অনলাইন ডেস্ক
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল কুরাইশি গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। এমনটাই দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। এর মধ্যে প্রধানতম হলো—এখন আইএসের ভবিষ্যৎ কী? কে হচ্ছেন আইএসের প্রধান?
এর আগে ২০২৯ সালের ২৭ অক্টোবর আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুর পরেও একই প্রশ্ন সামনে এসেছিল। তখন নানা জল্পনা-কল্পনার পর আইএসের প্রধান হিসেবে সামনে এসেছিলেন আবু ইব্রাহিম আল কুরাইশি।
সেই কুরাইশিও নিহত হলেন গত বৃহস্পতিবার। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, গত এক বছর ধরে আবু ইব্রাহিমের অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। তিনি বারবার অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন। সর্বশেষ তিনি যে বাড়িতে থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, আবু ইব্রাহিম আল কুরাইশি এই বাড়িতে গত ১১ মাস ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন।
দুই সপ্তাহ আগে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর হাসাকেহেরের কুর্দি-অধ্যুষিত গোহারান কারাগারে বছরের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছিল আইএসআইএস। এর কয়েক দিন পরই যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে, যে অভিযানে কুরাইশি সপরিবারে নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউলাইনস ইনস্টিটিউটের একজন বিশ্লেষক নিক হেরাস বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযান থেকে বোঝা যায়, গোহারান কারাগারে হামলার সঙ্গে কুরাইশির সম্পৃক্ততার গোয়েন্দা তথ্য মার্কিনিদের কাছে ছিল। আর তথ্য পাওয়ার জন্য সম্ভবত তুরস্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল তারা। যুক্তরাষ্ট্রের এমন চাপ সৃষ্টি করা মোটেও অবাক করা কোনো বিষয় নয়।’
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম এলাকায় তুরস্কের যথেষ্ট আধিপত্য রয়েছে। ধারণা করা হয়, এই অঞ্চলের জিহাদি সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক বজায় রেখেছে তুরস্ক। ইদলিব এলাকার বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে তাহরির আল-শাম।
এদিকে আইএসআইএস তাদের ‘খিলাফত’ হারানোর প্রায় তিন বছর পর গোহারান কারাগারে সপ্তাহব্যাপী হামলা চালিয়েছে। তাদের এই হামলা আইএসআইএসের পুনরুত্থানের আশঙ্কা তৈরি করেছিল। সেই আশঙ্কা থেকেই যুক্তরাষ্ট্র অভিযান চালিয়েছে সিরিয়ার ইদলিব এলাকায়। এই এলাকা প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন তাহরির আল-শামের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সেখানেই লুকিয়ে ছিলেন আইএসের প্রধান আবু ইব্রাহিম আল কুরাইশি।
ধারণা করা হচ্ছে, কুরাইশির মৃত্যুর পর নেতৃত্বের সংকটে পড়বে আইএসআইএস। এমন পরিস্থিতিতে কে হবেন আইএসের প্রধান? বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং চারদিকে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে গেছে। তবে আইএসের প্রধান কুরাইশির অবস্থান শনাক্ত করা এবং নিখুঁতভাবে অভিযান পরিচালনা করা মার্কিন ও তাদের মিত্রদের ক্রমবর্ধমান দক্ষতাকেই প্রমাণ করে।
আইএসআইয়ের নেতৃত্বে থাকার সময় কুরাইশি বেশির ভাগ সময় আত্মগোপনে ছিলেন। ইসলামিক স্টেট এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কুরাইশির মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দাবি অনুযায়ী কুরাইশি যদি সত্যিই নিহত হন, তাহলে আইএসকে এখন তাদের নতুন ‘খলিফা’ খুঁজতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরসূরির জন্য কয়েকটি সুস্পষ্ট নাম রয়েছে, তবে পরবর্তী আইএস নেতা সম্ভবত ইদলিবেরই বাসিন্দা হবেন।
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রধান আবু ইব্রাহিম আল-হাশেমি আল কুরাইশি গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। এমনটাই দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। এর মধ্যে প্রধানতম হলো—এখন আইএসের ভবিষ্যৎ কী? কে হচ্ছেন আইএসের প্রধান?
এর আগে ২০২৯ সালের ২৭ অক্টোবর আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুর পরেও একই প্রশ্ন সামনে এসেছিল। তখন নানা জল্পনা-কল্পনার পর আইএসের প্রধান হিসেবে সামনে এসেছিলেন আবু ইব্রাহিম আল কুরাইশি।
সেই কুরাইশিও নিহত হলেন গত বৃহস্পতিবার। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, গত এক বছর ধরে আবু ইব্রাহিমের অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। তিনি বারবার অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন। সর্বশেষ তিনি যে বাড়িতে থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, আবু ইব্রাহিম আল কুরাইশি এই বাড়িতে গত ১১ মাস ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন।
দুই সপ্তাহ আগে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর হাসাকেহেরের কুর্দি-অধ্যুষিত গোহারান কারাগারে বছরের সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছিল আইএসআইএস। এর কয়েক দিন পরই যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে, যে অভিযানে কুরাইশি সপরিবারে নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউলাইনস ইনস্টিটিউটের একজন বিশ্লেষক নিক হেরাস বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযান থেকে বোঝা যায়, গোহারান কারাগারে হামলার সঙ্গে কুরাইশির সম্পৃক্ততার গোয়েন্দা তথ্য মার্কিনিদের কাছে ছিল। আর তথ্য পাওয়ার জন্য সম্ভবত তুরস্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল তারা। যুক্তরাষ্ট্রের এমন চাপ সৃষ্টি করা মোটেও অবাক করা কোনো বিষয় নয়।’
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম এলাকায় তুরস্কের যথেষ্ট আধিপত্য রয়েছে। ধারণা করা হয়, এই অঞ্চলের জিহাদি সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক বজায় রেখেছে তুরস্ক। ইদলিব এলাকার বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে তাহরির আল-শাম।
এদিকে আইএসআইএস তাদের ‘খিলাফত’ হারানোর প্রায় তিন বছর পর গোহারান কারাগারে সপ্তাহব্যাপী হামলা চালিয়েছে। তাদের এই হামলা আইএসআইএসের পুনরুত্থানের আশঙ্কা তৈরি করেছিল। সেই আশঙ্কা থেকেই যুক্তরাষ্ট্র অভিযান চালিয়েছে সিরিয়ার ইদলিব এলাকায়। এই এলাকা প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন তাহরির আল-শামের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সেখানেই লুকিয়ে ছিলেন আইএসের প্রধান আবু ইব্রাহিম আল কুরাইশি।
ধারণা করা হচ্ছে, কুরাইশির মৃত্যুর পর নেতৃত্বের সংকটে পড়বে আইএসআইএস। এমন পরিস্থিতিতে কে হবেন আইএসের প্রধান? বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন খানিকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং চারদিকে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে গেছে। তবে আইএসের প্রধান কুরাইশির অবস্থান শনাক্ত করা এবং নিখুঁতভাবে অভিযান পরিচালনা করা মার্কিন ও তাদের মিত্রদের ক্রমবর্ধমান দক্ষতাকেই প্রমাণ করে।
আইএসআইয়ের নেতৃত্বে থাকার সময় কুরাইশি বেশির ভাগ সময় আত্মগোপনে ছিলেন। ইসলামিক স্টেট এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কুরাইশির মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দাবি অনুযায়ী কুরাইশি যদি সত্যিই নিহত হন, তাহলে আইএসকে এখন তাদের নতুন ‘খলিফা’ খুঁজতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরসূরির জন্য কয়েকটি সুস্পষ্ট নাম রয়েছে, তবে পরবর্তী আইএস নেতা সম্ভবত ইদলিবেরই বাসিন্দা হবেন।
একজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
৬ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
৬ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান।
৭ ঘণ্টা আগেভারতের মণিপুর রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ওই রাজ্যটিতে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ২৮৮টি কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
৮ ঘণ্টা আগে