Ajker Patrika

ভারতীয় ট্রেনে বোমাতঙ্কের কবলে বাংলাদেশি যাত্রীরাও 

কলকাতা সংবাদদাতা
ভারতীয় ট্রেনে বোমাতঙ্কের কবলে বাংলাদেশি যাত্রীরাও 

ভারতের জম্মু থেকে কলকাতা অভিমুখী জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস ট্রেনে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণেশ্বর রেলওয়ে স্টেশনে। শুক্রবার সাড়ে ৪টার দিকে ট্রেনটি কলকাতার চিতপুর রেল স্টেশনে পৌঁছানোর কথা থাকলেও আতঙ্কের মুখে শেষ পর্যন্ত এটিকে দক্ষিণেশ্বর রেলস্টেশনেই থামিয়ে রাখা হয়। এই ট্রেনে ভারতীয়দের পাশাপাশি বহু বাংলাদেশি যাত্রীও ছিলেন।

প্রাথমিকভাবে একটি কামরায় সন্দেহজনক বস্তু দেখে ট্রেনটি প্রায় আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকলে অন্যান্য বগির যাত্রীরাও নেমে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন। এ সময় স্লিপার কোচের ভেতরে ওই পরিত্যক্ত ব্যাগের কথা জানতে পেরে ট্রেনের সব যাত্রীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় মুহূর্তের মধ্যেই ওই কামরাটি খালি করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। পরে স্নাইপার ডগ, বম্ব স্কোয়াডের লোকজন এসে তল্লাশি শুরু করে। ঘটনাস্থলে ছুটে যান আরপিএফ-এর শীর্ষ কর্মকর্তারাও। 

একপর্যায়ে সন্দেহজনক ওই ব্যাগটিকে ট্রেনের কামরা থেকে বাইরে বের করে আনা হয় এবং প্ল্যাটফর্মে রেখেই এটিতে তল্লাশি অভিযান চালায় বোম স্কোয়াডের সদস্যরা। কিন্তু তল্লাশি করে কিছুই পাওয়া যায়নি। অবশেষে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ কলকাতা স্টেশনের দিকে রওনা দেয় ট্রেনটি।

ট্রেনটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি যাত্রীদের প্রায় সবাই ভূস্বর্গ হিসেবে খ্যাত ভারতের কাশ্মীরে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন। বোমার আতঙ্কে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। কাশ্মীর ভ্রমণ করে কলকাতায় ফিরছিলেন বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা জানে আলম আক্তার সহ তাঁর তিন বন্ধু। বোমার খবর পেয়ে তারা যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সন্দেহজনক ব্যাগের বিষয়টি যাত্রীদের আরও আগেই জানানো উচিত ছিল বলেও মত দিয়েছেন তাঁরা। প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর দক্ষিণেশ্বর থেকে কলকাতার নিউমার্কেটের উদ্দেশ্যে পরে তাঁরা ট্যাক্সিতে চড়েন। ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করবেন শনিবার।

জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসের গার্ড তাপস কুমার কণ্ডু জানান, শিয়ালদা স্টেশনে প্রবেশের আগেই তাঁকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানায় কামড়ার ভেতরে লাল ব্যাগ থাকার  বিষয়টি। 

পাপাই দেবনাথ নামে ওই এস-৮ কামরার এক যাত্রী জানান, হঠাৎ করেই তাঁর কানে টিকটিক আওয়াজ আসে।  পরে তিনি লাল-কালো রঙের ব্যাগটি দেখতে পান। অনেকটা স্কুল ব্যাগের মত। বিষয়টি তিনি রেলের হেল্পলাইন ১৯৩ নম্বরে ফোন করে জানান। এরপরই দক্ষিণেশ্বর রেল স্টেশনে এটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত