
লোকসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে প্রতিদিন এক লাখ ভোটারকে নানা ধরনের বার্তা পাঠাচ্ছে। ভোটারদের বিজেপি ‘শুভ সকাল’ এবং মিমসও পাঠাচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বিজেপির এমনই একজন সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী অঙ্কুর রানা। তিনি উত্তর প্রদেশের মিরাট সংসদীয় আসনে বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া শাখার সমন্বয়কারী। অঙ্কুর রানা শত শত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিজেপির নির্বাচনী বার্তা পাঠান।
গত মাসে ভোটের প্রচারণার ব্যাখ্যা করে অঙ্কুর রানা বলেন, ‘আমার ৪০০-৫০০টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। যার প্রতিটিতে প্রায় ২০০-৩০০ জন সদস্য রয়েছে। এর বাইরে, আমার কাছে প্রায় পাঁচ হাজার মোবাইল নম্বর রয়েছে। এভাবে আমি একাই প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার ভোটারের কাছে বিজেপির বার্তা পৌঁছাই।’
তিনি বিজেপির একটি ‘ক্র্যাক টিমের’ সদস্য ছিলেন। ওই টিমের লক্ষ্য ছিল শুধু উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী এলাকাতেই লাখ লাখ ভোটারদের কাছে বিজেপির বার্তা পৌঁছে দেওয়া। উদ্বেগজনক হলেও বিজেপি এমনটাই করছে। দলটি এই বছরের লোকসভা নির্বাচনে ৩৭০ আসন জিততে হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য ম্যাসেজিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর ওপরই নির্ভর করছে। কারণ, বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা ভারতীয়। দেশটিতে ৫০ কোটিরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী রয়েছে, যাঁরা দিনে কয়েক ঘণ্টা ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যয় করেন।
বিজেপি ভোটারদের ‘শুভ সকাল’ থেকে শুরু করে মিমস এবং বিভিন্ন ভাষায় রাজনৈতিক বক্তব্য পাঠাচ্ছে। অঙ্কুরের মতো স্বেচ্ছাসেবকেরা নির্বাচনী যন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁরা বিজেপির বার্তা পাঠাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বিবিসি অঙ্কুরের মতো আরও ১০ জন বিজেপি স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে কথা বলেছে, যাঁরা উত্তর প্রদেশে নির্বাচনী এলাকা সোশ্যাল মিডিয়া সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা সবাই বলেছেন, তাঁরা শত শত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালান, যার সদস্য সংখ্যা ২০০ থেকে ২ হাজারের মধ্যে।
মিরাটে বিজেপির স্বেচ্ছাসেবকেরা বলছেন, প্রতিদিন দলের সদর দপ্তর দিল্লি থেকে রাজনৈতিক বার্তা এবং হ্যাশট্যাগ রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে পাঠানো হয়। এসব বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির প্রশংসা ও রাজ্যে বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করা হয়।
কেন্দ্র থেকে শুধু মিরাটেই অঙ্কুরসহ ১৮০ জন নির্বাচনী স্বেচ্ছাসেবকের কাছে এসব বার্তা পৌঁছে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের অধীনে আবার আরও বার্তা প্রেরক রয়েছেন। এমনকি প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রচারণা পরিচালনাকারীদের কাছেও পৌঁছায় এসব বার্তা।
অঙ্কুর বলেছেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ তরুণদের কাছে বার্তা পৌঁছানোর জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। আর চল্লিশোর্ধ্বরা ফেসবুকে বেশি সক্রিয়। গড়ে আমাদের লক্ষ্য প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ নতুন মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছানো।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণার কথা উঠলে বিজেপি অন্য যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে শত ক্রোশ এগিয়ে। কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ের তথ্য ছাড়া এসব করা সম্ভব নয়। দলীয় কর্মীরা বলছেন, বিশেষ করে প্রথমে তাঁদের মানুষের নম্বর পেতে হয়।
মিরাটের একটি ভোটকেন্দ্রে বিজেপির প্রচারণার দায়িত্বে থাকা ভিপিন ভিপালা বলেন, ‘দলের প্রতিটি সদস্যর ওপর ৬০ জন ভোটারের নম্বর সংগ্রহের দায়িত্ব। এটি দলের নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তরের সভাপতি পর্যন্ত। নির্ধারিত ৬০ জনের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ করতে হবে এবং তাঁদের বিজেপিকে ভোট দিতে উৎসাহিত করতে হবে। তাঁদের মোবাইল নম্বর নেওয়া এবং ম্যাসেজিং গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করাও আমাদের দায়িত্ব।’
ভোটারদের জন্য ভিপিনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের নাম ‘হিউম্যানিটি ইজ লাইফ’। এই ক্ষেত্রে প্রকাশ্যভাবে রাজনৈতিক নাম না দেওয়া দলটির বিশেষ আবেদন সৃষ্টির অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভোটারদের কাছে পাঠানো বার্তায় আর সেসবের কোনো রাখঢাক থাকছে না।
বেশ কয়েকটি গ্রুপে বহুবার ফরোয়ার্ড করা একটি ভাইরাল বার্তা যাচাই করেছে বিবিসি। বার্তাটিতে কংগ্রেস দল সংখ্যালঘু মুসলিমদের তুষ্ট করছে বলে অভিযোগ করা হয়। বার্তাটিতে লেখা ছিল, ‘কংগ্রেস এরই মধ্যে ভারতকে একটি ইসলামিক দেশে রূপান্তরিত করেছে। তারা শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ঘোষণা করেনি।’
এই বার্তা কোথা থেকে প্রথমে পাঠানো হয়েছে, তার উৎস বের করা অসম্ভব। তবে এটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নির্বাচনী সমাবেশে বিজেপি নেতাদের বক্তব্যের সারার্থ। এপ্রিলে মোদির বিরুদ্ধে ‘ইসলামবিদ্বেষের’ অভিযোগে ওঠে। তিনি এক সমাবেশে মুসলিমদের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘বিরোধীরা ক্ষমতায় গেলে “অনুপ্রবেশকারী”দের কাছে জনগণের সম্পদ বিতরণ করবে।’
বিজেপির নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলো এই বক্তব্যর ভিডিও অ্যানিমেটেড করে শেয়ার করেছে। দলটির নেতারা দাবি করেছেন, এমনটিই কংগ্রেসের ইশতেহারে লেখা আছে। তবে কংগ্রেসের কোনো নথিতে সম্পদ পুনর্বণ্টন বা মুসলিম শব্দের উল্লেখ নেই। এই ধরনের বার্তা প্রতিনিয়ত কোনো প্ল্যাটফর্মে ছড়াতে থাকলে অনেকেই সত্য বলে বিশ্বাস করে ফেলেন।
সাম্প্রতিক প্রচারে বিজেপি দাবি করেছে, ভারতীয় ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য মোদি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ থামিয়েছিলেন। ২০২২ সালের মার্চে প্রথম এই দাবিটি করেছিল দলটির নেতা-কর্মীরা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই এক্সে এবং কিছু নিউজ চ্যানেলে এই ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছিল।
সে সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। একজন মুখপাত্র বলেন, ‘কেউ বোমা হামলা বন্ধ করে রেখেছে বলার অর্থ, আমরা যুদ্ধ সমন্বয় করছি। তাই আমি মনে করি, এমন তথ্য একেবারেই ভুল।’
দুই বছর পর বিজেপির শীর্ষ নেতারা নির্বাচনী প্রচারে এই দাবি আবারও সামনে এনেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছে। বিজেপি কেন এই দাবির পুনরাবৃত্তি করছে—এমন প্রশ্নের জবাব দেয়নি দলটি।
মিরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিবিসি ২০ বছর বয়সী ছাত্রদের সঙ্গে দেখা কথা বলেছে, যাঁরা এই নির্বাচনে প্রথমবারের ভোটার। মোদির ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামানোর তথ্য তাঁরা বিশ্বাস করেছে কি না জিজ্ঞেস করলে তাঁদের অধিকাংশই জানান, তাঁরা বিশ্বাস করেছেন।
বিশাল ভার্মা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা বিশ্বাস করি, ভারতের অনুরোধের কারণে যুদ্ধ থামানো হয়েছিল।’ এ সময় তাঁর বন্ধু ও চারপাশে জড়ো হওয়া অন্যরাও সম্মতিতে মাথা নাড়ে।
মাত্র কয়েকজন ছাত্র দ্বিমত পোষণ করেন। তাঁদের একজন কবির। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক নয়। আমি নিজেও যুদ্ধকবলিত ছাত্রদের বানানো ভিডিও দেখেছি, যারা বলেছে সরকার তাদের সাহায্য করেনি।’
বিবিসি গ্রামের লোকদেরও একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে, যাঁদের অনেকেই টিভিতে আগেই এই সংবাদ দেখেছেন। তেমনই একজন ৪১ বছর বয়সী কৃষক সঞ্জীব কাশ্যপ, ‘হ্যাঁ, যুদ্ধ বন্ধ করা হয়েছিল কারণ মোদিকে বিশ্বব্যাপী সম্মান করা হয়।’
৭৫ বছর বয়সী জগদীশ চৌধুরী বলেন, ‘দেখুন, আমরা শুনেছি যুদ্ধ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা নিজেরা দেখতে যাইনি। কিন্তু আমার মনে হয়, এতে কিছু সত্যতা আছে।’ গ্রামের আরও চারজন তাঁর সঙ্গে একমত হন।
মানুষকে ভুল তথ্য বিশ্বাস করানো এক বড় শক্তি। কারণ, ভোটাররা শেষ পর্যন্ত কাকে ভোট দেবে তা নির্ভর করে—সে যা বিশ্বাস করে তার ওপর। এখানে বিজেপি সেই সুযোগটাই নিচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে প্রতিদিন এক লাখ ভোটারকে নানা ধরনের বার্তা পাঠাচ্ছে। ভোটারদের বিজেপি ‘শুভ সকাল’ এবং মিমসও পাঠাচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বিজেপির এমনই একজন সোশ্যাল মিডিয়া কর্মী অঙ্কুর রানা। তিনি উত্তর প্রদেশের মিরাট সংসদীয় আসনে বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া শাখার সমন্বয়কারী। অঙ্কুর রানা শত শত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিজেপির নির্বাচনী বার্তা পাঠান।
গত মাসে ভোটের প্রচারণার ব্যাখ্যা করে অঙ্কুর রানা বলেন, ‘আমার ৪০০-৫০০টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। যার প্রতিটিতে প্রায় ২০০-৩০০ জন সদস্য রয়েছে। এর বাইরে, আমার কাছে প্রায় পাঁচ হাজার মোবাইল নম্বর রয়েছে। এভাবে আমি একাই প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার ভোটারের কাছে বিজেপির বার্তা পৌঁছাই।’
তিনি বিজেপির একটি ‘ক্র্যাক টিমের’ সদস্য ছিলেন। ওই টিমের লক্ষ্য ছিল শুধু উত্তর প্রদেশের নির্বাচনী এলাকাতেই লাখ লাখ ভোটারদের কাছে বিজেপির বার্তা পৌঁছে দেওয়া। উদ্বেগজনক হলেও বিজেপি এমনটাই করছে। দলটি এই বছরের লোকসভা নির্বাচনে ৩৭০ আসন জিততে হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য ম্যাসেজিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর ওপরই নির্ভর করছে। কারণ, বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা ভারতীয়। দেশটিতে ৫০ কোটিরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী রয়েছে, যাঁরা দিনে কয়েক ঘণ্টা ম্যাসেজিং প্ল্যাটফর্মটিতে ব্যয় করেন।
বিজেপি ভোটারদের ‘শুভ সকাল’ থেকে শুরু করে মিমস এবং বিভিন্ন ভাষায় রাজনৈতিক বক্তব্য পাঠাচ্ছে। অঙ্কুরের মতো স্বেচ্ছাসেবকেরা নির্বাচনী যন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁরা বিজেপির বার্তা পাঠাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
বিবিসি অঙ্কুরের মতো আরও ১০ জন বিজেপি স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে কথা বলেছে, যাঁরা উত্তর প্রদেশে নির্বাচনী এলাকা সোশ্যাল মিডিয়া সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা সবাই বলেছেন, তাঁরা শত শত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালান, যার সদস্য সংখ্যা ২০০ থেকে ২ হাজারের মধ্যে।
মিরাটে বিজেপির স্বেচ্ছাসেবকেরা বলছেন, প্রতিদিন দলের সদর দপ্তর দিল্লি থেকে রাজনৈতিক বার্তা এবং হ্যাশট্যাগ রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে পাঠানো হয়। এসব বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির প্রশংসা ও রাজ্যে বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করা হয়।
কেন্দ্র থেকে শুধু মিরাটেই অঙ্কুরসহ ১৮০ জন নির্বাচনী স্বেচ্ছাসেবকের কাছে এসব বার্তা পৌঁছে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের অধীনে আবার আরও বার্তা প্রেরক রয়েছেন। এমনকি প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রচারণা পরিচালনাকারীদের কাছেও পৌঁছায় এসব বার্তা।
অঙ্কুর বলেছেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপ তরুণদের কাছে বার্তা পৌঁছানোর জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। আর চল্লিশোর্ধ্বরা ফেসবুকে বেশি সক্রিয়। গড়ে আমাদের লক্ষ্য প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ নতুন মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছানো।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণার কথা উঠলে বিজেপি অন্য যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে শত ক্রোশ এগিয়ে। কিন্তু ব্যক্তিগত পর্যায়ের তথ্য ছাড়া এসব করা সম্ভব নয়। দলীয় কর্মীরা বলছেন, বিশেষ করে প্রথমে তাঁদের মানুষের নম্বর পেতে হয়।
মিরাটের একটি ভোটকেন্দ্রে বিজেপির প্রচারণার দায়িত্বে থাকা ভিপিন ভিপালা বলেন, ‘দলের প্রতিটি সদস্যর ওপর ৬০ জন ভোটারের নম্বর সংগ্রহের দায়িত্ব। এটি দলের নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তরের সভাপতি পর্যন্ত। নির্ধারিত ৬০ জনের সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ করতে হবে এবং তাঁদের বিজেপিকে ভোট দিতে উৎসাহিত করতে হবে। তাঁদের মোবাইল নম্বর নেওয়া এবং ম্যাসেজিং গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করাও আমাদের দায়িত্ব।’
ভোটারদের জন্য ভিপিনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের নাম ‘হিউম্যানিটি ইজ লাইফ’। এই ক্ষেত্রে প্রকাশ্যভাবে রাজনৈতিক নাম না দেওয়া দলটির বিশেষ আবেদন সৃষ্টির অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভোটারদের কাছে পাঠানো বার্তায় আর সেসবের কোনো রাখঢাক থাকছে না।
বেশ কয়েকটি গ্রুপে বহুবার ফরোয়ার্ড করা একটি ভাইরাল বার্তা যাচাই করেছে বিবিসি। বার্তাটিতে কংগ্রেস দল সংখ্যালঘু মুসলিমদের তুষ্ট করছে বলে অভিযোগ করা হয়। বার্তাটিতে লেখা ছিল, ‘কংগ্রেস এরই মধ্যে ভারতকে একটি ইসলামিক দেশে রূপান্তরিত করেছে। তারা শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ঘোষণা করেনি।’
এই বার্তা কোথা থেকে প্রথমে পাঠানো হয়েছে, তার উৎস বের করা অসম্ভব। তবে এটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নির্বাচনী সমাবেশে বিজেপি নেতাদের বক্তব্যের সারার্থ। এপ্রিলে মোদির বিরুদ্ধে ‘ইসলামবিদ্বেষের’ অভিযোগে ওঠে। তিনি এক সমাবেশে মুসলিমদের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘বিরোধীরা ক্ষমতায় গেলে “অনুপ্রবেশকারী”দের কাছে জনগণের সম্পদ বিতরণ করবে।’
বিজেপির নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলো এই বক্তব্যর ভিডিও অ্যানিমেটেড করে শেয়ার করেছে। দলটির নেতারা দাবি করেছেন, এমনটিই কংগ্রেসের ইশতেহারে লেখা আছে। তবে কংগ্রেসের কোনো নথিতে সম্পদ পুনর্বণ্টন বা মুসলিম শব্দের উল্লেখ নেই। এই ধরনের বার্তা প্রতিনিয়ত কোনো প্ল্যাটফর্মে ছড়াতে থাকলে অনেকেই সত্য বলে বিশ্বাস করে ফেলেন।
সাম্প্রতিক প্রচারে বিজেপি দাবি করেছে, ভারতীয় ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য মোদি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ থামিয়েছিলেন। ২০২২ সালের মার্চে প্রথম এই দাবিটি করেছিল দলটির নেতা-কর্মীরা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই এক্সে এবং কিছু নিউজ চ্যানেলে এই ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছিল।
সে সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে। একজন মুখপাত্র বলেন, ‘কেউ বোমা হামলা বন্ধ করে রেখেছে বলার অর্থ, আমরা যুদ্ধ সমন্বয় করছি। তাই আমি মনে করি, এমন তথ্য একেবারেই ভুল।’
দুই বছর পর বিজেপির শীর্ষ নেতারা নির্বাচনী প্রচারে এই দাবি আবারও সামনে এনেছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছে। বিজেপি কেন এই দাবির পুনরাবৃত্তি করছে—এমন প্রশ্নের জবাব দেয়নি দলটি।
মিরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিবিসি ২০ বছর বয়সী ছাত্রদের সঙ্গে দেখা কথা বলেছে, যাঁরা এই নির্বাচনে প্রথমবারের ভোটার। মোদির ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামানোর তথ্য তাঁরা বিশ্বাস করেছে কি না জিজ্ঞেস করলে তাঁদের অধিকাংশই জানান, তাঁরা বিশ্বাস করেছেন।
বিশাল ভার্মা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা বিশ্বাস করি, ভারতের অনুরোধের কারণে যুদ্ধ থামানো হয়েছিল।’ এ সময় তাঁর বন্ধু ও চারপাশে জড়ো হওয়া অন্যরাও সম্মতিতে মাথা নাড়ে।
মাত্র কয়েকজন ছাত্র দ্বিমত পোষণ করেন। তাঁদের একজন কবির। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক নয়। আমি নিজেও যুদ্ধকবলিত ছাত্রদের বানানো ভিডিও দেখেছি, যারা বলেছে সরকার তাদের সাহায্য করেনি।’
বিবিসি গ্রামের লোকদেরও একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছে, যাঁদের অনেকেই টিভিতে আগেই এই সংবাদ দেখেছেন। তেমনই একজন ৪১ বছর বয়সী কৃষক সঞ্জীব কাশ্যপ, ‘হ্যাঁ, যুদ্ধ বন্ধ করা হয়েছিল কারণ মোদিকে বিশ্বব্যাপী সম্মান করা হয়।’
৭৫ বছর বয়সী জগদীশ চৌধুরী বলেন, ‘দেখুন, আমরা শুনেছি যুদ্ধ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা নিজেরা দেখতে যাইনি। কিন্তু আমার মনে হয়, এতে কিছু সত্যতা আছে।’ গ্রামের আরও চারজন তাঁর সঙ্গে একমত হন।
মানুষকে ভুল তথ্য বিশ্বাস করানো এক বড় শক্তি। কারণ, ভোটাররা শেষ পর্যন্ত কাকে ভোট দেবে তা নির্ভর করে—সে যা বিশ্বাস করে তার ওপর। এখানে বিজেপি সেই সুযোগটাই নিচ্ছে।

সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
১১ মিনিট আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় গেল রাত ২টা) ‘অপারেশন হক-আই স্ট্রাইক’ নামে এই অভিযান শুরু হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে আইএসের অবকাঠামো ও অস্ত্রাগারসহ ৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
ফাইটার জেট, অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং আর্টিলারি ব্যবহার করে ১০০টিরও বেশি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদী গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, দেইর আজ-জোর প্রদেশে আইএসের অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ওই অঞ্চলে ড্রোন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইএসের এক শীর্ষ নেতাও রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘যেমনটা কথা দিয়েছিলাম, আমাদের ওপর হামলাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ নিচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, সিরিয়ার বর্তমান সরকার এই অভিযানে ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযানের লক্ষ্য স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘এটি কোনো যুদ্ধের শুরু নয়—এটি প্রতিশোধের ঘোষণা। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যদি আপনি আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু করেন, তবে আপনার বাকি জীবন এটা জেনে কাটাতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে খুঁজে বের করবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করবে।’
১৩ ডিসেম্বর পালমিরায় এক আইএস সদস্যের অতর্কিত হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হন। আহত হন আরও তিন সেনা। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই ছিল প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রাণহানি ঘটে।
সেন্টকমের দাবি, ওই হামলাকারী একজন আইএস সদস্য ছিলেন। পরে পাল্টা অভিযানে হামলাকারীকে হত্যা করা হয়।
২০২৪ সালে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পথে হাঁটছেন। গত নভেম্বরেই তিনি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আসাদ-পরবর্তী সিরিয়া এখন আইএস দমনে আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।

সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় গেল রাত ২টা) ‘অপারেশন হক-আই স্ট্রাইক’ নামে এই অভিযান শুরু হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে আইএসের অবকাঠামো ও অস্ত্রাগারসহ ৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
ফাইটার জেট, অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং আর্টিলারি ব্যবহার করে ১০০টিরও বেশি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদী গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, দেইর আজ-জোর প্রদেশে আইএসের অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ওই অঞ্চলে ড্রোন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইএসের এক শীর্ষ নেতাও রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘যেমনটা কথা দিয়েছিলাম, আমাদের ওপর হামলাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ নিচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, সিরিয়ার বর্তমান সরকার এই অভিযানে ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযানের লক্ষ্য স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘এটি কোনো যুদ্ধের শুরু নয়—এটি প্রতিশোধের ঘোষণা। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যদি আপনি আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু করেন, তবে আপনার বাকি জীবন এটা জেনে কাটাতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে খুঁজে বের করবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করবে।’
১৩ ডিসেম্বর পালমিরায় এক আইএস সদস্যের অতর্কিত হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হন। আহত হন আরও তিন সেনা। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই ছিল প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রাণহানি ঘটে।
সেন্টকমের দাবি, ওই হামলাকারী একজন আইএস সদস্য ছিলেন। পরে পাল্টা অভিযানে হামলাকারীকে হত্যা করা হয়।
২০২৪ সালে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পথে হাঁটছেন। গত নভেম্বরেই তিনি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আসাদ-পরবর্তী সিরিয়া এখন আইএস দমনে আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।

লোকসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে প্রতিদিন এক লাখ ভোটারকে নানা ধরনের বার্তা পাঠাচ্ছে। ভোটারদের বিজেপি ‘শুভ সকাল’ এবং মিমসও পাঠাচ্ছে।
২৮ মে ২০২৪
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই জানান, ২৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী চাং ওয়েন প্রথমে তাইপের ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এরপর তিনি কাছের আরেকটি স্টেশনে গিয়ে পথচারীদের ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পর বহুতল একটি ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক ও বেসবল ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি ব্যস্ত সড়কের ওপর স্মোক বোমা ছুড়ছেন। এরপর তাঁকে হাতে বড় ছুরি নিয়ে গাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী চো বলেন, তাইপে মেট্রো স্টেশনটি একটি ব্যস্ত আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং স্ট্রিটের সঙ্গে সংযুক্ত। সেখানেই প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ভোঁতা কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপর হামলাকারী আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং সেন্টার দিয়ে পালিয়ে প্রায় ৮০০ মিটার দূরের ঝংশান স্টেশনে পৌঁছান। এরপর তিনি ঝংশান স্টেশনের বাইরে আবারও স্মোক বোমা ছোড়েন এবং ছুরিকাঘাত করে আরও কয়েকজনকে আহত করেন। পরে কাছের একটি বইয়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ঢুকে পড়েন। পুলিশ স্থানটি ঘিরে ফেললে হামলাকারী ভবন থেকে পড়ে যান।
এদিকে হামলার পর মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড), রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই। তিনি বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারীর সম্পর্কে তদন্ত করে তার উদ্দেশ্য ও অন্য কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিংতেও ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের রেকর্ড ছিল এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
তাইওয়ানে সহিংস অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম। এ ধরনের বড় হামলা সর্বশেষ ঘটে ২০১৪ সালে। তাইপের একটি মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড) এক ব্যক্তি চারজনকে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় হামলাকারীকে দুই বছর পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই জানান, ২৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী চাং ওয়েন প্রথমে তাইপের ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এরপর তিনি কাছের আরেকটি স্টেশনে গিয়ে পথচারীদের ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পর বহুতল একটি ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক ও বেসবল ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি ব্যস্ত সড়কের ওপর স্মোক বোমা ছুড়ছেন। এরপর তাঁকে হাতে বড় ছুরি নিয়ে গাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী চো বলেন, তাইপে মেট্রো স্টেশনটি একটি ব্যস্ত আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং স্ট্রিটের সঙ্গে সংযুক্ত। সেখানেই প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ভোঁতা কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপর হামলাকারী আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং সেন্টার দিয়ে পালিয়ে প্রায় ৮০০ মিটার দূরের ঝংশান স্টেশনে পৌঁছান। এরপর তিনি ঝংশান স্টেশনের বাইরে আবারও স্মোক বোমা ছোড়েন এবং ছুরিকাঘাত করে আরও কয়েকজনকে আহত করেন। পরে কাছের একটি বইয়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ঢুকে পড়েন। পুলিশ স্থানটি ঘিরে ফেললে হামলাকারী ভবন থেকে পড়ে যান।
এদিকে হামলার পর মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড), রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই। তিনি বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারীর সম্পর্কে তদন্ত করে তার উদ্দেশ্য ও অন্য কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিংতেও ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের রেকর্ড ছিল এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
তাইওয়ানে সহিংস অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম। এ ধরনের বড় হামলা সর্বশেষ ঘটে ২০১৪ সালে। তাইপের একটি মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড) এক ব্যক্তি চারজনকে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় হামলাকারীকে দুই বছর পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

লোকসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে প্রতিদিন এক লাখ ভোটারকে নানা ধরনের বার্তা পাঠাচ্ছে। ভোটারদের বিজেপি ‘শুভ সকাল’ এবং মিমসও পাঠাচ্ছে।
২৮ মে ২০২৪
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
১১ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারটি প্রবল কুয়াশার কারণে তাহেরপুরের সভাস্থলে অবতরণ করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে কপ্টারটি কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে যায়। এরপর দমদম বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভার কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর আগে সভাস্থলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া চাকদহ সংলগ্ন এলাকায় ‘গো ব্যাক মোদী’ প্ল্যাকার্ড দেখা যাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা কব্জা করবে বলে স্থির করেছে, আর তৃণমূল তাদেরই পছন্দ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে তারা আইনের বিরোধ করছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের বদলে ওরা মোদীকে “গো ব্যাক” বলছে। এটা তৃণমূলের আসল চেহারা।’
বাংলার মানুষের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তায় মোদী বলেন, ‘তৃণমূল মোদীর বিরোধ করতে চাইলে করুক, কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন কেন আটকানো হচ্ছে? মোদীর বিরোধ করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে কষ্ট দেওয়ার পাপ করবেন না। ” তিনি বিহারের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে যেমন ‘জঙ্গলরাজ’ উপড়ে ফেলা হয়েছে, বাংলাতেও বিজেপি শান্তি ও উন্নয়ন ফেরাবে।’
এদিন রিমোটের মাধ্যমে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার চার লেনের রাস্তার উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নদীয়ার এই নতুন সড়ক ব্যবস্থাকে উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভূমি এই বাংলা থেকেই ‘বিকশিত ভারতের’ মন্ত্র হিসেবে ‘বন্দে মাতরম’ উচ্চারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বামপন্থীদের ৩০ বছরের শাসনের সমালোচনা করে বলেন, তৃণমূল বামেদের সব খারাপ গুণগুলো গ্রহণ করে নিয়েছে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের অবদানের কথা স্মরণ করে শ্রীচৈতন্যদেব ও হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারটি প্রবল কুয়াশার কারণে তাহেরপুরের সভাস্থলে অবতরণ করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে কপ্টারটি কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে যায়। এরপর দমদম বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভার কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর আগে সভাস্থলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া চাকদহ সংলগ্ন এলাকায় ‘গো ব্যাক মোদী’ প্ল্যাকার্ড দেখা যাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা কব্জা করবে বলে স্থির করেছে, আর তৃণমূল তাদেরই পছন্দ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে তারা আইনের বিরোধ করছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের বদলে ওরা মোদীকে “গো ব্যাক” বলছে। এটা তৃণমূলের আসল চেহারা।’
বাংলার মানুষের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তায় মোদী বলেন, ‘তৃণমূল মোদীর বিরোধ করতে চাইলে করুক, কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন কেন আটকানো হচ্ছে? মোদীর বিরোধ করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে কষ্ট দেওয়ার পাপ করবেন না। ” তিনি বিহারের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে যেমন ‘জঙ্গলরাজ’ উপড়ে ফেলা হয়েছে, বাংলাতেও বিজেপি শান্তি ও উন্নয়ন ফেরাবে।’
এদিন রিমোটের মাধ্যমে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার চার লেনের রাস্তার উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নদীয়ার এই নতুন সড়ক ব্যবস্থাকে উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভূমি এই বাংলা থেকেই ‘বিকশিত ভারতের’ মন্ত্র হিসেবে ‘বন্দে মাতরম’ উচ্চারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বামপন্থীদের ৩০ বছরের শাসনের সমালোচনা করে বলেন, তৃণমূল বামেদের সব খারাপ গুণগুলো গ্রহণ করে নিয়েছে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের অবদানের কথা স্মরণ করে শ্রীচৈতন্যদেব ও হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

লোকসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে প্রতিদিন এক লাখ ভোটারকে নানা ধরনের বার্তা পাঠাচ্ছে। ভোটারদের বিজেপি ‘শুভ সকাল’ এবং মিমসও পাঠাচ্ছে।
২৮ মে ২০২৪
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
১১ মিনিট আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।
দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।
বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

লোকসভা নির্বাচনে জয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দলটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে প্রতিদিন এক লাখ ভোটারকে নানা ধরনের বার্তা পাঠাচ্ছে। ভোটারদের বিজেপি ‘শুভ সকাল’ এবং মিমসও পাঠাচ্ছে।
২৮ মে ২০২৪
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
১১ মিনিট আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
১ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
১ ঘণ্টা আগে