Ajker Patrika

বাশার আল-আসাদের এক গণকবরেই ১ লাখ লাশ, দাবি সিরীয় সংস্থার

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০: ২২
সিরিয়ার দারা অঞ্চলে একটি গণকবর এলাকায় কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: আনাদোলু
সিরিয়ার দারা অঞ্চলে একটি গণকবর এলাকায় কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: আনাদোলু

সিরিয়া নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাডভোকেসি সংস্থা সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্স দাবি করেছে, রাজধানী দামেস্কের বাইরের একটি গণকবরে অন্তত ১ লাখ জনকে সমাহিত করা হয়েছিল। এদের সবাইকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সাবেক সরকারের আমলে হত্যা করা হয়েছিল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তবে রয়টার্স এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।

সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্সের প্রধান মুয়াজ মোস্তাফা দামেস্ক থেকে রয়টার্সকে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সিরিয়ার রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে আল-কুতাইফাহ নামক স্থানে অবস্থিত এই গণকবর (বাশার আল-আসাদের) পাঁচটি গণকবরের একটি।’ মোস্তফা বিগত কয়েক বছর ধরে কাজ করে এই গণকবরগুলো চিহ্নিত করেছেন।

মুয়াজ মোস্তাফা বলেছেন, ‘১ লাখ মানুষের এই সংখ্যা সবচেয়ে কম অনুমান। এটি খুবই, খুবই অতি রক্ষণশীল এবং প্রায় অন্যায্য একটি অনুমান।’ অর্থাৎ, মোস্তফার দাবি অনুসারে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিশ্চিত যে এই পাঁচটির বাইরে আরও গণকবর আছে এবং ভুক্তভোগীদের মধ্যে কেবল সিরীয়রাই নয়, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশর নাগরিকেরাও আছেন।

সিরিয়ায় ২০১১ সালে আবর বসন্তের ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমন পুরোপুরি গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এরপর থেকে কয়েক লাখ সিরিয়ান নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বাশার আল-আসাদ ও তাঁর পিতা হাফিজ আল-আসাদ মিলে সিরিয়াকে ৫৪ বছর শাসন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আছে।

বাশার আল-আসাদ বারবার তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং সমালোচকদের চরমপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সিরিয়ার জাতিসংঘ দূত কোসাই আল-দাহাক তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি নতুন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছেন এবং সিরিয়ার জনগণের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।

মোস্তাফা সিরিয়ায় পৌঁছান বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় পালানোর পর। তিনি রয়টার্সকে বলেন, সিরিয়ার বিমানবাহিনীর গোয়েন্দা শাখার দায়িত্ব ছিল মরদেহগুলো সামরিক হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা। এরপর সেগুলো বিভিন্ন গোয়েন্দা শাখায় পাঠানো হতো, তারপর গণকবরে। তিনি জানান, মরদেহগুলো দামেস্কের পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে গণকবরে পাঠানো হতো। সেখানকার কর্মীরা লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ির ভেতর থেকে সেগুলো নামানোর কাজে সহায়তা করতেন।

মোস্তফা আরও বলেন, ‘যাঁরা এসব গণকবরে কাজ করেছেন, আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হয়েছি এবং যারা নিজেরা সিরিয়া থেকে পালিয়ে গেছেন অথবা আমরা যাঁদের পালাতে সাহায্য করেছি, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘অনেক বুলডোজারচালক জানিয়েছেন, তারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী মরদেহগুলো গর্তে নামানোর আগে অনেকগুলো লাশ চাপ দিয়ে সংকুচিত করতেন এবং পরে মাটিচাপা দিতেন।’

মোস্তাফা উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলেন, ‘এসব গণকবর অরক্ষিত এবং তদন্তের প্রমাণ সংরক্ষণের জন্য সেগুলো রক্ষা করা প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সঠিক সময়ে নির্বাচন না হলে দেশে মার্শাল ল হবে: নাগরিক ঐক্যের মান্না

হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজের আগেই বের হয়ে যেতে বলা হয় জেলেনস্কিকে

‘আমাদের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করলে থানা ঘেরাও করব’, সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

সৈয়দ জামিলের অভিযোগের জবাবে যা লিখলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত