জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাতেও রক্ত জমাটের সমস্যা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২১, ২১: ৪৩

অক্সফোড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার পর এবার জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাতেও রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে টিকাটি প্রয়োগ স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।

এফডিএ বলছে, ৬৮ লাখ ডোজের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে মাত্র ছয়টির ক্ষেত্রে। ওই টিকাগ্রহণকারীরা সবাই নারী, বয়স ১৮ থেকে ৪৮ বছর। টিকা নেওয়ার ছয় থেকে ১৩ দিন পরেই তাঁদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা যায়।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এই ছয়জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। আরেকজনের অবস্থা গুরুতর।

এফডিএ এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই ছয়টি ঘটনা একেবারে বিরল। তারা এ সংক্রান্ত তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করছেন।

তারা আরও জানায়, মূলত মস্তিষ্কের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের সমস্যার জন্য বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতির দরকার পড়ে।

জনসন অ্যান্ড জনসন এক বিবৃতিতে বলেছে, ভ্যাকসিন গ্রহণের পর তিন সপ্তাহের মধ্যে তীব্র মাথাব্যথা, পেটব্যথা, পায়ে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখে দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

মস্তিষ্কের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু ধারণা করতে পারছে না বলেও জানিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।

এদিকে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপে ভ্যাকসিন সরবরাহে আরও সময় নেওয়ার কথা জানিয়েছে এ মার্কিন ওষুদ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।

এর আগে অক্সফোর্ডের টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বেঁধে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশ টিকা প্রয়োগ স্থগিত করে। অবশ্য পরে সবাই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে শুধু ষাটোর্ধ্বদের এই টিকা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

এখন পর্যন্ত অনুমোদিত কোভিড টিকার মধ্যে একমাত্র জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাই একক ডোজের। এর কার্যকারিতাও ৯০ শতাংশের বেশি। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এ টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ফাইজার ও মডার্নার মতো এখনো ব্যাপকভাবে এই টিকার প্রয়োগ শুরু করেনি দেশটি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত