কৃষকদের ভুট্টা, তুলা ও ডালে সহায়ক মূল্যের প্রস্তাব দিল ভারত

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন মূল্যের (এমএসপি) আইনি স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলন করা কৃষকদের ডাল, ভুট্টা এবং তুলার জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত সরকার। বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের প্রায় এক সপ্তাহ পর কৃষক ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকের পর এই প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। কৃষিপণ্যের ন্যূনতম মূল্য নিশ্চিতের দাবির প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দিল্লি অভিমুখে ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনে নামেন ভারতের কৃষকেরা। কৃষকদের দুই শতাধিক সংগঠন এবং হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের লক্ষাধিক কৃষক এই কর্মসূচি পালন করেছেন।

গত মঙ্গলবার দিল্লি অভিমুখে যাত্রার সময় পাঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমান্ত পয়েন্টে তাঁদের ওপর দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছিল। রাজধানী থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের দিল্লি অভিমুখে যাত্রাও থামানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ। এরপর গত বৃহস্পতিবার কৃষক ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দেয় ভারত সরকার।

প্রায় দুই ডজন কৃষিপণ্যের জন্য ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণের দাবি জানিয়েছিল কৃষকেরা। এরপর সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে কৃষক প্রতিনিধিদের। এরপর ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, কেন্দ্রের তরফে পাঁচ বছরের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিয়ে ডাল, ভুট্টা ও তুলা কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ডাল উৎপাদনকারী কৃষকদের সঙ্গে ন্য়াশনাল কোঅপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন, ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার মতো সরকারি সংস্থাগুলো চুক্তি করবে বলে জানান পীযূষ গোয়েল। পাঁচ বছরের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে এই ফসল কেনা হবে। পরিমাণের ক্ষেত্রে সীমার উল্লেখ্য থাকবে না।

কৃষকদের সংগঠনগুলো জানিয়েছে, তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দু-এক দিনের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছে প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

ধান এবং গমের মতো যেসব কৃষিপণ্যের জন্য বেশি পানির প্রয়োজন সেসবের পরিবর্তে ডাল উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন পানির সাশ্রয় করা যাবে তেমনি ডাল আমদানির পরিমাণও কমান সম্ভব হবে।

প্রায় দুই বছর আগেও কৃষকেরা এ রকম বিক্ষোভ করেছিলেন। বিক্ষোভের মুখে নরেন্দ্র মোদির সরকার তখন কৃষি সংক্রান্ত কয়েকটি আইন বাতিলের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, কৃষি পণ্যের সর্বনিম্ন মূল্য নিশ্চিতের একটা উপায় খুঁজে বের করা হবে।

ভারতের সাধারণ নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকতে ঘটল এই কৃষক আন্দোলন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেখানে তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হওয়ার আশা করছেন সেখানে কৃষকদের বেশ বড় একটা ভোটব্যাংক তিনি হাতছাড়া করতে চাইবেন না। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের দাবি বাস্তবায়ন করবে তার দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত