Ajker Patrika

দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হামাস, আবু উবায়দার হুঁশিয়ারি

আপডেট : ১৮ মে ২০২৪, ১৬: ৪৫
দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হামাস, আবু উবায়দার হুঁশিয়ারি

রাফাহ ও গাজার অন্য স্থানে ইসরায়েলি দখলদারদের স্থল আগ্রাসন যতই দীর্ঘস্থায়ী হোক না কেন, তার ধরন যা-ই হোক না কেন—শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে ফিলিস্তিনিরা। এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জ এল-দিন আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা। তিনি বলেছেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য আমরা প্রস্তুত।’

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

হামাস মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার সম্পূর্ণ আকাঙ্ক্ষা আমাদের আছে। তা সত্ত্বেও আমরা শত্রুর বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। আমরা তাদের এমন এক জলাভূমিতে টেনে নিয়ে যাচ্ছি, যেখানে তারা তাদের সেনাদের মৃত্যু এবং তাদের অফিসারদের বন্দী হওয়া ছাড়া আর কিছুই দেখবে না।’

আবু উবায়দা আরও বলেন, ‘আমরা এটা করতে পারব এই জন্য নয় যে আমরা বিশাল বড় শক্তি। আমরা এটা করতে পারব কারণ, আমরা এই ভূমির মানুষ এবং এই ভূমির সত্যিকার মালিক।’

হামাস মুখপাত্র আরও বলেন, ট্যাংক, সেনাদের বাহন এবং বুলডোজারসহ ১০০টিরও বেশি ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে আল-কাসাম ব্রিগেড। সে সঙ্গে টানেল উড়িয়ে, রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ করে, স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার এবং সম্মুখযুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েলি সেনাদের হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গত সপ্তাহে রাফাহে হামলা চালিয়েছে। সেখানে ১৫ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিল। আইডিএফ রাফাহ ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনের দিকটিও দখল করেছে। ইসরায়েলের দখলকৃত সেই অংশটি গাজায় বহির্বিশ্বের একমাত্র প্রবেশদ্বার এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৭৯ হাজার ২০০ জনের বেশি।

গাজায় সাত মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের যুদ্ধে উপত্যকাটির বড় অংশই পুরোপুরি বিধ্বস্ত। খাবার, পানি, জ্বালানি ও ওষুধের ভয়াবহ অভাবে ভুগছে লাখ লাখ মানুষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিহারে নির্বাচনে ভরাডুবির পর লালু যাদবের ঘরে আগুন, বাপ–ভাইকে ত্যাজ্য করলেন রোহিনী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে তাঁর মেয়ে রোহিনী আচর্য। ছবি: সংগৃহীত
লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে তাঁর মেয়ে রোহিনী আচর্য। ছবি: সংগৃহীত

বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রতিষ্ঠাতা লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে রোহিনী আচার্য পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি রাজনীতি ছাড়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। আজ রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা পোস্টে তিনি বলেছেন, তাঁকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, রোহিনী আচার্য অভিযোগ করেছেন—তাঁকে জঘন্য ভাষায় গালাগাল করা হয়েছে, এমনকি তাঁকে মারতে স্যান্ডেল পর্যন্ত তোলা হয়েছিল। পোস্টে রোহিনী বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডির ভরাডুবির জন্য তাঁর ভাই তেজস্বী যাদবের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী সঞ্জয় যাদব ও রমিজকে দলের পরাজয়ের জন্য দায়ী করেন। তিনি জানান, তিনি ‘রাজনীতি ছাড়ছেন’ এবং নিজ পরিবারকেও ‘ত্যাগ করছেন।’

আবেগঘন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে রোহিনী লিখেছেন, ‘গতকাল এক মেয়ে, এক বোন, এক বিবাহিতা নারী, এক মা—কে অপমান করা হয়েছে, তাঁকে জঘন্য গালাগাল দেওয়া হয়েছে, তাঁকে মারার জন্য স্যান্ডেল তোলা হয়েছে। আমি আত্মসম্মানের সঙ্গে আপস করিনি, আমি সত্য ত্যাগ করিনি। আর শুধু এই কারণেই আমাকে এই অপমান সহ্য করতে হলো।’

রোহিনী আচার্য আরও লিখেন, ‘গতকাল এক মেয়ে বাধ্য হয়ে কান্নারত মা–বাবা আর বোনদের পেছনে রেখে চলে এসেছে। তাঁরা আমাকে আমার পৈতৃক ভিটা থেকে বিচ্ছিন্ন করে বের করে দিয়েছে…আমাকে অনাথ করে দিয়েছে।’

কয়েক মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় পোস্টে রোহিনী অভিযোগ করেন, তাঁকে বলা হয়েছে—তিনি বাবাকে (লালু প্রসাদ যাদব) কিডনি দান করার বিনিময়ে কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন, এমনকি ওই কিডনি দানের সূত্রে লোকসভা নির্বাচনের টিকিটও পেয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ‘গতকাল আমাকে অভিশাপ দেওয়া হয়েছে, ‘নোংরা’ বলা হয়েছে, বাবাকে কিডনি দান করে কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিডনির বিনিময়ে লোকসভার টিকিট কিনেছি—এসব বাজে কথা শুনতে হয়েছে।’

৪৬ বছর বয়সী চিকিৎসক রোহিনী বর্তমানে চিকিৎসা পেশা ছেড়ে গৃহিণীর ভূমিকায় নিজেকে সীমাবদ্ধ করেছেন এবং সিঙ্গাপুরে স্বামীর সঙ্গে স্থায়ী হয়েছেন। তবে তিনি গত বছর বিহারের সারণ আসন থেকে লোকসভা নির্বাচন করে হেরে যান। শনিবার রাজনৈতিক জীবন ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি রাজনীতি ছাড়ছি এবং পরিবারকে ত্যাগ করছি। সঞ্জয় যাদব ও রমিজই আমাকে এটা করতে বলেছে, আর আমিই সব দোষ নিজের ওপর নিচ্ছি।’

সঞ্জয় আরজেডি থেকে নির্বাচিত এমপি। রমিজ উত্তর প্রদেশের একটি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হলেও খুব বেশি পরিচিত নন। দুজনেই তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ। তাঁরা এই ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

পরে গণমাধ্যমকে রোহিনী বলেন, ‘আমার কোনো পরিবার নেই। পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইলে তেজস্বী যাদব, সঞ্জয় যাদব আর রমিজের কাছে যান। ওরাই আমাকে পরিবার থেকে বের করে দিয়েছে। তাঁরা কোনো দায় নেয় না। পুরো দেশ জানতে চাইছে দল এত খারাপ করল কেন। আর আপনি যদি সঞ্জয় যাদব বা রমিজের নাম নেন, আপনাকে অপমান করা হয়, দল থেকে বের করে দেওয়া হয়, গালাগাল করা হয়।’

জল্পনা আছে—এ বছর মে মাসে লালু প্রসাদের বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদবকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘটনায় রোহিনীর মধ্যে ক্ষোভ জমেছিল। তবে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তাঁকে তেজস্বী যাদবের পক্ষে সক্রিয় দেখা গেছে। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডির অবস্থান অত্যন্ত শোচনীয়। দলের আসন ৭৫ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৪-এ, এবং মহাগাঠবন্ধন জোট মিলেও মোটে ৩৫টি আসন পেয়েছে।

এদিকে রোহিনীর এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিজেপি আরজেডি এবং লালু যাদবকে আক্রমণ করে বলেছে, এটি লালুর ‘পিতৃতান্ত্রিক ও নারীবিদ্বেষী মানসিকতার’ প্রতিফলন। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য অভিযোগ করেছেন, বাবাকে কিডনি দান করা সত্ত্বেও রোহিনীকে পাশে না রেখে তেজস্বীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবে তেজস্বীকে ব্যঙ্গ করে আওরঙ্গজেবের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যে নাকি ক্ষমতা দখলের জন্য নিজের বাবা শাহজাহানকে বন্দী করেছিল এবং বড় ভাই দারা শিকোকে সরিয়ে দিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মার্কিন এফ–৩৫ পেয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করুক সৌদি আরব, আবদার ইসরায়েলের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ইসরায়েলের আবদার, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ–৩৫ পেয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করুক সৌদি আরব। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের আবদার, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ–৩৫ পেয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করুক সৌদি আরব। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সৌদি আরবের এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার বিরোধিতা করছে না। তবে দেশটি আবদার, এই চুক্তি রিয়াদের সঙ্গে তেল আবিবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্তে করুক যুক্তরাষ্ট্র। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) আগামীকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে এফ–৩৫ ক্রয়ের চুক্তি, মার্কিন-সৌদি নিরাপত্তা চুক্তি এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হবে এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়। তবে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, এই সফরে সৌদি–ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ আলোচনার সম্ভাবনা কম।

গত মাসে ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে ফোনে বলেন, গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ায় তিনি আশা করছেন সৌদি আরব ধীরে ধীরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগোবে। এরপর, গত শুক্রবার ট্রাম্প ওয়াশিংটন থেকে ফ্লোরিডায় যাওয়ার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এমবিএসের সঙ্গে সৌদি–ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশা করছি, সৌদি আরব অচিরেই আব্রাহাম চুক্তির সঙ্গে যুক্ত হবে।’ ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তি নিয়ে ভাবছেন, যার মধ্যে এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রিও অন্তর্ভুক্ত।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেন, তারা সৌদি আরবের এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের বিরোধিতা করছে না। তবে তারা এই চুক্তিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করার শর্ত হিসেবে দেখতে চায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেন, ‘আমরা ট্রাম্প প্রশাসনকে জানিয়েছি, সৌদি আরবকে এফ–৩৫ সরবরাহ করা সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের শর্তে হতে হবে।’

অপর ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো কূটনৈতিক ফলাফল ছাড়া সৌদি আরবকে এফ–৩৫ দেয়, তাহলে সেটি ‘ভুল এবং প্রতিক্রিয়াশীল হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তুরস্ককে এফ–৩৫ দেওয়ার কঠোর বিরোধিতা করি, কিন্তু সৌদি আরবের ক্ষেত্রে এমন অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের ততটা উদ্বেগ নেই—যদি এই চুক্তি আব্রাহাম চুক্তির অংশ হিসেবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতার অংশ হয়, যেমনটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে রয়েছে।’

ইসরায়েল বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ যার কাছে এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান আছে। সৌদি আরবকে এই যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হলে আঞ্চলিক সামরিক ভারসাম্য পরিবর্তিত হবে এবং ইসরায়েলি সামরিক সুবিধার উপর এর প্রভাব পড়বে।

২০২০ সালে আব্রাহাম চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল সম্মত হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাতকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারবে, তবে কয়েকটি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার শর্তে। তবে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিমানের ব্যবহারে সীমাবদ্ধতার দাবি থাকায় চুক্তিটি বাস্তবায়িত হয়নি।

যদি সৌদি আরবের সঙ্গে এফ-৩৫ চুক্তি হয়, ইসরায়েল সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনুরূপ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইবে। এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, মূল উদ্বেগ হলো—সৌদি আরব ইসরায়েলের তুলনায় অনেক কাছাকাছি। তিনি বলেন, ‘এফ–৩৫ যুদ্ধবিমানের সৌদি আরব থেকে ইসরায়েলে পৌঁছানো মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যাপার।’

ইসরায়েল সম্ভবত এটাও চাইবে যে, সৌদি আরবকে সরবরাহ করা কোনো এফ-৩৫ পশ্চিম সৌদি আরবের কোনো বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হবে না। মার্কিন কর্মকর্তারা সৌদি প্রশাসনকে জানিয়েছে—তারা আশা করছে এই ইস্যুতে কিছু অগ্রগতি হবে ট্রাম্প-এমবিএসের বৈঠকের সময়। যদিও তারা স্বীকার করছে, সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে ফারাক এখনো অনেক বেশি।

মূল ফারাকটি সৌদি আরবের একটি দাবি নিয়ে। সেটি হলো—ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘একটি বিশ্বাসযোগ্য, অপরিবর্তনীয় এবং কম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য পথে’ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। নেতানিয়াহু এ পর্যন্ত তা অস্বীকার করেছেন।

দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে জানিয়েছেন তারা আশা করছেন ট্রাম্প এমবিএসের সঙ্গে বৈঠকে তাঁর দাবিগুলো নরম করার জন্য চাপ দেবেন এবং বৈঠকটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব এবং ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু করবে সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে। এসব আলোচনা আগামী মাসগুলোতে বাস্তব রূপ নিতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মধ্যপ্রাচ্যে ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালেন জ্যোতির্বিদেরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৫
ঈদের নামাজ শেষে আলিঙ্গন করছে দুই শিশু। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঈদের নামাজ শেষে আলিঙ্গন করছে দুই শিশু। ছবি: আজকের পত্রিকা

পবিত্র মাস রমজান শুরু হতে পারে আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি। এবার রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সে হিসাবে মুসলমানের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে ২০ মার্চ। এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির বরাত দিয়ে এমনটিই জানিয়েছে গালফ নিউজ।

জ্যোতির্বিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতর আগামী ২০ মার্চ, শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে পারে। আমিরাত জ্যোতির্বিদ্যা সমিতির (এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি) চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান এই পূর্বাভাস দিয়েছেন।

আল জারওয়ান জানিয়েছেন, ১৪৪৭ হিজরি সালের রমজান মাস শুরু হওয়ার চাঁদ ২০২৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার দেখা যেতে পারে। তবে ওই সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার পরিস্থিতি কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এই হিসাব অনুযায়ী, রমজান মাস সম্ভবত ১৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে এবং ৩০ দিন স্থায়ী হতে পারে।

যদি জ্যোতির্বিজ্ঞানের গণনা অনুযায়ী রমজান মাস পূর্ণ ৩০ দিন স্থায়ী হয়, তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনুমোদিত ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সেখানকার বাসিন্দারা একটি দীর্ঘ ছুটি পেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার থেকে ২২ মার্চ রোববার পর্যন্ত মোট চার দিনের সাপ্তাহিক ছুটি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং কর্মস্থল শুরু হবে পরের সোমবার।

যদিও জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব ওপরে উল্লেখিত তারিখ নির্দেশ করছে, তবে ইসলামি ক্যালেন্ডারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই উৎসবের চূড়ান্ত নিশ্চিতকরণ সংশ্লিষ্ট দেশের চাঁদ দেখা কমিটি নিকটবর্তী সময়ে পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে নির্ধারণ করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেক্সিকোতে জেন-জি বিক্ষোভ, পুলিশের বলপ্রয়োগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ২১
মেক্সিকো সিটিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় আন্দোলনকারীদের। ছবি: এএফপি
মেক্সিকো সিটিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় আন্দোলনকারীদের। ছবি: এএফপি

মেক্সিকোজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, দুর্নীতি আর আইনের শাসনের অভাবের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভের আয়োজন করেন জেনারেশন জেডের তরুণেরা। এই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করেছে পুলিশ। খবর আল জাজিরার

স্থানীয় সময় গতকাল শনিবারের মিছিলে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশ নেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রবীণ কর্মী ছাড়াও অংশ নেন মিচোয়াকান রাজ্যের নিহত মেয়র কার্লোস মানসোর সমর্থকেরা। চলতি মাসের শুরুর দিকে ডে অব দ্য ডেড উৎসবের এক জনসমাগমে তাঁকে গুলিতে হত্যা করা হয়।

মেক্সিকো সিটিতে মুখোশধারী কয়েকজন বিক্ষোভকারী জাতীয় প্রাসাদের চারপাশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেললে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ওই প্রাসাদেই থাকেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।

মেক্সিকো সিটির জননিরাপত্তা সচিব পাবলো ভাসকেস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনাটিতে ১০০ পুলিশ আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জনকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। আরও ২০ জন সাধারণ মানুষও আহত হয়েছে বলে ভাসকেস স্থানীয় গণমাধ্যম মিলেনিওকে জানান। তিনি বলেন, ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আরও ২০ জনকে প্রশাসনিক অপরাধের কারণে আটক দেখানো হয়েছে।

মেক্সিকোর দৈনিক এল ইউনিভার্সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীরা জাতীয় প্রাসাদের সীমানায় ঢুকে পড়লে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ছোড়ে এবং পাথর নিক্ষেপ করে। পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে, পুলিশ কয়েক মিনিট ধরে জোকালো প্রাঙ্গণে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর এলাকা খালি করে দেয় এবং শেষ দলটিকেও ছত্রভঙ্গ করে।

বিক্ষোভের আয়োজন করে ‘জেনারেশন জেড মেক্সিকো’ নামে একটি গোষ্ঠী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো তাদের ‘ঘোষণাপত্রে’ বলা হয়, তারা দলনিরপেক্ষ এবং সহিংসতা, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে অতিষ্ঠ মেক্সিকোর তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিসেন্তে ফক্স এবং ধনকুবের রিকার্দো সালিনাস প্লিয়েগো বিক্ষোভের পক্ষে প্রকাশ্যে বার্তা দেন।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমের অভিযোগ, ডানপন্থী দলগুলো জেন-জি আন্দোলনে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বট ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেখাচ্ছে।

এই বছর এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশেও জেন জেড প্রজন্ম বৈষম্য, গণতান্ত্রিক পশ্চাৎপসারণ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। সেপ্টেম্বরে নেপালে জেন-জি আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করেন। মাদাগাস্কারেও একই মাসে বড় বিক্ষোভ হয়। পানির সংকট ও বিদ্যুতের স্থায়ী ঘাটতিতে ক্ষোভ থেকে শুরু হওয়া ওই আন্দোলন সরকারের বৃহত্তর ব্যর্থতা ও দুর্নীতি উন্মোচন করে দেয়। সপ্তাহজুড়ে অস্থিরতার পর সরকার ভেঙে যায়, প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা দেশ ছেড়ে পালান এবং নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত