গাজায় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের ইঙ্গিত

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬: ১৫
Thumbnail image

প্রায় দুই সপ্তাহের টানাপড়েনের মুখে গাজায় ত্রাণ সহায়তার প্রবাহ বাড়াতে জাতিসংঘের প্রস্তাবে উল্লেখযোগ্য সংশোধনী আনার পর তাতে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আজ শুক্রবার ভোট হবে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আনা খসড়া প্রস্তাবটি ‘গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশের গতিধীর’ করবে বলে উদ্বেগ দেখিয়ে তাতে আপত্তি জানায় ওয়াশিংটন। তা ছাড়া ‘জরুরি ভিত্তিতে টেকসই যুদ্ধবিরতি’র প্রস্তাবও সমর্থন করেনি যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়গুলো নিয়ে দুই সপ্তাহজুড়ে খসড়া প্রস্তাবে কাটাছেঁড়া করা হয়। 

এরপর ‘টেকসই যুদ্ধবিরতি’ প্রস্তাব সংশোধন করায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে খসড়া প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার ইঙ্গিত মিলল। এরপরও খসড়া প্রস্তাবকে ‘অত্যন্ত জোরালো’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড।

তবু প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ভোট দেবে না ভেটো না দিয়ে ভোটদানে বিরত থাকবে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত শুধু বলেন, ‘প্রস্তাবটি আমরা সমর্থন করতে পারি।’

লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘এই প্রস্তাব নিয়ে ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত। এই প্রস্তাব প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানবিক সহায়তা বাড়াবে। মানবিক সহায়তা তৎপরতা বাড়ানোর একটি কার্যকর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় মিসরের অগ্রাধিকারকে সমর্থন দেবে এ প্রস্তাব। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে আমরা প্রস্তুত।’

নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্যরা, বিশেষ করে রাশিয়া এই সংশোধনীগুলো মেনে নেবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। নিজ নিজ সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের মিশনগুলোকে পরামর্শ করার সুযোগ দিতে আজ পর্যন্ত ভোট স্থগিত করা হয়।

খসড়া প্রস্তাবের ভাষা এবং বিষয়বস্তু নিয়ে পুরো সপ্তাহজুড়েই চলেছে আলোচনা। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে প্রস্তাব আনতে চেয়েও তা থেকে সরে গিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। মূল খসড়া প্রস্তাবে থাকা মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য সহিংসতা স্থগিতের আহ্বান শেষ পর্যন্ত অপসারণ করা হয়েছে।

এর বদলে প্রস্তাবে ‘অবিলম্বে নিরাপদ এবং বাধাহীন উপায়ে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য জরুরি পদক্ষেপের আবেদন’ যুক্ত করা হয়েছে। সে সঙ্গে, সহিংসতা বন্ধের জন্য টেকসই শর্তাবলি তৈরির জন্যও আহ্বান জানান হয়েছে।

প্রাথমিক খসড়ায় গাজায় ত্রাণ সরবরাহ তদারকিতে জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। কিন্তু এই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হলে ইসরায়েলের আধিপত্য খর্ব হতে পারে বলে তা অনুমোদন করেনি যুক্তরাষ্ট্র। এখন গাজায় ত্রাণসামগ্রী এবং জ্বালানি সরবরাহ ও বণ্টন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত