ভারতে মানহানি মামলায় সমাজকর্মী মেধা পাটকারের পাঁচমাস জেল 

কলকাতা সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ২০: ৩৮

ভারতে সমাজকর্মী মেধা পাটকারকে মানহানির মামলায় পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দিল্লির সাকেত আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাঘব শর্মা এই রায় দেন।

২৩ বছর আগে ২০০১ সালে এই মানহানি মামলাটি দায়ের করেছিলেন বিনয় কুমার সাক্সেনা, যিনি বর্তমানে দিল্লির উপ-রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করছেন।

সোমবার (১ জুলাই) দিল্লির সাকেত আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাঘব শর্মা জানান, মেধা পাটকারের বয়স এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে এক বছর বা দুই বছরের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও দিতে হবে বিনয় সাক্সেনাকে।

দিল্লির সাকেত আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাঘব শর্মা আরও জানান, কারাদণ্ডের আদেশটি ৩০ জনের জন্য স্থগিত থাকবে। গত ২৪ মে এই মামলার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল মেধা পাটকারকে।

বিনয় সাক্সেনা ২০০০ সালে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সিভিল লিবার্টিজ নামে এক সংগঠনের সভাপতি পদে ছিলেন। সমাজকর্মী মেধা পাটকারের ‘নর্মদা বাঁচাও’ আন্দোলনের বিরুদ্ধে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলেন তিনি।

নর্মদা নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করে নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন শুরু করেছিলেন মেধা পাটকার। বিনয় সাক্সেনা ওই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করার পর, বিনয় সাক্সেনার বিরুদ্ধে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন মেধা পাটকার।

বিনয় সাক্সেনার বিরুদ্ধে মেধা পাটকার অভিযোগ করেছিলেন, তিনি গুজরাট সরকারের দালাল। বিল গেটস এবং উলফেনসনের কাছে গুজরাটের জনগণ এবং তাদের সম্পদ বন্ধক রেখেছেন। তাদের থেকে হাওয়ালা মারফত রুপি পেয়েছেন বিনয় সাক্সেনা—এমনই মন্তব্য করেছিলেন মেধা পাটকার।

সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০০১ সালে গুজরাটের আহমেদাবাদের এক আদালতে মেধা পাটকারের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করেন বিনয় সাক্সেনা।

এই মামলার বিরুদ্ধে ২০০৩ সালে সুপ্রিম কোর্টে যান মেধা পাটকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলাটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল।

সেই মানহানি মামলায় ২৪ মে আদালত মেধা পাটকারকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলে। আজ সোমবার দিল্লির সাকেত আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাঘব শর্মা তাঁর সাজা ঘোষণা দেন।

এই রায় ঘোষণার পর, মেধা পাটকর বলেছেন, ‘সত্যকে কখনোই পরাজিত করা যায় না। আমরা কারও মানহানি করার চেষ্টা করিনি, আমরা শুধু আমাদের কাজ করেছি। আমরা আদালতের এই রায়কে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত