
ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশ। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সেখানে বিধানসভার ভোট। প্রচার এখন তুঙ্গে। এই শীতের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। তবে বিজেপির গোরক্ষা রাজনীতিই সেখানে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আদিত্যনাথের সামনে।
মালিকবিহীন মুক্ত গরুর পাল নিয়ে উত্তর প্রদেশের মানুষ কতটা সন্ত্রস্ত, বিরক্ত সেটি কয়েকটি ঘটনা বর্ণনা করলেই বোঝা যাবে।
গত বছরের নভেম্বরের এক সন্ধ্যায় বাড়ির দাওয়ায় বসে চা পান করছিলেন উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা রাম রাজ (৫৫)। হঠাৎ এক পাগলা গরু তাঁকে আক্রমণ করে। নাতি-নাতনিরা সামান্য দূর থেকে সেই দৃশ্য দেখে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান এই কৃষক।
পুত্রবধূ অনিতা কুমারী বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটা মৃত্যু সেটি। আমার শাশুড়ি সেই দিন থেকে আর ঠিকমতো খাবারও খান না।’
উত্তর প্রদেশে এ ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হিন্দুরা গরুকে পবিত্র মনে করে। কিন্তু বিজেপির নতুন আইন করার আগে পর্যন্ত কৃষকেরা তাঁদের বৃদ্ধ অনুৎপাদনশীল গরু কসাইখানায় বিক্রি করতেন। শিব পূজন নামে এক কৃষক বলেন, ‘দুধ দেওয়া বন্ধ করলে বা হালচাষের অনুপযুক্ত হয়ে পড়লে আমরা সেই গরু বেচে দিতাম। কঠিন সময়ের জন্য আমাদের একটা ব্যাকআপ পরিকল্পনা ছিল এটি।’
কিন্তু নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার হিন্দুত্ববাদী অ্যাজেন্ডা হিসেবে গোহত্যা কঠোরভাবে দমন করেছে। উত্তর প্রদেশসহ ১৮টি রাজ্যে এখন গোহত্যা অবৈধ।
কট্টরপন্থী বিজেপি নেতা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি কথিত অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। যদিও উত্তর প্রদেশে মাংসের বিশাল ব্যবসা। মহিষের মাংসের প্রধান রপ্তানিকারক রাজ্য এটি।
গবাদিপশু ব্যবসায়ীদের অনেকেই মুসলিম বা দলিত। গত কয়েক বছরে তাঁরাই বহুবার প্রায়ই বিজেপি বা স্থানীয় ডানপন্থী উগ্র গোষ্ঠীর গোরক্ষা বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। ভয়ে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। কৃষকেরা এখন বুড়ো অনুৎপাদনশীল গরু মাঠে ঘাটে বা জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসে।
এমনি এক কৃষক পূজন। তিনি তাঁর বুড়ো গরু পাশের জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছেন। পূজন বলেন, ‘এখন কোনো ক্রেতা নেই, কেউই গরু বিক্রি করতে পারবে না।’ অন্যরাও তাঁর মতোই বুড়ো গরু জঙ্গলে ছেড়ে দেয় বলে জানান তিনি।
এই ছুটা গবাদিপশুদের প্রায়ই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে ইতস্তত ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কৃষক ও স্থানীয়রা বলছেন, এই গরুগুলো সব সময় ক্ষুধার্ত থাকে। এ কারণে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। এমনই একটি গরু কৃষক রাম রাজের বাড়ির উঠানে ঢুকে পড়ে তাঁকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে।
পূজন নিজেই সম্প্রতি ছুটা গরুর পালের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। ফসলের খেত থেকে তাড়াতে গিয়ে প্রায় মরতে বসেছিলেন তিনি। প্রাণ বাঁচাতে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে পালাতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছেন পূজন। সেই ব্যান্ডেজ করা হাত দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘পালের দুটি গরু আমাকে মাটিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। আমি জীবন হাতে দিয়ে দৌড় দিয়েছিলাম।’
পূজন নিজেও একজন হিন্দু ভক্ত। তিনি বিশ্বাস করেন গরু পবিত্র। কিন্তু মনে করেন, সব গরু রক্ষা করতে হবে সরকারের এমন আদেশ হতাশাজনক। তাঁর মতো কৃষকেরা বলেন, ছুটা গরুর পাল ফসল নষ্ট করে, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটায় এবং কখনো কখনো মানুষ হত্যা করে।
এমন এক বিধবা পুনম দুবে। বলেন, ‘ছুটা গরুর কারণে আমার ছেলে এখন এতিম। কে দেখবে আমাদের?’ ভূপেন্দ্র দুবে (৩৬) ২০২০ সালে কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে লকডাউনের সময় চাকরি হারান। গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। একদিন স্থানীয় বাজারে ছেলের জন্য মিঠাই কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গরুর আক্রমণে প্রাণ হারান।
গরুর আক্রমণে গুরুতর জখম হয়ে ২০১৯ সাল থেকে কোমায় ছিলেন ৮০ বছর বয়সী রাম কালী। তাঁর পরিবার বলছে, রাম কালী এখনো জানেন না গত বছর মহামারির শুরুর দিকে তাঁর একমাত্র ছেলে কোভিডে মারা গেছেন।
বিরোধী দলগুলো উত্তর প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে বিষয়টি জোরেশোরেই সামনে আনছে। যেখানে উত্তর প্রদেশ মূলত গ্রামভিত্তিক একটি রাজ্য। সেখানে কৃষকেরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোট ব্যাংক।
এ ব্যাপারে শাসক বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র সমীর সিংয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল বিবিসি। তিনি বলেন, এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকার ‘নতুন কৌশল তৈরি করছে’। সমীর বলেন, ‘এগুলোকে ছুটা গরু বলা উচিত নয়। কারণ, গরু হিন্দু সংস্কৃতিরই অংশ। আমরা কখনোই কিন্তু আমাদের মুরব্বিদের বৃদ্ধ হওয়ার পর মরার জন্য বাড়ি থেকে বের করে দিই না। সেখানে আমরা কীভাবে গরুগুলোকে মরার জন্য রাস্তায় ছেড়ে দেব?’
সমীর সিং মূলত অনুৎপাদনশীল গরুগুলোকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার কথাই বোঝাচ্ছেন। আদিত্যনাথের সরকার আরও গো-আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রচুর টাকা বরাদ্দ করেছে। সরকার পরিচালিত হাজার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনার জন্য বিশেষ অ্যালকোহল ট্যাক্সও আরোপ করা হয়েছে।
কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। সম্প্রতি অযোধ্যা জেলায় বিবিসি হিন্দি একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে। দেখা যায়, সেখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি গরু রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়ক শত্রুঘ্ন তিওয়ারি বলেন, ‘এখানে ২০০টি গরু আছে। এটাই আমাদের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা। ৭০০-১০০০ গরু এখনো এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
এদিকে প্রতিনিয়ত খেতখামারে ঢুকে পড়ছে ছুটা গরুর পাল। ফসল বাঁচাতে কৃষকেরা পালা করে খেত পাহারা দিচ্ছেন। প্রচণ্ড শীত আর সাপের ভয় উপেক্ষা করে দল গঠন করে রাতভর পালা করে মাঠ টহল দেন তাঁরা।
কৃষক বিমলা কুমারী (৬৪) বলেন, ‘আমাদের গ্রামজুড়ে কয়েকটি দল আছে, তারা পালা করে পাহারা দিচ্ছে। আমরা রাতে পাহারা দিই, সকালে একটি নতুন দল এলে আমরা বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নিই।’
দীনা নাথের মতো স্থানীয় অনেকেই বলছেন, গরু নিয়ে সরকারের এমন অবস্থানে তাঁরা বিরক্ত। এবার নির্বাচন বর্জনের কথাও ভাবছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, ‘আমাদের সমস্যার সমাধান না হলে ভোট দিয়ে কী লাভ!’

ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশ। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সেখানে বিধানসভার ভোট। প্রচার এখন তুঙ্গে। এই শীতের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। তবে বিজেপির গোরক্ষা রাজনীতিই সেখানে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আদিত্যনাথের সামনে।
মালিকবিহীন মুক্ত গরুর পাল নিয়ে উত্তর প্রদেশের মানুষ কতটা সন্ত্রস্ত, বিরক্ত সেটি কয়েকটি ঘটনা বর্ণনা করলেই বোঝা যাবে।
গত বছরের নভেম্বরের এক সন্ধ্যায় বাড়ির দাওয়ায় বসে চা পান করছিলেন উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা রাম রাজ (৫৫)। হঠাৎ এক পাগলা গরু তাঁকে আক্রমণ করে। নাতি-নাতনিরা সামান্য দূর থেকে সেই দৃশ্য দেখে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান এই কৃষক।
পুত্রবধূ অনিতা কুমারী বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটা মৃত্যু সেটি। আমার শাশুড়ি সেই দিন থেকে আর ঠিকমতো খাবারও খান না।’
উত্তর প্রদেশে এ ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হিন্দুরা গরুকে পবিত্র মনে করে। কিন্তু বিজেপির নতুন আইন করার আগে পর্যন্ত কৃষকেরা তাঁদের বৃদ্ধ অনুৎপাদনশীল গরু কসাইখানায় বিক্রি করতেন। শিব পূজন নামে এক কৃষক বলেন, ‘দুধ দেওয়া বন্ধ করলে বা হালচাষের অনুপযুক্ত হয়ে পড়লে আমরা সেই গরু বেচে দিতাম। কঠিন সময়ের জন্য আমাদের একটা ব্যাকআপ পরিকল্পনা ছিল এটি।’
কিন্তু নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার হিন্দুত্ববাদী অ্যাজেন্ডা হিসেবে গোহত্যা কঠোরভাবে দমন করেছে। উত্তর প্রদেশসহ ১৮টি রাজ্যে এখন গোহত্যা অবৈধ।
কট্টরপন্থী বিজেপি নেতা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি কথিত অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। যদিও উত্তর প্রদেশে মাংসের বিশাল ব্যবসা। মহিষের মাংসের প্রধান রপ্তানিকারক রাজ্য এটি।
গবাদিপশু ব্যবসায়ীদের অনেকেই মুসলিম বা দলিত। গত কয়েক বছরে তাঁরাই বহুবার প্রায়ই বিজেপি বা স্থানীয় ডানপন্থী উগ্র গোষ্ঠীর গোরক্ষা বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। ভয়ে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। কৃষকেরা এখন বুড়ো অনুৎপাদনশীল গরু মাঠে ঘাটে বা জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসে।
এমনি এক কৃষক পূজন। তিনি তাঁর বুড়ো গরু পাশের জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছেন। পূজন বলেন, ‘এখন কোনো ক্রেতা নেই, কেউই গরু বিক্রি করতে পারবে না।’ অন্যরাও তাঁর মতোই বুড়ো গরু জঙ্গলে ছেড়ে দেয় বলে জানান তিনি।
এই ছুটা গবাদিপশুদের প্রায়ই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে ইতস্তত ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কৃষক ও স্থানীয়রা বলছেন, এই গরুগুলো সব সময় ক্ষুধার্ত থাকে। এ কারণে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। এমনই একটি গরু কৃষক রাম রাজের বাড়ির উঠানে ঢুকে পড়ে তাঁকে আক্রমণ করে মেরে ফেলে।
পূজন নিজেই সম্প্রতি ছুটা গরুর পালের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। ফসলের খেত থেকে তাড়াতে গিয়ে প্রায় মরতে বসেছিলেন তিনি। প্রাণ বাঁচাতে কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে পালাতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছেন পূজন। সেই ব্যান্ডেজ করা হাত দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘পালের দুটি গরু আমাকে মাটিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। আমি জীবন হাতে দিয়ে দৌড় দিয়েছিলাম।’
পূজন নিজেও একজন হিন্দু ভক্ত। তিনি বিশ্বাস করেন গরু পবিত্র। কিন্তু মনে করেন, সব গরু রক্ষা করতে হবে সরকারের এমন আদেশ হতাশাজনক। তাঁর মতো কৃষকেরা বলেন, ছুটা গরুর পাল ফসল নষ্ট করে, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটায় এবং কখনো কখনো মানুষ হত্যা করে।
এমন এক বিধবা পুনম দুবে। বলেন, ‘ছুটা গরুর কারণে আমার ছেলে এখন এতিম। কে দেখবে আমাদের?’ ভূপেন্দ্র দুবে (৩৬) ২০২০ সালে কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে লকডাউনের সময় চাকরি হারান। গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। একদিন স্থানীয় বাজারে ছেলের জন্য মিঠাই কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গরুর আক্রমণে প্রাণ হারান।
গরুর আক্রমণে গুরুতর জখম হয়ে ২০১৯ সাল থেকে কোমায় ছিলেন ৮০ বছর বয়সী রাম কালী। তাঁর পরিবার বলছে, রাম কালী এখনো জানেন না গত বছর মহামারির শুরুর দিকে তাঁর একমাত্র ছেলে কোভিডে মারা গেছেন।
বিরোধী দলগুলো উত্তর প্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে বিষয়টি জোরেশোরেই সামনে আনছে। যেখানে উত্তর প্রদেশ মূলত গ্রামভিত্তিক একটি রাজ্য। সেখানে কৃষকেরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোট ব্যাংক।
এ ব্যাপারে শাসক বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র সমীর সিংয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল বিবিসি। তিনি বলেন, এ সমস্যা মোকাবিলায় সরকার ‘নতুন কৌশল তৈরি করছে’। সমীর বলেন, ‘এগুলোকে ছুটা গরু বলা উচিত নয়। কারণ, গরু হিন্দু সংস্কৃতিরই অংশ। আমরা কখনোই কিন্তু আমাদের মুরব্বিদের বৃদ্ধ হওয়ার পর মরার জন্য বাড়ি থেকে বের করে দিই না। সেখানে আমরা কীভাবে গরুগুলোকে মরার জন্য রাস্তায় ছেড়ে দেব?’
সমীর সিং মূলত অনুৎপাদনশীল গরুগুলোকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার কথাই বোঝাচ্ছেন। আদিত্যনাথের সরকার আরও গো-আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রচুর টাকা বরাদ্দ করেছে। সরকার পরিচালিত হাজার হাজার আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনার জন্য বিশেষ অ্যালকোহল ট্যাক্সও আরোপ করা হয়েছে।
কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয়নি। সম্প্রতি অযোধ্যা জেলায় বিবিসি হিন্দি একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে। দেখা যায়, সেখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি গরু রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রটির তত্ত্বাবধায়ক শত্রুঘ্ন তিওয়ারি বলেন, ‘এখানে ২০০টি গরু আছে। এটাই আমাদের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা। ৭০০-১০০০ গরু এখনো এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
এদিকে প্রতিনিয়ত খেতখামারে ঢুকে পড়ছে ছুটা গরুর পাল। ফসল বাঁচাতে কৃষকেরা পালা করে খেত পাহারা দিচ্ছেন। প্রচণ্ড শীত আর সাপের ভয় উপেক্ষা করে দল গঠন করে রাতভর পালা করে মাঠ টহল দেন তাঁরা।
কৃষক বিমলা কুমারী (৬৪) বলেন, ‘আমাদের গ্রামজুড়ে কয়েকটি দল আছে, তারা পালা করে পাহারা দিচ্ছে। আমরা রাতে পাহারা দিই, সকালে একটি নতুন দল এলে আমরা বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নিই।’
দীনা নাথের মতো স্থানীয় অনেকেই বলছেন, গরু নিয়ে সরকারের এমন অবস্থানে তাঁরা বিরক্ত। এবার নির্বাচন বর্জনের কথাও ভাবছেন অনেকে। তাঁরা বলছেন, ‘আমাদের সমস্যার সমাধান না হলে ভোট দিয়ে কী লাভ!’

সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
১১ মিনিট আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় গেল রাত ২টা) ‘অপারেশন হক-আই স্ট্রাইক’ নামে এই অভিযান শুরু হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে আইএসের অবকাঠামো ও অস্ত্রাগারসহ ৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
ফাইটার জেট, অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং আর্টিলারি ব্যবহার করে ১০০টিরও বেশি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদী গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, দেইর আজ-জোর প্রদেশে আইএসের অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ওই অঞ্চলে ড্রোন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইএসের এক শীর্ষ নেতাও রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘যেমনটা কথা দিয়েছিলাম, আমাদের ওপর হামলাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ নিচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, সিরিয়ার বর্তমান সরকার এই অভিযানে ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযানের লক্ষ্য স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘এটি কোনো যুদ্ধের শুরু নয়—এটি প্রতিশোধের ঘোষণা। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যদি আপনি আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু করেন, তবে আপনার বাকি জীবন এটা জেনে কাটাতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে খুঁজে বের করবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করবে।’
১৩ ডিসেম্বর পালমিরায় এক আইএস সদস্যের অতর্কিত হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হন। আহত হন আরও তিন সেনা। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই ছিল প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রাণহানি ঘটে।
সেন্টকমের দাবি, ওই হামলাকারী একজন আইএস সদস্য ছিলেন। পরে পাল্টা অভিযানে হামলাকারীকে হত্যা করা হয়।
২০২৪ সালে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পথে হাঁটছেন। গত নভেম্বরেই তিনি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আসাদ-পরবর্তী সিরিয়া এখন আইএস দমনে আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।

সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় গেল রাত ২টা) ‘অপারেশন হক-আই স্ট্রাইক’ নামে এই অভিযান শুরু হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে আইএসের অবকাঠামো ও অস্ত্রাগারসহ ৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
ফাইটার জেট, অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং আর্টিলারি ব্যবহার করে ১০০টিরও বেশি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদী গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, দেইর আজ-জোর প্রদেশে আইএসের অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ওই অঞ্চলে ড্রোন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইএসের এক শীর্ষ নেতাও রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘যেমনটা কথা দিয়েছিলাম, আমাদের ওপর হামলাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ নিচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, সিরিয়ার বর্তমান সরকার এই অভিযানে ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযানের লক্ষ্য স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘এটি কোনো যুদ্ধের শুরু নয়—এটি প্রতিশোধের ঘোষণা। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যদি আপনি আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু করেন, তবে আপনার বাকি জীবন এটা জেনে কাটাতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে খুঁজে বের করবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করবে।’
১৩ ডিসেম্বর পালমিরায় এক আইএস সদস্যের অতর্কিত হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হন। আহত হন আরও তিন সেনা। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই ছিল প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রাণহানি ঘটে।
সেন্টকমের দাবি, ওই হামলাকারী একজন আইএস সদস্য ছিলেন। পরে পাল্টা অভিযানে হামলাকারীকে হত্যা করা হয়।
২০২৪ সালে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পথে হাঁটছেন। গত নভেম্বরেই তিনি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আসাদ-পরবর্তী সিরিয়া এখন আইএস দমনে আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।

উত্তর প্রদেশে এই ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২২
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই জানান, ২৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী চাং ওয়েন প্রথমে তাইপের ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এরপর তিনি কাছের আরেকটি স্টেশনে গিয়ে পথচারীদের ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পর বহুতল একটি ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক ও বেসবল ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি ব্যস্ত সড়কের ওপর স্মোক বোমা ছুড়ছেন। এরপর তাঁকে হাতে বড় ছুরি নিয়ে গাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী চো বলেন, তাইপে মেট্রো স্টেশনটি একটি ব্যস্ত আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং স্ট্রিটের সঙ্গে সংযুক্ত। সেখানেই প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ভোঁতা কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপর হামলাকারী আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং সেন্টার দিয়ে পালিয়ে প্রায় ৮০০ মিটার দূরের ঝংশান স্টেশনে পৌঁছান। এরপর তিনি ঝংশান স্টেশনের বাইরে আবারও স্মোক বোমা ছোড়েন এবং ছুরিকাঘাত করে আরও কয়েকজনকে আহত করেন। পরে কাছের একটি বইয়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ঢুকে পড়েন। পুলিশ স্থানটি ঘিরে ফেললে হামলাকারী ভবন থেকে পড়ে যান।
এদিকে হামলার পর মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড), রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই। তিনি বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারীর সম্পর্কে তদন্ত করে তার উদ্দেশ্য ও অন্য কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিংতেও ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের রেকর্ড ছিল এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
তাইওয়ানে সহিংস অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম। এ ধরনের বড় হামলা সর্বশেষ ঘটে ২০১৪ সালে। তাইপের একটি মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড) এক ব্যক্তি চারজনকে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় হামলাকারীকে দুই বছর পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই জানান, ২৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী চাং ওয়েন প্রথমে তাইপের ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এরপর তিনি কাছের আরেকটি স্টেশনে গিয়ে পথচারীদের ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পর বহুতল একটি ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক ও বেসবল ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি ব্যস্ত সড়কের ওপর স্মোক বোমা ছুড়ছেন। এরপর তাঁকে হাতে বড় ছুরি নিয়ে গাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী চো বলেন, তাইপে মেট্রো স্টেশনটি একটি ব্যস্ত আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং স্ট্রিটের সঙ্গে সংযুক্ত। সেখানেই প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ভোঁতা কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপর হামলাকারী আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং সেন্টার দিয়ে পালিয়ে প্রায় ৮০০ মিটার দূরের ঝংশান স্টেশনে পৌঁছান। এরপর তিনি ঝংশান স্টেশনের বাইরে আবারও স্মোক বোমা ছোড়েন এবং ছুরিকাঘাত করে আরও কয়েকজনকে আহত করেন। পরে কাছের একটি বইয়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ঢুকে পড়েন। পুলিশ স্থানটি ঘিরে ফেললে হামলাকারী ভবন থেকে পড়ে যান।
এদিকে হামলার পর মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড), রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই। তিনি বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারীর সম্পর্কে তদন্ত করে তার উদ্দেশ্য ও অন্য কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিংতেও ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের রেকর্ড ছিল এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
তাইওয়ানে সহিংস অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম। এ ধরনের বড় হামলা সর্বশেষ ঘটে ২০১৪ সালে। তাইপের একটি মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড) এক ব্যক্তি চারজনকে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় হামলাকারীকে দুই বছর পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

উত্তর প্রদেশে এই ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২২
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
১১ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারটি প্রবল কুয়াশার কারণে তাহেরপুরের সভাস্থলে অবতরণ করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে কপ্টারটি কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে যায়। এরপর দমদম বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভার কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর আগে সভাস্থলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া চাকদহ সংলগ্ন এলাকায় ‘গো ব্যাক মোদী’ প্ল্যাকার্ড দেখা যাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা কব্জা করবে বলে স্থির করেছে, আর তৃণমূল তাদেরই পছন্দ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে তারা আইনের বিরোধ করছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের বদলে ওরা মোদীকে “গো ব্যাক” বলছে। এটা তৃণমূলের আসল চেহারা।’
বাংলার মানুষের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তায় মোদী বলেন, ‘তৃণমূল মোদীর বিরোধ করতে চাইলে করুক, কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন কেন আটকানো হচ্ছে? মোদীর বিরোধ করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে কষ্ট দেওয়ার পাপ করবেন না। ” তিনি বিহারের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে যেমন ‘জঙ্গলরাজ’ উপড়ে ফেলা হয়েছে, বাংলাতেও বিজেপি শান্তি ও উন্নয়ন ফেরাবে।’
এদিন রিমোটের মাধ্যমে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার চার লেনের রাস্তার উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নদীয়ার এই নতুন সড়ক ব্যবস্থাকে উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভূমি এই বাংলা থেকেই ‘বিকশিত ভারতের’ মন্ত্র হিসেবে ‘বন্দে মাতরম’ উচ্চারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বামপন্থীদের ৩০ বছরের শাসনের সমালোচনা করে বলেন, তৃণমূল বামেদের সব খারাপ গুণগুলো গ্রহণ করে নিয়েছে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের অবদানের কথা স্মরণ করে শ্রীচৈতন্যদেব ও হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারটি প্রবল কুয়াশার কারণে তাহেরপুরের সভাস্থলে অবতরণ করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে কপ্টারটি কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে যায়। এরপর দমদম বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভার কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর আগে সভাস্থলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া চাকদহ সংলগ্ন এলাকায় ‘গো ব্যাক মোদী’ প্ল্যাকার্ড দেখা যাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা কব্জা করবে বলে স্থির করেছে, আর তৃণমূল তাদেরই পছন্দ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে তারা আইনের বিরোধ করছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের বদলে ওরা মোদীকে “গো ব্যাক” বলছে। এটা তৃণমূলের আসল চেহারা।’
বাংলার মানুষের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তায় মোদী বলেন, ‘তৃণমূল মোদীর বিরোধ করতে চাইলে করুক, কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন কেন আটকানো হচ্ছে? মোদীর বিরোধ করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে কষ্ট দেওয়ার পাপ করবেন না। ” তিনি বিহারের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে যেমন ‘জঙ্গলরাজ’ উপড়ে ফেলা হয়েছে, বাংলাতেও বিজেপি শান্তি ও উন্নয়ন ফেরাবে।’
এদিন রিমোটের মাধ্যমে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার চার লেনের রাস্তার উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নদীয়ার এই নতুন সড়ক ব্যবস্থাকে উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভূমি এই বাংলা থেকেই ‘বিকশিত ভারতের’ মন্ত্র হিসেবে ‘বন্দে মাতরম’ উচ্চারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বামপন্থীদের ৩০ বছরের শাসনের সমালোচনা করে বলেন, তৃণমূল বামেদের সব খারাপ গুণগুলো গ্রহণ করে নিয়েছে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের অবদানের কথা স্মরণ করে শ্রীচৈতন্যদেব ও হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

উত্তর প্রদেশে এই ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২২
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
১১ মিনিট আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

উত্তর প্রদেশে এই ধরনের আক্রমণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। এখানে গরু জবাই নিষিদ্ধ। ফলে গবাদিপশুর সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। গরুর সংখ্যা এবং এগুলোর দৌরাত্ম্য এতটাই বেড়েছে যে গরুই এখন রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২২
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
১১ মিনিট আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
১ ঘণ্টা আগে