ভারতের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি, জবাব দিলেন জয়শঙ্কর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৪, ০৯: ৪১
আপডেট : ১৫ মে ২০২৪, ১৪: ৫৭

ইরানের চাবাহার বন্দর নিয়ে চুক্তি করায় ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হুঁশিয়ারির এক দিন পর জবাব দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 

আজ বুধবার তাঁর লেখা ‘হোয়াই ভারত ম্যাটার্স’ বইয়ের বাংলা সংস্করণ প্রকাশ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারির জবাব দেন। 

জয়শঙ্কর বলেন, এই চুক্তির ফলে চাবাহার বন্দরে বড় বিনিয়োগের পথ খুলে যাবে। প্রকল্পটি সমগ্র অঞ্চলের জন্য ভালো হবে। বিষয়টিতে কারও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই অতীতে চাবাহারের বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতার প্রশংসা করেছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমি কিছু মন্তব্য দেখেছি, তবে আমি মনে করি এটি আসলে সবার সুবিধার জন্য। আমি মনে করিনা কারও এটি সম্পর্কে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়া উচিত। 

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (মার্কিন) অতীতে এটি করেনি। আপনি যদি চাবাহার বন্দরের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মনোভাব দেখেন, তাহলে দেখবেন তারা চাবাহারের একটি বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশংসা করেছে। 

সোমবার চুক্তির পর গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে দিল্লি-তেহরানের চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। 

বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এখনো কার্যকর। এসব নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করা হবে। যেসব পক্ষ ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করার কথা ভাবছে, তাদের সম্ভাব্য মার্কিন ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। 

নাম উল্লেখ না করে ভারতকে সতর্ক করে বেদান্ত বলেন, যারাই ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করবে, তাদের মনে রাখা উচিত যে তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা পড়ার পথ খুলে দিচ্ছে। 

মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্য পরিবহনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। তারই অংশ হলো ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর চুক্তি। ভারতের নৌপরিবহন ও বন্দরমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এ চুক্তির জন্য ইরানে গিয়েছিলেন। সোমবার ভারতের নৌ মন্ত্রণালয় জানায়, ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) ও ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সই করেছে। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চাবাহার বন্দরের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল, কিন্তু আমরা কখনোই একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারিনি। কারণ ছিল...ইরানের প্রান্তে বিভিন্ন সমস্যা ছিল...জয়েন্ট-ভেঞ্চার পার্টনার পরিবর্তন, শর্ত পরিবর্তিত হয়েছে।’ 

চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশেষে আমরা এটি সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি এবং আমরা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিটি প্রয়োজনীয়, কারণ এটি ছাড়া আপনি সত্যিই বন্দর পরিচালনার উন্নতি করতে পারবেন না। আমরা বিশ্বাস করি, সমগ্র অঞ্চল উপকৃত হবে।’ 

প্রসঙ্গত, চাবাহার বন্দর একটি ভারত-ইরান ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প, যা আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট বন্দর হিসাবে কাজ করে, যা ল্যান্ডলকড দেশ। চাবাহার বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনায় ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। 

ভারত সরকার বন্দরের অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করেছে এবং আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার জন্য আবদ্ধ ভারতীয় পণ্যের জন্য এটিকে একটি কার্যকর ট্রানজিট রুট হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এর সুবিধাগুলো আপগ্রেড করার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত