Ajker Patrika

রক্তের বন্যা বয়ে গেছে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায়: ডব্লিউএইচও

অনলাইন ডেস্ক
রক্তের বন্যা বয়ে গেছে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায়: ডব্লিউএইচও

অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার জরুরি বিভাগে ‘রক্তের বন্যা’ বয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। হাসপাতালটিতে শত শত আহত রোগী ভর্তি আছে এবং প্রতি মুহূর্তে ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়ে আসছে নতুন রোগী। এ অবস্থায় হাসপাতালটিকেই ‘পুনরুজ্জীবিত’ করা উচিত বলে ডব্লিউএইচও বলেছে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা শুরুর পর বারবার হামলার শিকার হয়েছে আল-শিফা। এই হাসপাতালটির অবস্থান গাজার উত্তরাংশে। ডব্লিউএইচওর এক কর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছে, আল শিফা হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ অতিরিক্ত ভরা। ব্যথা উপশমের ব্যবস্থাও সীমিত। মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে আহতদের। 

আল-শিফায় অবস্থানরত ডব্লিউএইচওর একটি দল জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষ হাসপাতালটিকে আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করছে। 

এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলের কামাল আদওয়ান হাসপাতাল চত্বরে থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর বুলডোজার উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ‘তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত শুরু’র আহ্বান জানিয়েছেন উপত্যকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। 

ইসরায়েলের চলমান হামলার ফলে গাজার টেলিযোগাযোগ বন্ধ থাকায় গত বৃহস্পতিবারের পর হতাহতের তথ্য হালনাগাদ করেনি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এখনো নিহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে ১৮ হাজার ৭৮৭ জন। আহত হয়েছেন প্রায় ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি। 

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি সেনার বোমা বর্ষণের কারণে দলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’। গত শনিবার সংস্থাটি জানিয়েছিল, বিগত ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁরা গাজায় দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। 

সেভ দ্য চিলড্রেনের ফিলিস্তিন বিষয়ক পরিচালক জেসন লি বলেন মাইক্রো ব্লগিং সাইট ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্ম (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে বলেন, গাজায় এটাই তাদের দীর্ঘতম যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে গাজায় কোনো ধরনের যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না এবং সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানতে পারছি না। সেখানে সহায়তার প্রয়োজন বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছে গেছে।’ জেসন লি এটাকে সমষ্টিগত শাস্তি বলে উল্লেখ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত