কলকাতা প্রতিনিধি
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দুর্নীতিবিরোধী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডির তলব ও তাঁকে গ্রেপ্তার করা বেআইনি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেজরিওয়াল নিজেই এ দাবি করেছেন। তাঁর সুর ধরে একই কথা জানিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ার’ নেতারা।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার পর থেকেই কিন্তু ভারতের রাজনীতিতে বিষয়টি বহুল চর্চিত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা এই গ্রেপ্তারের সমালোচনা করেছেন।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর বলেছেন, ‘একজন আতঙ্কিত স্বৈরাচারী শাসক মৃত গণতন্ত্র দেখতে চায়। দলে ভাঙন ধরানো, প্রধান বিরোধী দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেও এরা থামেনি। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করল। ইন্ডিয়া (জোট) এর জবাব দেব শিগগিরই।’
অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘যাদের হেরে যাওয়ার ভয় আছে, তারা অন্যকে বন্দী করে। এর বেশি আর কী-ই বা করবে তারা? বিজেপি জানে, তারা ক্ষমতায় ফিরবে না। সে জন্য ভোটের আগে বিরোধীদের সরিয়ে দিতে চাইছে। (কেজরিওয়ালের) গ্রেপ্তার স্রেফ একটা ইস্যু। এর থেকে আরও বিপ্লবের জন্ম হবে।’
কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘বিজেপিতে যোগ না দিলেই জেলে যেতে হবে। আমরা সবাই স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে।’ ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা শারদ পাওয়ার লিখেছেন, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপের মুখেও ইন্ডিয়া এক জোট থাকবে।’
বিজেপিবিরোধী শিবিরের অন্যতম নেতা ও সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটি স্পষ্ট যে, বিজেপি ও মোদি জনগণের প্রত্যাখ্যান ঘিরে আতঙ্কে রয়েছেন। যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাই কেবল সুরক্ষিত। ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় বিজেপির বিরোধিতায় ভারতবাসী এবার একজোট হবে।’
কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বলেছেন, ‘ভোটের আগে এক দশকের ব্যর্থতা নিয়ে আতঙ্কে আছে ফ্যাসিস্ট বিজেপি সরকার। আর তাই অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করিয়েছে তারা। যারা সংবিধান অবমাননা করে, সেই দলের কেউই গ্রেপ্তার হন না।’
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন লিখেছেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই এই পদক্ষেপ! রাজনৈতিক দলের প্রধান, মুখ্যমন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, নির্বাচনী এজেন্ট, কর্মী, সব বিরোধীই নিগৃহীত ও গ্রেপ্তার হচ্ছেন। আমাদের গণতন্ত্রের কী হবে? আসুন এই বিপর্যয় থেকে গণতন্ত্রকে বাঁচাই।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারকে ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘দেশের রাজনীতির মানকে এভাবে নামিয়ে আনা প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারকে মানায় না।’ বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদবের বক্তব্য, ‘এই গ্রেপ্তার প্রমাণ করছে, বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইয়ের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সাহায্য নিয়ে ভোটে জিততে চাইছে বিজেপি।’
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মন্তব্য, ‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ করছি। ভোটের আবহে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করতেই এই পদক্ষেপ।’
এদিকে, গতকাল কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পরপরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর থেকে দিল্লি আবগারি দুর্নীতিসংক্রান্ত মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ৯ বার তলব করে। কিন্তু কোনো বারই সাড়া দেননি কেজরিওয়াল। কেবল একবার ভার্চুয়ালি তাদের মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে ইডি সে কথায় রাজি হয়নি।
এ অবস্থায় কেজরিওয়াল গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে জামিন নিতে গেলে তা নাকচ হয়ে যায়, তারপর গত রাতেই ইডি কেজরিওয়ালকে তাঁর দিল্লির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির আরজি জানানো হয়। তবে গতকাল সেই শুনানি হয়নি। আজ শুক্রবার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দুর্নীতিবিরোধী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডির তলব ও তাঁকে গ্রেপ্তার করা বেআইনি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেজরিওয়াল নিজেই এ দাবি করেছেন। তাঁর সুর ধরে একই কথা জানিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ার’ নেতারা।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার পর থেকেই কিন্তু ভারতের রাজনীতিতে বিষয়টি বহুল চর্চিত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা এই গ্রেপ্তারের সমালোচনা করেছেন।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর বলেছেন, ‘একজন আতঙ্কিত স্বৈরাচারী শাসক মৃত গণতন্ত্র দেখতে চায়। দলে ভাঙন ধরানো, প্রধান বিরোধী দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেও এরা থামেনি। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করল। ইন্ডিয়া (জোট) এর জবাব দেব শিগগিরই।’
অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘যাদের হেরে যাওয়ার ভয় আছে, তারা অন্যকে বন্দী করে। এর বেশি আর কী-ই বা করবে তারা? বিজেপি জানে, তারা ক্ষমতায় ফিরবে না। সে জন্য ভোটের আগে বিরোধীদের সরিয়ে দিতে চাইছে। (কেজরিওয়ালের) গ্রেপ্তার স্রেফ একটা ইস্যু। এর থেকে আরও বিপ্লবের জন্ম হবে।’
কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘বিজেপিতে যোগ না দিলেই জেলে যেতে হবে। আমরা সবাই স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে।’ ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা শারদ পাওয়ার লিখেছেন, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সংবিধানবিরোধী পদক্ষেপের মুখেও ইন্ডিয়া এক জোট থাকবে।’
বিজেপিবিরোধী শিবিরের অন্যতম নেতা ও সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটি স্পষ্ট যে, বিজেপি ও মোদি জনগণের প্রত্যাখ্যান ঘিরে আতঙ্কে রয়েছেন। যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাই কেবল সুরক্ষিত। ভারতের সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় বিজেপির বিরোধিতায় ভারতবাসী এবার একজোট হবে।’
কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন বলেছেন, ‘ভোটের আগে এক দশকের ব্যর্থতা নিয়ে আতঙ্কে আছে ফ্যাসিস্ট বিজেপি সরকার। আর তাই অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করিয়েছে তারা। যারা সংবিধান অবমাননা করে, সেই দলের কেউই গ্রেপ্তার হন না।’
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন লিখেছেন, ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই এই পদক্ষেপ! রাজনৈতিক দলের প্রধান, মুখ্যমন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, নির্বাচনী এজেন্ট, কর্মী, সব বিরোধীই নিগৃহীত ও গ্রেপ্তার হচ্ছেন। আমাদের গণতন্ত্রের কী হবে? আসুন এই বিপর্যয় থেকে গণতন্ত্রকে বাঁচাই।’
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারকে ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘দেশের রাজনীতির মানকে এভাবে নামিয়ে আনা প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারকে মানায় না।’ বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদবের বক্তব্য, ‘এই গ্রেপ্তার প্রমাণ করছে, বিরোধীদের সঙ্গে লড়াইয়ের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সাহায্য নিয়ে ভোটে জিততে চাইছে বিজেপি।’
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের মন্তব্য, ‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ করছি। ভোটের আবহে বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করতেই এই পদক্ষেপ।’
এদিকে, গতকাল কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পরপরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর থেকে দিল্লি আবগারি দুর্নীতিসংক্রান্ত মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ৯ বার তলব করে। কিন্তু কোনো বারই সাড়া দেননি কেজরিওয়াল। কেবল একবার ভার্চুয়ালি তাদের মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে ইডি সে কথায় রাজি হয়নি।
এ অবস্থায় কেজরিওয়াল গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে জামিন নিতে গেলে তা নাকচ হয়ে যায়, তারপর গত রাতেই ইডি কেজরিওয়ালকে তাঁর দিল্লির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির আরজি জানানো হয়। তবে গতকাল সেই শুনানি হয়নি। আজ শুক্রবার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকেই দেশটির ফেডারেল সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতে প্রস্তুত। ট্রাম্প ও তাঁর মিত্রদের দাবিকৃত ‘ডিপ স্টেট’ ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনায়ও তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। জো বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে কাজ..
১৩ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হলো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক। অ্যাপটি ব্যবহারের চেষ্টা করা হলে একটি বার্তা দেখানো হচ্ছে, যেখানে লেখা, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করে একটি আইন কার্যকর হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, এখন টিকটক ব্যবহারের সুযোগ নেই। তবে আমরা সৌভাগ্যবান, দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টিকটক..
১৪ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলে বিপাকে পড়বেন দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীরা। শিগগির বড় ধরনের অভিযানের মুখে পড়তে যাচ্ছেন তাঁরা। ৪৭ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামীকাল সোমবার শপথ নেবেন অভিবাসীবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেত্রিপুরার উনকোটি জেলার কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে যে, বাংলাদেশের সরকার রাজ্যের আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে একটি বাঁধের উচ্চতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এমন নির্মাণ কার্যক্রমের ফলে ভারতীয় ভূখণ্ডে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন
২ ঘণ্টা আগে