অমর্ত্য সেনকে এবার উচ্ছেদের নোটিশ দিল বিশ্বভারতী

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৯: ৩৯
Thumbnail image

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে সহজে ছাড়ছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জমির বিরোধে জেরবার ৮৯ বছর বয়সী এ অর্থনীতিবিদ। জমির স্বত্ব নিয়ে বেশ কয়েকবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এবার তাঁকে উচ্ছেদের নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হলো। 

পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ রোববারই শান্তিনিকতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র ঠিকানায় চিঠি পৌঁছে গেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৯ মার্চ অমর্ত্য সেন অথবা তাঁর প্রতিনিধি যেন বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স হলে উপস্থিত থাকেন। সেখানেই জমির বিরোধ নিয়ে শুনানি হবে। 

বিশ্বভারতীর ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল (শতাংশ) জমি দখল করে রেখেছেন। আইন অনুযায়ী তাঁকে কেন ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না—তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। 

বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন ওই এক টুকরো জমি নিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিরোধ বহু দিনের। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দ্বারস্থও হয়েছেন। একাধিকবার শুনানি ও বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনো মীমাংসা হয়নি। 

কয়েক দিন আগে বাবা আশুতোষ সেনের পরিবর্তে জমির ইজাদার হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিলেন অমর্ত্য সেন। বোলপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে এ নিয়ে শুনানি ছিল। সেখানে অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীরাও ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ শুনানির পরও বিষয়টি অমীমাংসিতই থেকে গেছে। 

কিছু দিন আগে শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন অমর্ত্য সেন। সে সময়ই তাঁকে চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে বলা হয়, শিগগির ১৩ ডেসিমেল জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিতে হবে। তখন ওই নোটিশ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়। 

তবে অমর্ত্য সেন দাবি করেন, ওই বাড়ির জমির একটা অংশ বিশ্বভারতীর থেকে ইজারা নেওয়া, কিছু অংশ কেনা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সত্য গোপন করছে। 

ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনে গিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর হাতে জমির পরিমাপ-সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেন। নিজেই ভূমি ও ভূমি রাজস্ব (বিএলআরও) অফিসে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এরপর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘এভাবে মানুষকে অপমান করা যায় না।’ প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রী। 

উল্লেখ্য, অমর্ত্য সেন বরাবরই নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের কঠোর সমালোচক। প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেন তিনি। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। ক্ষোভের কথা প্রকাশ্যে একাধিকবার বলেছেনও তাঁরা। অনেকে ধারণা করেন, বিশ্বভারতীর জমি নিয়ে এই ঝামেলার মূলেও সেটি!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত