Ajker Patrika

পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের ডেরায় তৃণমূলের প্রার্থী গুজরাটের ইউসুফ পাঠান

অনলাইন ডেস্ক
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের ডেরায় তৃণমূলের প্রার্থী গুজরাটের ইউসুফ পাঠান

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকায় বড় চমক দেখাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল। বহরমপুর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে লড়বেন ভারতের জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। কেকেআরের দলেরও সদস্য তিনি। 

গুজরাটের বাসিন্দা ইউসুফ পাঠানকে পশ্চিমবঙ্গে এনে নির্বাচনে প্রার্থী করা নিয়ে বিরোধী শিবির এরই মধ্যে সমালোচনার তির ছুড়তে শুরু করেছে। ইউসুফকে ‘বহিরাগত’ বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ইউসুফকে যে আসনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে সেটি বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ‘গড়’ বলেন অনেকে। 

অধীর চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অনেক ভালো হতো, যদি ইউসুফ পাঠানকে যথাযথ সম্মান দেওয়া যেত। কিছুদিন আগে বাংলায় রাজ্যসভার ভোট হয়েছিল। বহিরাগতদের রাজ্যসভায় আসন (এমপি) করে দেওয়া হয়েছে। যদি ইউসুফ পাঠানকে সম্মানিতই করতে হবে, তাহলে ওনাকে রাজ্যসভার সদস্যপদ দিত তৃণমূল। ইউসুফকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো ভালো চিন্তাভাবনা নেই।’ 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। তাই গুজরাটের বাসিন্দা ইউসুফকে এনে লোকসভায় প্রার্থী করাকে বিজেপির সঙ্গে ‘আঁতাত’ হিসেবেই দেখছেন অধীর রঞ্জন। ইউসুফকে রাজ্যে পাঠানোর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘যাতে বিজেপির সাহায্য পাওয়া যায়, আর কংগ্রেস যাতে হারে।’ 

তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় ইউসুফের নাম আসতেই ‘বাঙালি ও বহিরাগত’ ইস্যু তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মোদি ও ইউসুফ দুজনেই তো গুজরাটের, তবে কী করে ইউসুফের বেলায় ইনসাফ হলো—এমন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিজেপি নয়, তৃণমূলই প্রকৃত বাঙালি বিরোধী, ইউসুফের উদাহরণ টেনে এমন তত্ত্বই হাজির করেছেন সুকান্ত মজুমদার। 

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকে হারাতে শুভেন্দু অধিকারীর ওপর দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু কংগ্রেস থেকে বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে ভাগিয়ে এনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী করেন। কিন্তু এত কিছু করেও অধীর চৌধুরীকে হারাতে পারেননি। অধীর ৯০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জেতেন। ২০১৪ সালে কংগ্রেসের যখন দুরবস্থা, তখনো বহরমপুরে ৩ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন কংগ্রেস সাংসদ। 

সম্ভবত এ কারণেই এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘ভালোই হলো তো। আমিও বিখ্যাত হয়ে যাব।’ 

অর্থাৎ অধীর চৌধুরী হারলে বা জিতলে দুটি ক্ষেত্রেই তিনি বিখ্যাত হবেন। কারণ ইউসুফ পাঠান তারকা ক্রিকেটার। ভারতের নাম উজ্জ্বল করা ক্রিকেটার। গোটা বিশ্ব তাঁকে এক ডাকে চেনে। তাই তাঁর কাছে হারলেও বিখ্যাত হওয়া যাবে! 

ইউসুফ পাঠান এখন শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন। গতকাল শনিবার রাতে কলম্বো থেকে মুম্বাইয়ে পৌঁছান। আজ রোববার সকালে পৌঁছান কলকাতায়। ইউসুফের সঙ্গে আজ ব্রিগেডেই প্রথমবার কথা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় ক্রিকেটারের স্ত্রীকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বাড়িতে রাজনীতি প্রবেশ করুক সেটি তিনি চাননি। তখন ইউসুফ পাঠানের নাম নিয়ে আলোচনা হয়। ওই ক্রিকেটার সম্প্রতি নবান্নে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এরপর তৈরি হয় পরিকল্পনা। ইউসুফের কাছে প্রস্তাব পৌঁছাতেই রাজি হন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পন্টিংয়ের আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত