অনলাইন ডেস্ক
ভারতের লোকসভা ভবনে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে অধিবেশনে ঢুকে পড়েছিলেন দুই ব্যক্তি। তবে পুরো বিষয়টির সঙ্গে দুজন নন, আরও চারজন, অর্থাৎ মোট ছয় ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে ওই পাঁচজন জানিয়েছেন, তাঁরা মূলত বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের মনোযোগের দাবিতে এ কাজ করেছেন।
পুলিশের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছে, ওই পাঁচ অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তাঁরা বেকারত্ব, কৃষকদের সমস্যা, মণিপুর সহিংসতাসহ ভারতের বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের ওপর বিরক্ত। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা অধিবেশনস্থলে রঙিন ধোঁয়া ব্যবহার করে মূলত এসব ইস্যুতে লোকসভার সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছেন, যাতে তাঁরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তাঁরা সবাই একই মতাদর্শের এবং এর ভিত্তিতেই তাঁরা সরকারকে বার্তা দিতেই এ ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করেন। তাঁরা অন্য কোনো গোষ্ঠী বা কোনো ব্যক্তির দ্বারা নির্দেশিত হয়ে এমনটা করেছেন কি না, তা জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে দর্শক গ্যালারি থেকে হঠাৎ দুই ব্যক্তি অধিবেশনকক্ষে ঢুকে পড়েন। তাঁদের লাফিয়ে লাফিয়ে একের পর এক আসন পার হতে দেখা যায়। এ সময় তাঁরা ‘স্বৈরতন্ত্র চলবে না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, তাঁদের হাতের টিনের কৌটা থেকে হলুদ রঙের ধোঁয়া বের হচ্ছে। দুজনের মধ্যে একজন গাঢ় নীল রঙের শার্ট পরা, আটক এড়াতে তিনি এক আসন লাফিয়ে অন্য আসনে যাচ্ছেন। আরেকজন দর্শক গ্যালারি থেকে হলুদ ধোঁয়া স্প্রে করছেন।
দুজনকেই নিরাপত্তাকর্মীরা পরে আটক করে। তাঁদের সাগর শর্মা ও ড. মনোরঞ্জন হিসেবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, লোকসভায় ‘জিরো আওয়ারে’ এ ঘটনা ঘটে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সদস্যদের নোটিশ উত্থাপনের সময়ই ভারতের লোকসভায় জিরো আওয়ার হিসেবে পরিচিত। প্রশ্নোত্তর পর্ব ও দিনের কার্যসূচির মধ্যবর্তী সময় এটি।
বিঘ্ন ঘটার কারণে তৎক্ষণাৎ লোকসভার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে বেলা ২টা থেকে আবার কার্যক্রম শুরু করা হয়। স্পিকার ওম বিড়লা ক্ষুব্ধ সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি, দিল্লি পুলিশকেও তদন্তে যোগ দিতে বলেছি।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কার্যক্রম মুলতবি রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এই দুজনসহ মোট চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দুজনকে লোকসভা ভবনের বাইরে আটক করা হয়। এদের একজন নারী।
লোকসভায় প্রবেশকারী দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ভিজিটর পাস উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পাসগুলো মাইসুরুর বিজেপি সংসদ সদস্য প্রতাপ সিমহার কার্যালয় থেকে ইস্যু করা হয়েছে। সংসদে কেউ প্রবেশ করতে হলে তাঁকে চার স্তরের নিরাপত্তার ধাপ অতিক্রম করে আসতে হয়।
কংগ্রেস এমপি কার্তি চিদাম্বরম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুরুতে ভেবেছিলাম কেউ ভিজিটরস গ্যালারি থেকে পড়ে গেছে। দ্বিতীয় ব্যক্তি লাফ দেওয়ার পর আমি বুঝতে পেরেছি কেউ নিরাপত্তা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েছে। গ্যাসটি বিষাক্ত হতে পারত। একজন অনুপ্রবেশকারী স্পিকারের চেয়ারের দিকে ছুটে যাচ্ছিলেন। আজকের দিনে এটা গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘন।’
ভারতের লোকসভা ভবনে চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে অধিবেশনে ঢুকে পড়েছিলেন দুই ব্যক্তি। তবে পুরো বিষয়টির সঙ্গে দুজন নন, আরও চারজন, অর্থাৎ মোট ছয় ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে ওই পাঁচজন জানিয়েছেন, তাঁরা মূলত বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের মনোযোগের দাবিতে এ কাজ করেছেন।
পুলিশের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছে, ওই পাঁচ অভিযুক্ত জানিয়েছেন, তাঁরা বেকারত্ব, কৃষকদের সমস্যা, মণিপুর সহিংসতাসহ ভারতের বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের ওপর বিরক্ত। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা অধিবেশনস্থলে রঙিন ধোঁয়া ব্যবহার করে মূলত এসব ইস্যুতে লোকসভার সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছেন, যাতে তাঁরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তাঁরা সবাই একই মতাদর্শের এবং এর ভিত্তিতেই তাঁরা সরকারকে বার্তা দিতেই এ ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করেন। তাঁরা অন্য কোনো গোষ্ঠী বা কোনো ব্যক্তির দ্বারা নির্দেশিত হয়ে এমনটা করেছেন কি না, তা জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে দর্শক গ্যালারি থেকে হঠাৎ দুই ব্যক্তি অধিবেশনকক্ষে ঢুকে পড়েন। তাঁদের লাফিয়ে লাফিয়ে একের পর এক আসন পার হতে দেখা যায়। এ সময় তাঁরা ‘স্বৈরতন্ত্র চলবে না’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, তাঁদের হাতের টিনের কৌটা থেকে হলুদ রঙের ধোঁয়া বের হচ্ছে। দুজনের মধ্যে একজন গাঢ় নীল রঙের শার্ট পরা, আটক এড়াতে তিনি এক আসন লাফিয়ে অন্য আসনে যাচ্ছেন। আরেকজন দর্শক গ্যালারি থেকে হলুদ ধোঁয়া স্প্রে করছেন।
দুজনকেই নিরাপত্তাকর্মীরা পরে আটক করে। তাঁদের সাগর শর্মা ও ড. মনোরঞ্জন হিসেবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, লোকসভায় ‘জিরো আওয়ারে’ এ ঘটনা ঘটে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সদস্যদের নোটিশ উত্থাপনের সময়ই ভারতের লোকসভায় জিরো আওয়ার হিসেবে পরিচিত। প্রশ্নোত্তর পর্ব ও দিনের কার্যসূচির মধ্যবর্তী সময় এটি।
বিঘ্ন ঘটার কারণে তৎক্ষণাৎ লোকসভার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পরে বেলা ২টা থেকে আবার কার্যক্রম শুরু করা হয়। স্পিকার ওম বিড়লা ক্ষুব্ধ সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি, দিল্লি পুলিশকেও তদন্তে যোগ দিতে বলেছি।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কার্যক্রম মুলতবি রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এই দুজনসহ মোট চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দুজনকে লোকসভা ভবনের বাইরে আটক করা হয়। এদের একজন নারী।
লোকসভায় প্রবেশকারী দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ভিজিটর পাস উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই পাসগুলো মাইসুরুর বিজেপি সংসদ সদস্য প্রতাপ সিমহার কার্যালয় থেকে ইস্যু করা হয়েছে। সংসদে কেউ প্রবেশ করতে হলে তাঁকে চার স্তরের নিরাপত্তার ধাপ অতিক্রম করে আসতে হয়।
কংগ্রেস এমপি কার্তি চিদাম্বরম সাংবাদিকদের বলেন, ‘শুরুতে ভেবেছিলাম কেউ ভিজিটরস গ্যালারি থেকে পড়ে গেছে। দ্বিতীয় ব্যক্তি লাফ দেওয়ার পর আমি বুঝতে পেরেছি কেউ নিরাপত্তা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েছে। গ্যাসটি বিষাক্ত হতে পারত। একজন অনুপ্রবেশকারী স্পিকারের চেয়ারের দিকে ছুটে যাচ্ছিলেন। আজকের দিনে এটা গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘন।’
দীর্ঘ ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসন অবশেষে শেষ হতে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হবে আজ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টায়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল
৬ মিনিট আগেযুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, মুক্তির অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে হামাসকে জিম্মিদের নামের তালিকা সরবরাহ করতে হবে। তবে এখনো হামাস এই তালিকা প্রকাশ করেনি। রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত জিম্মিদের মুক্তির সময়সীমা...
৮ ঘণ্টা আগেএকজন বন্দুকধারী সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বিচারক নিহত হন। এ সময় আদালতের একজন নিরাপত্তা কর্মী আহত হন। বন্দুকধারী পালানোর সময় আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে মিজান।
৮ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দেওয়া সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির অভিযোগ, এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে সরকার বলছে, এই সাজা ইমরান খানের প্রাপ্য ছিল।
১২ ঘণ্টা আগে