আইএমএফ থেকে আরও ৭০০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৪, ১১: ৫৫
Thumbnail image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে আরও ৭ বিলিয়ন তথা ৭০০ কোটি ডলার নতুন ঋণ পাচ্ছে পাকিস্তান। এ লক্ষ্যে আইএমএফ ও পাকিস্তান সরকার এরই মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, আইএমএফের এই ঋণ টলায়মান পাকিস্তানি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে শাহবাজ শরিফের সরকারকে বেশ খানিকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার সুযোগ দেবে। 

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ৩৭ মাসের দেনদরবার শেষে পাকিস্তান সরকার ও আইএমএফ এই ঋণের ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। স্বাধীনতার পর এ নিয়ে ২৫ বারের মতো আইএমএফের ঋণ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো, এই ঋণ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো, যখন চলতি বছর দেশটিকে ২৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হবে। 

উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর গতকাল শুক্রবার বিষয়টি ঘোষণা করা হয়। তবে ঋণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হয়নি। খুব শিগগির আইএমএফের নির্বাহী পরিষদ এই ঋণের অনুমোদন দেবে, যা কেবলই একটি আনুষ্ঠানিকতা। তবে ঋণ কবে ছাড় করা হবে বা আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের বৈঠকে কবে ঋণটি অনুমোদিত হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। 

এদিকে, আইএমএফের এই ঋণ পাওয়ার জন্য শাহবাজ শরিফের সরকারকে বেশ কিছু অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন খাতে কর বৃদ্ধ, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। কিন্তু বিষয়গুলো জনগণের মধ্যে কেবল অসন্তোষই বাড়িয়েছে। 

দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সংকটের কারণেই পাকিস্তানকে একের পর এক আইএমএফ ঋণ নিতে বাধ্য করেছে। এর আগে, চলতি বছরের এপ্রিলে আইএমএফের কাছ থেকে দেশটি ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পায়। ঋণের পর পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি গত জানুয়ারির ২৮ শতাংশ থেকে নেমে বর্তমানে ১২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব গত মে মাসে বলেছিলেন, আরও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ঋণ প্যাকেজ প্রয়োজনীয়। এ লক্ষ্যে শরিফ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর কাছ থেকে তহবিল চাইছেন এবং পাকিস্তানে চীনের বহু-বিলিয়ন অর্থনৈতিক করিডরের দ্বিতীয় ধাপ চালু করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত