প্রতিরক্ষা খাতে অনন্য উচ্চতায় ভারত-ফ্রান্স সম্পর্ক, নতুন রোডম্যাপ ঘোষণা 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫: ১৫
Thumbnail image

প্রতিরক্ষা খাতে অনন্য উচ্চতায় উঠে গেছে ফ্রান্স ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ভারত সফরের সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর দুই দেশ প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে ‘প্রতিরক্ষা শিল্প রোডম্যাপ’ ঘোষণা করেছে। ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী টাটার সঙ্গে ফ্রান্সের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসেরও একটি চুক্তি হওয়ার পথে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ও ফ্রান্স প্রতিরক্ষা উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য একটি ‘প্রতিরক্ষা শিল্প রোডম্যাপ’ ঘোষণা করেছে। এই রোডম্যাপের আওতায় ভবিষ্যতে সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনে যৌথ প্রচেষ্টা এগিয়ে নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে মহাকাশ সহযোগিতার ক্ষেত্রেও চুক্তি হবে দুই দেশের মধ্যে। রাজস্থানের জয়পুর সফরের সময় মোদি ও ইমানুয়েল মাখোঁ এসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান। 

মাখোঁর ভারত সফরের সময় উভয় দেশ একটি প্রতিরক্ষা-মহাকাশ অংশীদারত্ব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, জ্বালানি, ডিজিটাল হেলথ, কৃষি ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে একটি সমঝোতা স্মারকেও স্বাক্ষর করেছে। 

গত বছরের জুলাইয়ে মোদির ফ্রান্স সফরে দুই দেশের যৌথ প্রয়াসে যুদ্ধবিমান, ইঞ্জিন ও সাবমেরিন নির্মাণের বিষয়ে আলাপ হয়েছিল। কিন্তু সে বিষয়ে সরকার-সরকারি আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হলেও ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারতে স্থানীয়ভাবে বেসামরিক হেলিকপ্টার স্থানীয় তৈরির বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে এয়ারবাস ও টাটা। 

দুই দেশের মধ্যে কয়েক বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি, যার আওতায় ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরীর জন্য ২৬টি রাফালে-এম যুদ্ধবিমান এবং তিনটি স্করপিয়ন ক্লাস সাবমেরিন কেনার বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে, সূত্র জানিয়েছে। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুসারে, চুক্তিগুলো চলতি বছরের শেষের দিকে সম্পন্ন হতে পারে। 

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে প্রধান অতিথি করতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু বাইডেন তাতে সাড়া না দেওয়ায় এবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে প্রধান অতিথি করে দেশটি। 

গত বছর ভারতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বাইডেনের ভারতের প্রতি শীতল মনোভাবের বিপরীতে মাখোঁর মাধ্যমে ফ্রান্সের সঙ্গে প্রতিরক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত কিছু চুক্তির মাধ্যমে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রতিরক্ষা খাতে একক নির্ভরশীলতা কাটাতে চাইছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত