ইরানে হামলা করা থেকে ইসরায়েলকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রকে উপসাগরীয় দেশগুলোর অনুরোধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯: ৩০
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯: ৫৭

ইরানের তেল স্থাপনায় যেন ইসরায়েল হামলা না চালায় বিষয়টি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছে ইরানের প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশগুলো। তাদের আশঙ্কা এমনটা হলে ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলো উপসাগরীয় দেশগুলোর তেল স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে। 

উপসাগরীয় দেশগুলোর তিনটি সরকারি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি জানিয়েছে। সূত্রগুলো জানিয়েছে, নিজেদের ক্ষতি হতে পারে এই আশঙ্কায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতারসহ উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো ইরানের ওপর কোনো আক্রমণের জন্য ইসরায়েলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দিতে অস্বীকার জানিয়েছে এবং বিষয়টি ওয়াশিংটনকে জানিয়েও দিয়েছে।

গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলার পরপরই ইসরায়েল প্রতিজ্ঞা করে বলে, এর জন্য ইরানকে চড়া মূল্য পরিশোধ করতে হবে। জবাবে ইরানও জানায়, ইরানে হামলা হলে এই অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হবে। এই হুমকির পর এই আশঙ্কাও শুরু হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রও হয়তো সরাসরি এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে, তারা ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে চায় না।

উপসাগরীয় দেশগুলোর তরফ থেকে এই আহ্বান এমন এক সময়ে এল যার কিছুদিন আগেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ সফর করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ইরানের আরব প্রতিবেশী দেশগুলোকে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রভাবিত করার জন্য চাপ দিয়েছে। 

ইরান সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও কূটনীতিক রয়টার্সকে বলেছেন, চলতি সপ্তাহে বৈঠকের সময় ইরান সৌদি আরবকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে, ইসরায়েলকে হামলা চালাতে কোনো ধরনের সহায়তা সৌদি আরব দিলে তেহরান রিয়াদের তেল স্থাপনার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। সৌদি আরবে বিশ্লেষক আলি শিহাবি বলেছেন, ‘ইরানিরা বলেছে, যদি উপসাগরীয় দেশগুলো তাদের আকাশসীমা ইসরায়েলের জন্য খুলে দেয়, তাহলে সেটা হবে যুদ্ধের শামিল।’ 

ইরানি ওই কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তেহরান রিয়াদকে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে যে, ইরানে ইসরায়েলের হামলায় সৌদি আরবের সমর্থন থাকলে তেহরান ইরাক বা ইয়েমেনের মতো দেশগুলোতে তার মিত্রদের প্রতিক্রিয়া কী হবে সে বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। 

বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত ওয়াশিংটনের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, উপসাগরীয় দেশগুলোর কর্মকর্তারা ইসরায়েলের প্রত্যাশিত প্রতিশোধ নেওয়ার সম্ভাব্য সুযোগ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করতে মার্কিনিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। 

সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের ফেলো জনাথন প্যানিকফ বলেছেন, ‘ইসরায়েলকে (যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে) বোঝানোর চেষ্টা করার জন্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর উদ্বেগ ইসরায়েলের প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হতে পারে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত