‘হাসব নাকি কাঁদব’: মোদির আসনে মনোনয়ন বাতিলের পর কৌতুকাভিনেতা শ্যাম রঙ্গিলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৪, ১৪: ১৯
আপডেট : ১৬ মে ২০২৪, ১৫: ৪৫

বারানসী লোকসভা আসনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাওয়া কৌতুক অভিনেতা শ্যাম রঙ্গিলার মনোনয়ন গতকাল বুধবার বাতিল করছে নির্বাচন কমিশন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এক ভিডিও বার্তায় রঙ্গিলা দাবি করেছেন, বারানসী আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও কংগ্রেসের প্রার্থী অজয় রায়সহ ১৫ জনকে নির্বাচনের সুযোগ দিলেও হলফনামা যাচাই-বাছাইয়ের নামে ৩৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় একাধিক বাধার অভিযোগ করে রঙ্গিলা বলেন, কাগজপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে নানা সময়ে বেশ কয়েক ধাপে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অফিসে অভিযোগ করলেও সেখানে তেমন কোনো সহায়তা পাইনি আমি। বরং যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার নাম করে অন্যায়ভাবে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

রঙ্গিলা আরও বলেন, ‘আজ বুধবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন যে, আমার কাগজপত্রে কিছু সমস্যা ছিল। এ সময় তাঁরা আমাকে একা ডাকেন। আমার আইনজীবীকে সঙ্গে যেতে দেননি এবং আমার বন্ধুকে মারধর করা হয়েছে। মোদিজি হয়তো অভিনয় করে কাঁদতে পারেন, কিন্তু আমি এখানে কাঁদতে চাই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল ২৭টি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল, আর আজ বাতিল হয়েছে ৩২ জনের মনোনয়নপত্র। নির্বাচন কমিশনকে দেখে আমার হাসি পাচ্ছে। এখন আমি হাসব, নাকি কাঁদব?’

এ বিষয়ে বারানসী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস রাজালিঙ্গম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ‘আপনার (মি. রঙ্গিলা) উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। সে সময় নথিপত্রের ঘাটতিও তুলে ধরা হয় এবং আপনাকে সে সম্পর্কে অবহিতও করা হয়েছে। তাই আপনার মনোনয়নপত্র বাতিলেও কোনো অসামঞ্জস্যতা নেই। আইন মেনেই তা বাতিল করা হয়েছে।’

এর আগে গত এক দশকের ভারতের পরিস্থিতি উল্লেখ করে রঙ্গিলা বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে আমি নরেন্দ্র মোদির একজন কট্টর সমর্থক। মোদির সমর্থনে অনেক ভিডিও শেয়ার করেছি। রাহুল গান্ধী ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধেও ভিডিও শেয়ার করেছি আমি। যাতে করে সবার মনে হয়, শুধু এখন না, আগামী ৭০ বছর আমি ভারতের জনতা পার্টিকে (বিজেপি) ভোট দেব। কিন্তু, গত ১০ বছরে মোদির কর্মকাণ্ডে পরিস্থিতি বদলে গেছে। তাই আমি এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোদির বিরুদ্ধে লড়তে চাই।’

এদিকে লোকসভা নির্বাচনে বারানসীর কেন্দ্রটি ২০১৪ সাল থেকে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কারণ, সে বছর মোদি বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হন এবং সেই সঙ্গে আম আদমি পাটির চেয়ারম্যান ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ৩ লাখ ভোটে পরাজিত করেন।

তবে এবার পাঁচটি বিধানসভা আসন নিয়ে গঠিত বারানসী বিজেপি ও কংগ্রেসের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। কারণ, ১৯৫৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আসনটিতে বিজেপি সাতবার ও কংগ্রেস ছয়বার জয়লাভ করেছে। তবে বারানসীতে সমাজবাদী পার্টি কিংবা বহুজন সমাজ পার্টি কেউই জিততে পারেনি এখনো পর্যন্ত।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণের ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত