৬
আপডেট : ১৩ জুন ২০২১, ১৯: ৩৫

ঢাকা : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলা ভাষায় ভিডিও পোস্ট করে কোভিডের টিকা নিয়ে নানা গুজবের বিরুদ্ধে লড়ছেন এক তরুণ চিকিৎসক। সহকর্মীদের কাছ থেকে করোনার টিকা নিয়ে যেসব শঙ্কার কথা শুনছেন, সেগুলোর জবাবই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেন তিনি। জনপ্রিয় এই মানুষটির নাম ডা. তাসনিম জারা। তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী। ২৬ বছর বয়সী জারা যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতেও (এনএইচএস) কর্মরত।

ডা. তাসনিম জারার ভিডিওগুলো ২৮ কোটিরও বেশিবার দেখা হয়েছে। ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকে তাঁর অনুসারী ১৬ লাখ।

করোনা মহামারিতে সম্মুখসারির কর্মী হিসেবে তাসনিম জারা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মিত রোগীদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেন।

এ নিয়ে তাসনিম জারা ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড অক্সফোর্ড মেইলকে বলেন, আমি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা করছি। আমার বেশির ভাগ অনুসারী ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী।

তাসনিম আরও বলেন, আমি করোনার টিকাবিরোধী অনেককেই ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী করতে পেরেছি। এদের মধ্যে অনেকেই যুবক। তাঁরা আমাকে টিকা প্রয়োগের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, গণপরীক্ষার অংশ হিসেবেই টিকা দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, টিকার কারণে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে। অনেকেই আবার মনে করেন, টিকা নিলে প্রজননক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। কোভিডের টিকা নিয়ে এ রকম আরও অনেক গুজব রয়েছে, যেগুলো আমাদের প্রতিরোধ করা উচিত।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে যাঁদের ভাষা ইংরেজি নয় তাঁরা বেশি টিকা নিয়েছেন। দপ্তরটির আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডে শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে বাংলাদেশিদের করোনায় মৃত্যুর হার কম।

ডা. তাসনিম জারা বিজ্ঞানী, চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অনুপ্রেরণামূলক গ্রুপ ‘টিম হ্যালো’র সদস্য। এই গ্রুপের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করোনার টিকা নিয়ে বিভিন্ন গুজব খণ্ডন করে যাচ্ছেন।

এ নিয়ে ডা. তাসনিম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দিয়ে প্রাথমিকভাবে গুজবগুলো ছড়ায়। সুতরাং ওই একই প্ল্যাটফর্ম দিয়ে বিশ্বস্ত তথ্য ছড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত