অনলাইন ডেস্ক
ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত একটি সুফি মাজার দর্শনে যান দেশটির সব ধর্মের মানুষ। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের এক শীর্ষ নেতা মাজারটিকে শুধু হিন্দুদের জন্য খোলা রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর এটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। বিতর্কটি বোঝার জন্য সম্প্রতি হাজি মালাং নামের সেই মাজারে গিয়েছিলেন বিবিসির সাংবাদিক চেরিলান মোলান।
এ বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমতল থেকে ১ হাজার ৫০০টি সিঁড়ির ধাপ পেরিয়ে হাজি মালাংয়ের দরগায় গিয়ে পৌঁছানো খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাই শহরের উপকণ্ঠে একটি পাহাড়ের ওপর স্থাপিত ওই মাজার মূলত একজন সুফি সাধকের সমাধি। ৭০০ বছরেরও বেশি সময় আগে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে আরব থেকে ভারতে এসেছিলেন হাজি মালাং। ভারতের বিভিন্ন স্থানে আরও অনেক সুফি মাজারের মতো ধর্মীয় বিবাদের কেন্দ্রে থাকার পরও মালাংয়ের দরগাহকে সহনশীলতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
বিবিসির সাংবাদিক চেরিলান মোলান যখন মাজারটিতে গিয়ে হাজির হন, তখন সেখানে হিন্দু ও মুসলমান ধর্মের মানুষই সমাধিতে ফুল ও চাদর নিবেদন করছিল। মাজারের পরিচালনা পর্ষদেও ধর্মীয় সম্প্রীতির বিষয়টি দেখার মতো। এটির ট্রাস্টি দুজন মুসলিম হলেও বংশগতভাবে এটির অভিভাবকত্ব করে আসছে একটি হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবার।
কিন্তু চলতি মাসের শুরুর দিকেই একটি রাজনৈতিক সমাবেশে এক দশকের পুরোনো দাবিকে পুনরুজ্জীবিত করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তিনি জোর গলায় দাবি করেছেন, সমাধিস্থলটি ঐতিহ্যগতভাবে দরগাহ হিসেবে বিবেচিত হলেও এর কাঠামোর নিচে একটি মন্দির ছিল। এই মন্দিরকে আবারও ‘মুক্ত’ করার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন শিন্ডে। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বিবিসি যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী।
শিন্ডে এমন এক সময়ে দাবিটি সামনে আনলেন, যখন ভারতের নামকরা কিছু মসজিদ এবং মুসলিম শাসকদের নির্মিত কিছু স্মৃতিস্তম্ভ কয়েক শ বছর আগে হিন্দু মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল বলে তর্কবিতর্ক শুরু হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শতাব্দীর আশির দশকে মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা আনন্দ দীঘে হাজি মালাং দরগাহ হিন্দুদের দাবি করে একটি প্রচারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ভারতের শিবসেনা দলের ২০ হাজার কর্মীকে নিয়ে দরগাহের ভেতরে প্রবেশ করে একটি পূজার পৌরহিত্য করেছিলেন। এরপর থেকেই হিন্দু কট্টরপন্থীরা দরগাহটিকে ‘মালাংগড়’ নামে চিহ্নিত করতে শুরু করে। পাশাপাশি তারা পূর্ণিমার রাতে সেখানে পূজা করার রীতি অব্যাহত রাখে। এ নিয়ে মুসলিম ভক্ত ও স্থানীয়দের সঙ্গে মাঝে মাঝে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, দরগাহটিকে কেন্দ্র করে বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের অবস্থান বিশ্বাসের চেয়ে বরং কোনো উদ্দেশ্য দ্বারা বেশি তাড়িত। মহারাষ্ট্র রাজ্যের হিন্দু ভোটারদের মধ্যে তাঁর আবেদনকে বাড়িয়ে দিয়েছে আনন্দ দীঘের সেই পুরোনো প্রচারণা। এ প্রসঙ্গে ভারতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রশান্ত দীক্ষিত বলেন, ‘শিন্ডে এখন নিজেকে মহারাষ্ট্রের হিন্দু ত্রাণকর্তা হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন।’
জাতীয় নির্বাচনের পর চলতি বছরের শেষ দিকে ভারতের সবচেয়ে ধনী রাজ্য হিসেবে পরিচিত মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায় ধর্মীয় ইস্যুর মাধ্যমে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন নিশ্চিত করাকে শিন্ডে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বলে মত দিয়েছেন প্রশান্ত দীক্ষিত।
মহারাষ্ট্রের নির্বাচনগুলোতে ভোটাররা সাধারণত চার ভাগে বিভক্ত থাকে। এই ভাগগুলো হলো—স্থানীয় মানুষ, হিন্দু জাতীয়তাবাদী শিবসেনা ও ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), মধ্যপন্থী জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং কংগ্রেস। প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে রাজ্যটিতে।
তবে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে ২০২২ সালে অতিরিক্ত জটিলতার সম্মুখীন হন। সেই বছর তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা মূল শিবসেনা থেকে বেরিয়ে আসেন। এই বিদ্রোহ তৎকালীন শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপির সমন্বয়ে গঠিত ত্রিদলীয় সরকারের পতন ঘটিয়েছিল এবং নতুন সরকার গঠনের জন্য বিজেপির সঙ্গে নতুন জোট গঠন করেন শিন্ডে।
প্রশান্ত দীক্ষিত জানান, বিদ্রোহে পূর্ববর্তী শিবসেনার বেশ কয়েকজন আইন প্রণেতাকে নিজের সঙ্গে রাখতে পারলেও ভোটারের মন বোঝা সহজ বিষয় নয়। এ অবস্থায় দরগাহ ইস্যুটি সামনে এনে পূর্ববর্তী শিবসেনার ভোটারদের আবেগকে নাড়া দিয়ে বৈতরণি পার হওয়ার চেষ্টা করছেন শিন্ডে।
ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত একটি সুফি মাজার দর্শনে যান দেশটির সব ধর্মের মানুষ। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের এক শীর্ষ নেতা মাজারটিকে শুধু হিন্দুদের জন্য খোলা রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর এটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। বিতর্কটি বোঝার জন্য সম্প্রতি হাজি মালাং নামের সেই মাজারে গিয়েছিলেন বিবিসির সাংবাদিক চেরিলান মোলান।
এ বিষয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমতল থেকে ১ হাজার ৫০০টি সিঁড়ির ধাপ পেরিয়ে হাজি মালাংয়ের দরগায় গিয়ে পৌঁছানো খুবই কষ্টসাধ্য বিষয়। মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাই শহরের উপকণ্ঠে একটি পাহাড়ের ওপর স্থাপিত ওই মাজার মূলত একজন সুফি সাধকের সমাধি। ৭০০ বছরেরও বেশি সময় আগে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে আরব থেকে ভারতে এসেছিলেন হাজি মালাং। ভারতের বিভিন্ন স্থানে আরও অনেক সুফি মাজারের মতো ধর্মীয় বিবাদের কেন্দ্রে থাকার পরও মালাংয়ের দরগাহকে সহনশীলতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
বিবিসির সাংবাদিক চেরিলান মোলান যখন মাজারটিতে গিয়ে হাজির হন, তখন সেখানে হিন্দু ও মুসলমান ধর্মের মানুষই সমাধিতে ফুল ও চাদর নিবেদন করছিল। মাজারের পরিচালনা পর্ষদেও ধর্মীয় সম্প্রীতির বিষয়টি দেখার মতো। এটির ট্রাস্টি দুজন মুসলিম হলেও বংশগতভাবে এটির অভিভাবকত্ব করে আসছে একটি হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবার।
কিন্তু চলতি মাসের শুরুর দিকেই একটি রাজনৈতিক সমাবেশে এক দশকের পুরোনো দাবিকে পুনরুজ্জীবিত করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তিনি জোর গলায় দাবি করেছেন, সমাধিস্থলটি ঐতিহ্যগতভাবে দরগাহ হিসেবে বিবেচিত হলেও এর কাঠামোর নিচে একটি মন্দির ছিল। এই মন্দিরকে আবারও ‘মুক্ত’ করার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন শিন্ডে। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বিবিসি যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী।
শিন্ডে এমন এক সময়ে দাবিটি সামনে আনলেন, যখন ভারতের নামকরা কিছু মসজিদ এবং মুসলিম শাসকদের নির্মিত কিছু স্মৃতিস্তম্ভ কয়েক শ বছর আগে হিন্দু মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল বলে তর্কবিতর্ক শুরু হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শতাব্দীর আশির দশকে মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা আনন্দ দীঘে হাজি মালাং দরগাহ হিন্দুদের দাবি করে একটি প্রচারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ভারতের শিবসেনা দলের ২০ হাজার কর্মীকে নিয়ে দরগাহের ভেতরে প্রবেশ করে একটি পূজার পৌরহিত্য করেছিলেন। এরপর থেকেই হিন্দু কট্টরপন্থীরা দরগাহটিকে ‘মালাংগড়’ নামে চিহ্নিত করতে শুরু করে। পাশাপাশি তারা পূর্ণিমার রাতে সেখানে পূজা করার রীতি অব্যাহত রাখে। এ নিয়ে মুসলিম ভক্ত ও স্থানীয়দের সঙ্গে মাঝে মাঝে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, দরগাহটিকে কেন্দ্র করে বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের অবস্থান বিশ্বাসের চেয়ে বরং কোনো উদ্দেশ্য দ্বারা বেশি তাড়িত। মহারাষ্ট্র রাজ্যের হিন্দু ভোটারদের মধ্যে তাঁর আবেদনকে বাড়িয়ে দিয়েছে আনন্দ দীঘের সেই পুরোনো প্রচারণা। এ প্রসঙ্গে ভারতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রশান্ত দীক্ষিত বলেন, ‘শিন্ডে এখন নিজেকে মহারাষ্ট্রের হিন্দু ত্রাণকর্তা হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন।’
জাতীয় নির্বাচনের পর চলতি বছরের শেষ দিকে ভারতের সবচেয়ে ধনী রাজ্য হিসেবে পরিচিত মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায় ধর্মীয় ইস্যুর মাধ্যমে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন নিশ্চিত করাকে শিন্ডে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বলে মত দিয়েছেন প্রশান্ত দীক্ষিত।
মহারাষ্ট্রের নির্বাচনগুলোতে ভোটাররা সাধারণত চার ভাগে বিভক্ত থাকে। এই ভাগগুলো হলো—স্থানীয় মানুষ, হিন্দু জাতীয়তাবাদী শিবসেনা ও ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), মধ্যপন্থী জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং কংগ্রেস। প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে রাজ্যটিতে।
তবে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে ২০২২ সালে অতিরিক্ত জটিলতার সম্মুখীন হন। সেই বছর তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা মূল শিবসেনা থেকে বেরিয়ে আসেন। এই বিদ্রোহ তৎকালীন শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপির সমন্বয়ে গঠিত ত্রিদলীয় সরকারের পতন ঘটিয়েছিল এবং নতুন সরকার গঠনের জন্য বিজেপির সঙ্গে নতুন জোট গঠন করেন শিন্ডে।
প্রশান্ত দীক্ষিত জানান, বিদ্রোহে পূর্ববর্তী শিবসেনার বেশ কয়েকজন আইন প্রণেতাকে নিজের সঙ্গে রাখতে পারলেও ভোটারের মন বোঝা সহজ বিষয় নয়। এ অবস্থায় দরগাহ ইস্যুটি সামনে এনে পূর্ববর্তী শিবসেনার ভোটারদের আবেগকে নাড়া দিয়ে বৈতরণি পার হওয়ার চেষ্টা করছেন শিন্ডে।
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে একটি মুঘল আমলের জামে মসজিদে জরিপ পরিচালনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। উত্তর প্রদেশের সম্বল জেলায় আজ রোববার সকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা
৮ মিনিট আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতে নিখোঁজ হওয়া এক র্যাবি (ইহুদি ধর্মগুরু) হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। রোববার বিবিসি জানিয়েছে, র্যাবির হত্যাকারীদের খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসরায়েল।
২৪ মিনিট আগেসাম্প্রতিক সময়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ব্যাপক হারে বসতি স্থাপন শুরু করেছে ইসরায়েলি দখলদারেরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কিছু বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর সেই উৎসাহে ভাটা পড়েছে। কিন্তু, সর্বশেষ নির্বাচনে ট্রাম্প ফিরে আসায় ইসরায়েলি দখলদার বসতি স্থাপনকা
১ ঘণ্টা আগেঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যুকে তুরুপের তাস করেছিল। কিন্তু বিজেপির সেই কৌশল কাজে দেয়নি। রাজ্যটির সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে আদিবাসী ভোটারদের সমর্থন অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপির এই প্রচারণ
২ ঘণ্টা আগে