অনলাইন ডেস্ক
ভারতের কেরালায় গতকাল মঙ্গলবার ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৩ জনে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে কমপক্ষে ২৫০ জনকে। রাজ্যের চার জেলা ওয়েনাদ, কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম ও কান্নুরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফ, কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি কোর এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারযোগে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে ওয়েনাদের মেপ্পাদি, মুন্দাকাল টাউন ও চুরালমালায় তিন দফা ভূমিধস হয়। সেতু ধসে পড়ায় ও সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়কপথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে অঞ্চলটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিকূল যোগাযোগব্যবস্থা ছাড়াও ভারী বর্ষণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছাতে একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রথম ভূমিধসটি হয় মুণ্ডাক্কাই শহরে। তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। সেখানে উদ্ধার তৎপরতার মধ্যেই ভোর ৪টা নাগাদ চুরালমালায় একটি স্কুলের কাছে দ্বিতীয় দফায় ভূমিধস হয়। স্কুলটিকে একটি অস্থায়ী আশ্রয়শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ভূমিধসে পুরো এলাকার সব দোকানপাট, বাড়িঘর পানি ও কাদায় ভরে যায়। এর মধ্যে একটি সেতু ভেঙে পড়ায় অঞ্চলটিতে প্রায় ৪০০ পরিবার আটকা পড়েছে।
কেরালার বনমন্ত্রী একে শশীন্দ্রন আরও এক মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করছেন। আরও একাধিক মন্ত্রীকে উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এ কে শশীন্দ্রন বিবিসিকে বলেন, ভূমিধসে ঠিক কতজন আটকা পড়েছে, এ মুহূর্তে তা বলা মুশকিল।
কেরালাভিত্তিক নিউজ পোর্টাল ওয়ানমনোরমা জানিয়েছে, মুণ্ডাক্কাই এলাকার চা, কফি ও এলাচিবাগানগুলোতে বহু পরিযায়ী শ্রমিক আটকা পড়েছেন। এই শ্রমিকেরা মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম থেকে সেখানে কাজ করতে গিয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কাঁচা রাস্তা ও বনাঞ্চল দিয়ে কাদাপানি ঢুকে পড়ছে। ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে এবং মানুষ ও যানবাহন আটকে পড়েছে। চুরালমালা থেকে মুণ্ডাক্কাই এবং আট্টামালার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় ওই দুটি এলাকা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে আটকে পড়া পরিবারগুলোর কাছে উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ পাদিক্কাল পারাম্বান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মধ্যরাতের দিকে অন্তত তিনটি ভূমিধস হয়। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা রাঘবন সি অরুণামালা ওই এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া একজনকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুনতে পাই। উদ্ধারকর্মীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।’
কয়েক দিন ধরে কেরালার বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য জেলা ওয়েনাডে এমনিতেই বর্ষা মৌসুমে ভূমিধসের ঝুঁকি থাকে। আগেও এমন ঘটনার নজির রয়েছে। গতকাল ভূমিধসের পর কেরালার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ সাধারণ মানুষকে ভূমিধসপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
ভূমিধসে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিধসে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য ও উদ্ধার অভিযানের সাফল্য কামনা করেছেন।
ভারতের কেরালায় গতকাল মঙ্গলবার ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৩ জনে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে কমপক্ষে ২৫০ জনকে। রাজ্যের চার জেলা ওয়েনাদ, কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম ও কান্নুরে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া বিভাগ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এনডিআরএফ, কান্নুর ডিফেন্স সিকিউরিটি কোর এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারযোগে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে ওয়েনাদের মেপ্পাদি, মুন্দাকাল টাউন ও চুরালমালায় তিন দফা ভূমিধস হয়। সেতু ধসে পড়ায় ও সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়কপথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে অঞ্চলটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিকূল যোগাযোগব্যবস্থা ছাড়াও ভারী বর্ষণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, উপদ্রুত এলাকায় পৌঁছাতে একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে প্রথম ভূমিধসটি হয় মুণ্ডাক্কাই শহরে। তখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। সেখানে উদ্ধার তৎপরতার মধ্যেই ভোর ৪টা নাগাদ চুরালমালায় একটি স্কুলের কাছে দ্বিতীয় দফায় ভূমিধস হয়। স্কুলটিকে একটি অস্থায়ী আশ্রয়শিবির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ভূমিধসে পুরো এলাকার সব দোকানপাট, বাড়িঘর পানি ও কাদায় ভরে যায়। এর মধ্যে একটি সেতু ভেঙে পড়ায় অঞ্চলটিতে প্রায় ৪০০ পরিবার আটকা পড়েছে।
কেরালার বনমন্ত্রী একে শশীন্দ্রন আরও এক মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করছেন। আরও একাধিক মন্ত্রীকে উপদ্রুত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এ কে শশীন্দ্রন বিবিসিকে বলেন, ভূমিধসে ঠিক কতজন আটকা পড়েছে, এ মুহূর্তে তা বলা মুশকিল।
কেরালাভিত্তিক নিউজ পোর্টাল ওয়ানমনোরমা জানিয়েছে, মুণ্ডাক্কাই এলাকার চা, কফি ও এলাচিবাগানগুলোতে বহু পরিযায়ী শ্রমিক আটকা পড়েছেন। এই শ্রমিকেরা মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম থেকে সেখানে কাজ করতে গিয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কাঁচা রাস্তা ও বনাঞ্চল দিয়ে কাদাপানি ঢুকে পড়ছে। ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে এবং মানুষ ও যানবাহন আটকে পড়েছে। চুরালমালা থেকে মুণ্ডাক্কাই এবং আট্টামালার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় ওই দুটি এলাকা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে আটকে পড়া পরিবারগুলোর কাছে উদ্ধারকর্মীদের পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ পাদিক্কাল পারাম্বান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মধ্যরাতের দিকে অন্তত তিনটি ভূমিধস হয়। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা রাঘবন সি অরুণামালা ওই এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দৃশ্যের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া একজনকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুনতে পাই। উদ্ধারকর্মীরা কয়েক ঘণ্টা ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন।’
কয়েক দিন ধরে কেরালার বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য জেলা ওয়েনাডে এমনিতেই বর্ষা মৌসুমে ভূমিধসের ঝুঁকি থাকে। আগেও এমন ঘটনার নজির রয়েছে। গতকাল ভূমিধসের পর কেরালার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ সাধারণ মানুষকে ভূমিধসপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
ভূমিধসে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভূমিধসে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য ও উদ্ধার অভিযানের সাফল্য কামনা করেছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা গ্রেপ্তার স্থানীয় পুলিশ স্বেচ্ছাসেবী সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন আদালত। আগামী সোমবার তাঁর সাজা ঘোষণা করা হবে। আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
২১ মিনিট আগেগাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি আগামীকাল রোববার গাজার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কাতার। আজ শনিবার সকালে ছয় ঘণ্টা বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা চুক্তি অনুমোদন করে। এর মধ্য দিয়ে টানা ১৫ মাস চলা এ যুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিরতি আসতে চলেছে। কাতারের সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ
১ ঘণ্টা আগেব্লিঙ্কেনের শেষ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত তৈরি হয়। ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ নিয়ে তাঁর নীতি সমালোচনার মুখে পড়লে দুজন সাংবাদিককে টেনে বের করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেআগামী ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রীতি মেনে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান খোলা জায়গায় হয়। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না, চার দেয়ালের ভেতর ও ছাদের নিচেই শপথ নিতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনের রোটুন্ডা হলে শপথ অনুষ্ঠান হবে।
৪ ঘণ্টা আগে