সীমান্তে ফের ভারত-চীন সেনাদের সংঘর্ষ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ২৩: ৩১
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১১: ৩৮

অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত ৯ ডিসেম্বর মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে উভয় পক্ষের কয়েকজন কর্মী সামান্য আহত হয়েছেন। সংক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে এলাকা থেকে সরে গেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে। চীনা সেনারা এলএসি অতিক্রম করলে ভারতীয় সেনারা তাঁদের চ্যালেঞ্জ করেন। আর তখনই সংঘর্ষ শুরু হয়। 

পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষের দীর্ঘ সময় পর ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে এমন সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেল। 

সীমান্তে সংঘর্ষগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের জুনে। ওই সময় গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য প্রাণ হারান। আর চীনের পক্ষে হতাহতের সংখ্যা ছিল ৪০–এর বেশি। এই রক্তক্ষয়ী ঘটনার পর প্যাংগং লেকের দক্ষিণ তীরসহ বেশ কয়েকটি সীমান্তসংলগ্ন স্থানে দুই দেশের সেনারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। 

সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পর দুই দেশের সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়। পরে ভারতীয় ও চীনা সৈন্যরা লাদাখের গোগরা-হট স্প্রিংসসহ মূল পয়েন্টগুলো থেকে সরে গেছেন। 

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, সীমান্ত সম্পর্কে ‘মতবিরোধের’ কারণে ২০০৬ সাল থেকে এ ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। 

সূত্র জানিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরের এলএসি বরাবর কিছু এলাকায় ‘মতবিরোধের’ ক্ষেত্র রয়েছে। এসব এলাকায় উভয় পক্ষই নিয়ন্ত্রণ দাবি করে নিয়মিত টহল দেয়। ২০০৬ সাল থেকে এই প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। গত ৯ ডিসেম্বর চীনা সৈন্যরা এলএসির সঙ্গে যুক্তকারী তাওয়াং সেক্টরে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ দাবি করেন এবং ভারতীয় সেনাদের চ্যালেঞ্জ করে বসেন।

ঘটনার পর ওই এলাকায় ভারতীয় কমান্ডার চীনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে একটি পতাকা বৈঠক করেন। বিরোধপূর্ণ এলাকায় যাতে ‘শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য কাঠামোবদ্ধ ব্যবস্থা’ মেনে চলা হয়, সে ব্যাপারে বৈঠকে আলোচনা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত