আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত গতকাল বৃহস্পতিবার ছয় দিনে গড়িয়েছে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎহীন অবরুদ্ধ গাজা প্রতি মুহূর্তে কেঁপে উঠছে ইসরায়েলি বিমান হামলায়। যদিও হামাসের দিক থেকে ইসরায়েলের হামলা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে এসেছে। লেবাননের দিক থেকে হিজবুল্লার আক্রমণও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা শুরু থেকেই ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল সফরে গেছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদি আরব অনেকটাই নীরব। তবে ইরান, সিরিয়া ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলছে। অবশ্য ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গত বুধবার এই সংকট নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহ এরই মধ্যে হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরাও ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে রেখেছে। মিসর গাজাবাসীর জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে। জর্ডান, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা গাজায় সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল হয়েছে।
গাজায় মানবিক বিপর্যয় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে গত শনিবার ভোরে আকস্মিক হামলা চালান হামাস সদস্যরা। তারপর দুই দিন ইসরায়েলের ভেতরে তুমুল লড়াই হয়। পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় টানা বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই বোমা থেকে রেহাই পাচ্ছে না আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সও। গাজার শিফা হাসপাতালের প্যারামেডিক তালাল তাহা আল জাজিরাকে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালেও হামলা চালাচ্ছে। তিনি ও তাঁর তিন সহকর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন। আহত ফিলিস্তিনিদের সেবা দেওয়ারও সুযোগ রাখছে না ইসরায়েল।
গাজা উপত্যকায় ১৩টি হাসপাতাল রয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতিতে এসব হাসপাতাল পুরোদমে চলতে পারছে না। খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎহীন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, আর কোনো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র খালি নেই। প্রতি মুহূর্তে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের করিডরেও গুরুতর আহত অনেককে সেবা দিতে হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি বেড়ে ১ হাজার ৩৫৪ জন হয়েছে। আহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৪৯ জন হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় তাদের ১২ জন কর্মী নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা বলেছে, গাজা উপত্যকায় গত ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রায় ২ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ মানুষ উপত্যকায় ইউএনআরডব্লিউএর ৯২টি বিদ্যালয়ে আশ্রিত হয়েছে।
জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, গত শনিবার থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ১ হাজার বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এ ছাড়া ৫৬০টির বেশি বাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১৩ হাজার বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই উপত্যকার মানুষ এখন পানি, জ্বালানি আর চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যাপক ঘাটতিতে রয়েছে। বিশেষ করে সাড়ে ৬ লাখ মানুষ ব্যাপক পানির সংকটে রয়েছে।পাশাপাশি গাজার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাটে বর্জ্য, দুর্গন্ধযুক্ত পানি ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরের কৌশলগত পরিচালক মাহা হুসাইনি বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ফসফরাস ব্যবহার করছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ। এসব বোমায় থাকা ফসফরাস অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসতেই জ্বলে ওঠে এবং বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে, যা শ্বাসতন্ত্রকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এদিকে শুধু গাজায় নয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও মিসরের সঙ্গে সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিংয়েও হামলা চালাচ্ছে। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রাফাহ ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিন প্রান্ত ইসরায়েলি হামলায় একেবারে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
হামাসের হামলাও থেমে নেই। ইসরায়েলের এসদেরত এলাকায় রকেট হামলায় গতকাল অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, তারা গত বুধবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে। পশ্চিম তীরের জেনিন ও কালকিলিয়ায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েল জার্মানির কাছে অস্ত্র চেয়েছে বলে জানিয়েছেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা এ পর্যন্ত হামাসের হাতে অপহৃত ৯৭ জনের তথ্য পেয়েছে। দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৩০০। পরিস্থিতি জটিল হওয়ার শঙ্কায় ইসরায়েলে ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মীদের পরিবারগুলোকে সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, হামাসের হামলায় তাদের ২৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন বলেছেন, তাঁদের ২১ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন।
শুরু হয়েছে আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক তৎপরতা
ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের সংঘাতের মধ্যেই ইসরায়েল সফরে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ইসরায়েলের পাশে সব সময় থাকবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গত বুধবার রাতে টেলিফোনে কথা বলেছেন। চীনের মধ্যস্থতায় তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার জোড়া লাগার পর এই প্রথম দুজন কথা বললেন। দুই নেতা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসপিএ জানিয়েছে, সৌদি যুবরাজ বলেছেন, চলমান সংঘাত বন্ধে রিয়াদ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেছেন। তাঁরা ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোকে ফিলিস্তিনের সমর্থনে এক জোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে মিসর বলেছে, তারা গাজাবাসীর জন্য সহায়তা নিয়ে আসা উড়োজাহাজগুলোর জন্য সিনাই এলাকার একটি বিমানবন্দর প্রস্তুত করেছে। সিনাইয়ের আল-আরিশ বিমানবন্দরটি গাজা সীমান্ত থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে। মিসর যখন ঘোষণাটি দিয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে বিমানবন্দরটি কাতার ও জর্ডানের পক্ষ থেকে গাজার জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে আসা তিনটি উড়োজাহাজ অবতরণ করানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল বলে মিসরীয় দুটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও মালয়েশিয়াও গাজার জন্য সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে চিলি, আয়ারল্যান্ড, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে মিছিল হয়েছে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত গতকাল বৃহস্পতিবার ছয় দিনে গড়িয়েছে। খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎহীন অবরুদ্ধ গাজা প্রতি মুহূর্তে কেঁপে উঠছে ইসরায়েলি বিমান হামলায়। যদিও হামাসের দিক থেকে ইসরায়েলের হামলা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে এসেছে। লেবাননের দিক থেকে হিজবুল্লার আক্রমণও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা শুরু থেকেই ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল সফরে গেছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদি আরব অনেকটাই নীরব। তবে ইরান, সিরিয়া ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলছে। অবশ্য ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গত বুধবার এই সংকট নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এদিকে লেবাননের হিজবুল্লাহ এরই মধ্যে হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরাও ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে রেখেছে। মিসর গাজাবাসীর জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে। জর্ডান, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা গাজায় সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল হয়েছে।
গাজায় মানবিক বিপর্যয় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে গত শনিবার ভোরে আকস্মিক হামলা চালান হামাস সদস্যরা। তারপর দুই দিন ইসরায়েলের ভেতরে তুমুল লড়াই হয়। পাশাপাশি গাজা উপত্যকায় টানা বোমাবর্ষণ করে চলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই বোমা থেকে রেহাই পাচ্ছে না আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্সও। গাজার শিফা হাসপাতালের প্যারামেডিক তালাল তাহা আল জাজিরাকে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালেও হামলা চালাচ্ছে। তিনি ও তাঁর তিন সহকর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন। আহত ফিলিস্তিনিদের সেবা দেওয়ারও সুযোগ রাখছে না ইসরায়েল।
গাজা উপত্যকায় ১৩টি হাসপাতাল রয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতিতে এসব হাসপাতাল পুরোদমে চলতে পারছে না। খাদ্য, পানি ও বিদ্যুৎহীন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, আর কোনো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র খালি নেই। প্রতি মুহূর্তে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের করিডরেও গুরুতর আহত অনেককে সেবা দিতে হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি বেড়ে ১ হাজার ৩৫৪ জন হয়েছে। আহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৪৯ জন হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় তাদের ১২ জন কর্মী নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা বলেছে, গাজা উপত্যকায় গত ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রায় ২ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ মানুষ উপত্যকায় ইউএনআরডব্লিউএর ৯২টি বিদ্যালয়ে আশ্রিত হয়েছে।
জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, গত শনিবার থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ১ হাজার বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এ ছাড়া ৫৬০টির বেশি বাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১৩ হাজার বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই উপত্যকার মানুষ এখন পানি, জ্বালানি আর চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যাপক ঘাটতিতে রয়েছে। বিশেষ করে সাড়ে ৬ লাখ মানুষ ব্যাপক পানির সংকটে রয়েছে।পাশাপাশি গাজার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাটে বর্জ্য, দুর্গন্ধযুক্ত পানি ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরের কৌশলগত পরিচালক মাহা হুসাইনি বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় হামলার ক্ষেত্রে ফসফরাস ব্যবহার করছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ। এসব বোমায় থাকা ফসফরাস অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসতেই জ্বলে ওঠে এবং বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে, যা শ্বাসতন্ত্রকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এদিকে শুধু গাজায় নয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও মিসরের সঙ্গে সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিংয়েও হামলা চালাচ্ছে। মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রাফাহ ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিন প্রান্ত ইসরায়েলি হামলায় একেবারে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
হামাসের হামলাও থেমে নেই। ইসরায়েলের এসদেরত এলাকায় রকেট হামলায় গতকাল অন্তত পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা বলেছে, তারা গত বুধবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে। পশ্চিম তীরের জেনিন ও কালকিলিয়ায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েল জার্মানির কাছে অস্ত্র চেয়েছে বলে জানিয়েছেন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা এ পর্যন্ত হামাসের হাতে অপহৃত ৯৭ জনের তথ্য পেয়েছে। দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৩০০। পরিস্থিতি জটিল হওয়ার শঙ্কায় ইসরায়েলে ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মীদের পরিবারগুলোকে সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, হামাসের হামলায় তাদের ২৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন বলেছেন, তাঁদের ২১ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন।
শুরু হয়েছে আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক তৎপরতা
ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের সংঘাতের মধ্যেই ইসরায়েল সফরে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র ইসরায়েলের পাশে সব সময় থাকবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গত বুধবার রাতে টেলিফোনে কথা বলেছেন। চীনের মধ্যস্থতায় তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আবার জোড়া লাগার পর এই প্রথম দুজন কথা বললেন। দুই নেতা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসপিএ জানিয়েছে, সৌদি যুবরাজ বলেছেন, চলমান সংঘাত বন্ধে রিয়াদ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেছেন। তাঁরা ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোকে ফিলিস্তিনের সমর্থনে এক জোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে মিসর বলেছে, তারা গাজাবাসীর জন্য সহায়তা নিয়ে আসা উড়োজাহাজগুলোর জন্য সিনাই এলাকার একটি বিমানবন্দর প্রস্তুত করেছে। সিনাইয়ের আল-আরিশ বিমানবন্দরটি গাজা সীমান্ত থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে। মিসর যখন ঘোষণাটি দিয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে বিমানবন্দরটি কাতার ও জর্ডানের পক্ষ থেকে গাজার জন্য মানবিক সহায়তা নিয়ে আসা তিনটি উড়োজাহাজ অবতরণ করানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল বলে মিসরীয় দুটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও মালয়েশিয়াও গাজার জন্য সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে চিলি, আয়ারল্যান্ড, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে মিছিল হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ব্যাপক হারে বসতি স্থাপন শুরু করেছে ইসরায়েলি দখলদারেরা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কিছু বসতি স্থাপনকারীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর সেই উৎসাহে ভাটা পড়েছে। কিন্তু, সর্বশেষ নির্বাচনে ট্রাম্প ফিরে আসায় ইসরায়েলি দখলদার বসতি স্থাপনকা
১৬ মিনিট আগেঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যুকে তুরুপের তাস করেছিল। কিন্তু বিজেপির সেই কৌশল কাজে দেয়নি। রাজ্যটির সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলে আদিবাসী ভোটারদের সমর্থন অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপির এই প্রচারণ
১ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইসলামাবাদে একটি ব্যাপক প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য তার সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। গত ১৩ নভেম্বর তিনি তাঁর সমর্থকদের শেষবারের মতো প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার ‘চূড়ান্ত ডাক’ দেন। তিনি দাবি করেন, ২৬ তম সংশোধনী
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের পথে রওনা হয়ে গেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকেরা। আদালত ইমরান খানের ‘চূড়ান্ত ডাক’কে অবৈধ বলে ঘোষণা করলেও রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন পিটিআই সমর্থকেরা। তবে সরকার এই সমাবেশ পণ্ড করতে নানা প্রচেষ্টা
৩ ঘণ্টা আগে