ভারতে গণপিটুনির দায়ে হতে পারে মৃত্যুদণ্ড 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯: ৫৭
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৪, ১০: ২২

ভারতে গতকাল সোমবার থেকে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন কার্যকর হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। এর মধ্য দিয়ে দেশটির আইনব্যবস্থা থেকে ব্রিটিশ আমলের নিয়মগুলো পুরোপুরি উঠে গেছে। তবে নতুন এ পদক্ষেপে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে গণপিটুনির সাজার বিষয়টি। এত দিন এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে আলাদা কোনো আইন ছিল না। তবে নতুন আইনে গণপিটুনিতে কারও মৃত্যু হলে অপরাধীদের যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত সাজার কথা বলা হয়েছে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, প্রথমবারের মতো গণপিটুনি ও বিদ্বেষপূর্ণ অপরাধে হত্যার ঘটনাকে একটি পৃথক বিভাগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতি, বর্ণ, সম্প্রদায় বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের মতো কারণে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তি হত্যাকাণ্ড ঘটালে তা এই বিশেষ বিভাগের আওতায় পড়বে। এ ধরনের ঘটনায় মামলা হবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ (২) ধারায়। 

নতুন ফৌজদারি আইন চালু হলেও পুরোনো আইনগুলো যে একেবারেই ব্যবহার হবে না, এমন নয়। কেননা, ভারতের বিভিন্ন আদালত ও থানায় আগামী রোববার পর্যন্ত ঝুলন্ত মামলার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি। এর সবই চলবে পুরোনো আইন অনুযায়ী। 

নতুন তিন ফৌজদারি আইন কার্যকরের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ নিয়ে কথা বলেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, ‘স্বাধীনতার ৭৭ বছর পর এই প্রথম দেশের আইন পুরোপুরি স্বদেশি হলো। ভারতীয় আত্মার যোগ হয়েছে সংবিধানে। এমন কিছু ধারা নতুন এই ফৌজদারি আইনে যুক্ত করা হয়েছে, তাতে অনেক গোষ্ঠী উপকৃত হবে। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে এত দিন গণপিটুনি নিয়ে আলাদা কোনো ধারা ছিল না। কিন্তু এখন তা যুক্ত করা হয়েছে।’ 

নতুন আইনে বলা হয়েছে, প্রথম শুনানির ৬০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করতে হবে। বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে সাজা ঘোষণা করতে হবে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এই তিন আইনে পুলিশের হাতে এমন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা অতীতে ছিল না।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত