পাকিস্তানে বন্যাদুর্গতের বাসে আগুন, ১২ শিশুসহ নিহত ১৮

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ৪২

পাকিস্তানে বন্যাদুর্গতদের বহনকারী একটি বাসে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ১২ জন শিশুসহ অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের কর্মকর্তা ও উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। 

উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর নিজেদের বন্যা-বিধ্বস্ত বাড়িতে ফেরার পথে তারা অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়ে মারা গেছেন। 

এ বছর অস্বাভাবিক ভারী বর্ষণের কারণে পাকিস্তানের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। অন্তত ৮০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং কমপক্ষে ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের শিকার হওয়া বাসটি গতকাল বুধবার রাতে করাচি শহরের উপকণ্ঠ থেকে দক্ষিণ দিকে যাচ্ছিল। এরপর সিন্ধু প্রদেশের জামশোরোর নুরিয়াবাদ শহরের কাছে গেলে হঠাৎ বাসটিতে আগুন ধরে যায়। 

পুলিশ জানিয়েছে, যারা নিহত হয়েছেন, তারা বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা থেকে প্রাণে বাঁচতে করাচি শহরের উপকণ্ঠে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর গতকাল রাতে তারা নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু যাত্রাপথে হঠাৎ বাসটি অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। 

পুলিশ কর্মকর্তা হাশিম ব্রোহি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বাসটির শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় আগুন লেগে পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়েছিল। তদন্তের পর অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিনোদ কুমার এএফপিকে বলেছেন, ‘নিহতরা সবাই নিজ নিজ গ্রামে ফিরে যাচ্ছিলেন। তারা এতটাই ভয়াবহভাবে পুড়েছেন যে লাশের পরিচয় শনাক্ত করার মতো অবস্থায় নেই। লাশগুলো সোহরাব গথের ইধি মর্গে পাঠানো হয়েছে।’ 

জামশোরোর উপকমিশনার বলেছেন, বাসটিতে প্রায় ৮০ জন মানুষ ছিলেন। আগুন লাগার পর বেশির ভাগ মানুষই বাস থেকে নেমে যেতে পেরেছেন। যারা নামতে পারেনি, বিশেষ করে শিশুরা, তারা পুড়ে মারা গেছে। 

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খারাপভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যানবাহন, দুর্বল রাস্তা এবং বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের কারণে পাকিস্তানে প্রায়ই মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। 

এদিকে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় এ বছর এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে ১ হাজার ৭০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত