ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা অবশেষে স্বীকার করেছে, কোভিশিল্ড নামে তাদের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের ফলে ‘থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ (টিটিএস) নামে পরিচিত একটি বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
‘টিকার শিশিতে মেয়াদোত্তীর্ণ লেখা রয়েছে। আবার কোন জটিলতা দেখা দেয়, এই আশঙ্কায় আমি টিকা নিইনি। আমার পরিচিত আরও ১৫ জন মানুষ টিকা নেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। একটা চিঠির ওপর ভিত্তি করে আমি কীভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা নেব?’
ময়মনসিংহে শুরু হয়েছে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ। সিটি করপোরেশনের তিনটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রসহ জেলার প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চতুর্থ ডোজ টিকাদান শুরু হয়। তবে প্রচারণা না থাকায় প্রথম দিন টিকাদান কেন্দ্রে লোকজন তেমন দেখা যায়নি। আলাদা বুথ না রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারীরা।
রাজশাহী বিভাগে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আজ সোমবার এ তথ্য জানানো হয়। আজ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভা হয়।
সিটি করপোরেশনের পর এবার সারা দেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে শুরু হয়েছে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম। বিশেষ এই ক্যাম্পেইনে প্রায় এক কোটি শিশুকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে
দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ১৮৬টি এবং রাজধানীর ১৫টি বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে শিশুদের টিকাদানের এই কর্মসূচি। পর্যায়ক্রমে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে।
মাধ্যমিকের ন্যায় প্রাথমিকের তথা পাঁচ বছরের বেশি শিশুরাও বেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে করোনার টিকা নিচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ব্র্যাক ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় বেশ জোরালোভাবে চলছে টিকাদান। টিকা পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিশুরা
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এত দিন যেখানে গিয়েছি সবাই জিজ্ঞেস করেন শিশুদের টিকা কবে দেব। সে অনুযায়ী আজ পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দিচ্ছি। আমরা করোনা মোকাবিলা ও চিকিৎসা সফলভাবে করতে পেরেছি। একই সঙ্গে টিকাদানে সফল হয়েছি...
লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে দেশের টিকাদান কর্মসূচি। এবার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ১৫ লাখের বেশি ডোজ টিকা আনা হয়েছে
করোনা সংক্রমণ বাড়লেও বুস্টার ডোজ গ্রহণে তেমন আগ্রহ মিলছে না। ফলে এক মাসের বেশি সময় পর আবারও বুস্টার ডোজ ক্যাম্পেইনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ১৯ জুলাই সারা দেশে বুস্টার ডোজ প্রদান দিবস পালন করার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এখন পর্যন্ত সরকার প্রায় ৩০ কোটি ৫০ লাখ করোনা টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ১৮ কোটি টিকা নগদ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। বাকিগুলো কোভ্যাক্সের আওতায় উপহার হিসাবে পাওয়া। তবে সরকারের কেনা টিকার দাম ‘মনে নেই’ বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
করোনার টিকা কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (সিডিসি) কান্ট্রি ডিরেক্টর নিলি কায়দোস ডেনিয়েলস। আজ বুধবার আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিবছর করোনা প্রতিরোধী টিকা নিতে হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে করোনাসহ সব ধরনের টিকা যাতে দেশেই তৈরি হয় সে জন্য টিকা উৎপাদনের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক
যেকটি দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে একটি। ফলে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। পাঠদানের পাশাপাশি সামাজিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানও করা যাচ্ছে। করোনার সময়ে ১২০টি সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাগানো হয়েছে। এই সময়ে প্রায় ৩০ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ হয়েছে
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা সনদ থাকলেই পিসিআর পরীক্ষা ছাড়াই বিমানবন্দর হয়ে বিদেশে যাওয়া যাবে। একই সঙ্গে দেশের বাইরে থেকে কেউ দেশে প্রবেশ করতে চাইলে করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে আর পিসিআর...
ডব্লিউএইচও’র কাছে ইতিমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। আরও অল্প বয়সের শিশুদের টিকা দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য। আমার মনে হয় এটা এসে যাবে। কাজেই আমরা তখন মনে হয় সকলকে টিকা দিতে পারবো। অন্তত ৭/৮ বছর থেকে বা ১০ বছর থেকে টিকা দিতে পারি তাহলে আমাদের প্রাইমারিতে আর কোন অসুবিধা হবে না। তারা নিশ্চিন্তে স্কুলে যেতে পারবে
এক দিনে করোনাভাইরাসের টিকার এক কোটি ডোজ দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইনে জেলার ৭০১টি কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। টিকাপ্রত্যাশীদের গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।