দুবাইয়ের উপকূলে হতে যাচ্ছে আরেক ‘সুন্দরবন’

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ মে ২০২৪, ০০: ১৮
Thumbnail image

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন বলা হয় বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলীয় এলাকায় বিস্তৃত সুন্দরবনকে। এবার ১০ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে হতে পারে আরও একটি বিশাল উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ বন।

মানবসৃষ্ট এই বনের মহাপরিকল্পনা ও নকশার ছবি প্রকাশ করেছে দুবাই–ভিত্তিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ইউআরবি। উপকূলে বন তৈরি করার এই পরিকল্পনাকে বলা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ‘উপকূলীয় পুনরুদ্ধার প্রকল্প’। 

এ বিষয়ে মঙ্গলবার দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে দুবাই ও এর কাছাকাছি কয়েকটি দ্বীপের ৭২ কিলোমিটার উপকূল রেখা সবুজ হয়ে উঠবে। 

ইউআরবি জানিয়েছে, প্রকল্পটি বর্তমানে নকশা এবং গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো—দুবাইয়ের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকে উন্নত করা, উপকূলরেখার চেহারা বদলে দেওয়া এবং ইকো–টুরিজমে ১০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। এই প্রকল্প দুবাইয়ের সমুদ্রের প্রবাল প্রাচীরকেও বাড়িয়ে তুলবে। 

এভাবেই সবুজ আর জীববৈচিত্র্যে ছেয়ে যাবে দুবাইয়ের উপকূল।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা নিয়ে বর্তমানে দুবাইয়ের ৬টি পাইলট অঞ্চলজুড়ে গবেষণা চলছে। এগুলো হলো— জেবেল আলি বিচ, দুবাই মেরিনা বিচ, জুমেইরাহ পাবলিক বিচ, উম্ম সুকিম বিচ এবং দুবাই আইল্যান্ডস বিচ। 

ইউআরবির একজন প্রতিনিধি দ্য ন্যাশনালকে জানিয়েছেন, প্রকল্পটি অনুমোদিত ও বাস্তবায়িত হলে ওই ম্যানগ্রোভ বনে অসংখ্য সৈকত পার্ক ছাড়াও থাকবে সামাজিক মিলনমেলার নানা বন্দোবস্ত। এসব স্থানে মানুষ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি সাইক্লিংয়ের জন্য স্বতন্ত্র রাস্তা, রানিং ট্র্যাক এবং সৈকতে জনপ্রিয় বিভিন্ন ক্রীড়া সুবিধাও এই পরিকল্পনার অংশ। 

ম্যানগ্রোভ বনে মিউজিয়ামসহ থাকবে পার্ক, সাইক্লিং ও হাঁটার রাস্তাপ্রকল্পটির কেন্দ্রস্থলে থাকবে একটি বোটানিক্যাল মিউজিয়াম। কাচের গম্বুজ যুক্ত এই মিউজিয়ামে উপকূলীয় সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য, উদ্ভিদের বিবর্তন ও অভিযোজন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে ধারণা পাবেন পর্যটকেরা। নতুন প্রজন্মকে পরিবেশ নিয়ে আগ্রহী করে তুলতে এখানে আয়োজন করা হবে নানা কর্মশালা, ইভেন্ট ও সেমিনার। 

প্রস্তাবিত এই ম্যানগ্রোভ বন বায়ুমণ্ডল থেকে প্রতি বছর ১২ কোটি ৩০ লাখ টন কার্বন–ডাই–অক্সাইড অপসারণ করতে সক্ষম হবে। এটি রাস্তা থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার পেট্রলচালিত গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সমতুল্য। 

ইউআরবি বলছে, প্রকল্পটি ২০৪০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত