ভারতে ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণের বিষয়ে যা বললেন অমর্ত্য সেন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৮: ০২
Thumbnail image

ভারতে গণমাধ্যমকর্মী, লেখক ও অধিকারকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিনা বিচারে বন্দী করে রাখাসহ নানা বিষয়ে মুখ খুলেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনসহ বিপুলসংখ্যক লেখক, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী। তাঁরা বিনা বিচারে বন্দী করে রাখার বিরুদ্ধে এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে পৃথক এক বিবৃতিও দিয়েছেন অমর্ত্য সেন। সেই বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতীয়দের প্রায়ই বিনা বিচারে গ্রেপ্তার করে কারারুদ্ধ করা হতো। অনেককেই দীর্ঘ সময়ের জন্য কারাগারে রাখা হতো...।’ 

নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘একজন যুবক হিসেবে, সে সময় আমি আশা করেছিলাম যে ঔপনিবেশিক ভারত স্বাধীন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অন্যায় ব্যবস্থা বন্ধ হবে। কিন্তু আফসোস, তা ঘটেনি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিনা বিচারে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখার অসমর্থক প্রথা মুক্ত ও গণতান্ত্রিক ভারতে এখনো অব্যাহত।’ 
 
পৃথক বিবৃতিতে অমর্ত্য সেন ছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন লেখক অমিতাভ ঘোষ, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ওয়েন্ডি ব্রাউন ও জ্যান ওয়ার্নার-মুলার, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলের জুডিথ বাটলার, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, শেলডন পোলক, জোনাথন কোল, ক্যারল রোভান ও আকিল বিলগ্রামি।

এ ছাড়া, শিকাগো ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্থা সি. নুসবাউম, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টিভেন লুকস, ইয়েল ইউনিভার্সিটির ডেভিড ব্রমউইচ, ‘টমাস জেফারসন স্কুল অব ল’-এর অধ্যাপক মার্জোরি কোহেন, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির জ্যানেট গ্যাতসো, মন্ট্রিল ইউনিভার্সিটির চার্লস টেলর ও জেরুজালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটির ডেভিড শুলম্যান। 

এদিকে, পৃথক এক উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা রিপোর্টার্স সানস ফ্রন্টিয়ারস বা আরএসএফ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দিল্লি পুলিশের চার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ জানিয়েছে। সংস্থাটি এই চারজনকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে স্বাধীন গণমাধ্যম নিউজক্লিকের সঙ্গে কাজ করা বা সহযোগিতা করা কয়েক ডজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ এনেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত