Ajker Patrika

ভারতে নরবলির নামে নৃশংসতা চলছেই

কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতে নরবলির নামে নৃশংসতা চলছেই

কুসংস্কারে ভর করে ধর্মের নামে নৃশংসতা থামার কোনো লক্ষণই নেই ভারতে। সরকারের তরফে প্রচার চললেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই কোথাও নরবলি, কোথাও ডাইনি বা কালা জাদুর সন্দেহে নরহত্যা চলছেই। অতিসম্প্রতি কেরালার নরবলির ঘটনা নিয়ে বেশ হইচই হলেও এ ধরনের নৃশংসতা নতুন কিছু নয়।

কেরালার মতো পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরাতেও এখনো বন্ধ হয়নি এ ধরনের বর্বরতা। তবে কেরালার ঘটনাটি নৃশংসতায় অন্য ঘটনাগুলোকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ধর্মীয় কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে পদ্মা ও রসলিন নামে দুই নারীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তাদের মরদেহ ৫৬ টুকরো করে রান্না করেও হত্যাকারীরা খেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দম্পতি ভগবল সিং ও তাঁর স্ত্রী লায়লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কোচি সিটি পুলিশের কমিশনার নাগারাজু চাকিলাম জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মহম্মদ শফি ওরফে রশিদ। সেই নাকি প্ররোচিত করে নরহত্যায়। মানসিক বিকারগ্রস্ত শফি এর আগেও একাত্তর বছরের এক বৃদ্ধাকে নৃশংসভাবে খুন করেছে বলেও তিনি জানান।

কেরালার এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গুজরাটের গীর সোমনাথ জেলায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে বাবা-মা হত্যা করেছে বলে সন্দেহ জেলার পুলিশ সুপার মনোহর সিং জাদেজার।

পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত ইন্দ্রসোহেল গ্রামে সালিশি সভা ডেকে ১৫ জন নারীকে ‘ডাইনি’ অপবাদ দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এক যুবককে মারপিট করা হয়। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরেও এসেছে। তদন্ত চলছে। এই ঘটনাই প্রমাণ করে পশ্চিমবঙ্গেও ‘ডাইনি’ সন্দেহে হত্যা বন্ধ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডের দুমকায় কালা জাদুর অভিযোগে নৃশংসতা হজম করতে হয় স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে।

আসামে গত বছরই সরাইদেও জেলার টিঙালিবাম চা বাগানে দ্বিখণ্ডিত এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই জেলার অপর একটি বাগানেও একই ধরনের নৃশংসতার শিকার হয় আরও এক শিশু। ২০১৯ সালের ১৯ জুন রাজধানী গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দির এলাকায় এক নারীকে নরবলি দেওয়া হয় বলে পুলিশ জানতে পারে। সে বছরের ২৫ জুলাই ওদালগুড়ি জেলার গণকপাড়ায় নিজের ৩ বছরের শিশুকে বলি দিতে গিয়ে ধরা পড়েন যাদব সহরিয়া ও তান্ত্রিক রমেশ সহরিয়া। আসামে ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পর্যন্ত ডাইনি সন্দেহে ১০৭ জনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। 

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রচার চালানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে এখনো রয়ে গিয়েছে অন্ধবিশ্বাস। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত