বৈশ্বিক ‘জল সহিংসতার’ এক-চতুর্থাংশের জন্য দায়ী ইসরায়েল, ভুক্তভোগী ফিলিস্তিনিরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১৭: ২৭
আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ৩৬

বিশ্বজুড়ে জল বা পানিকে কেন্দ্র করে যত সহিংসতা ঘটেছে, তার এক-চতুর্থাংশ একাই সংঘটিত করেছে ইসরায়েল। আর এর শিকার পুরোপুরিই ফিলিস্তিন। ওয়ার্ল্ড ওয়াটারের প্রতিবেদন ওয়াটার কনফ্লিক্ট ক্রনোলজির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ। 

ওয়াটার কনফ্লিক্ট ক্রনোলজি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি পানি সরবরাহ লাইনগুলোর ওপর যেসব হামলা চালিয়েছে, তা বৈশ্বিক জল সহিংসতার এক-চতুর্থাংশ। প্রতিবেদন অনুসারে, বছরজুড়ে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে মিলে নিয়মিত অধিকৃত পশ্চিম তীরে পানির অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে আক্রমণ চালায়। 

জাতিসংঘের প্রতিবেদন, প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত ও নিজস্ব সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, গত বছর ইসরায়েলিরা ৯০টিরও বেশি জলীয় অবকাঠামোতে—কূপ, পানির পাম্প, সেচব্যবস্থা—হামলা চালিয়ে ধ্বংস অথবা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে শারেই তিকভার ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা বিষাক্ত পানি ব্যবহার করে ফিলিস্তিনি অঞ্চল কালকিলিয়ার জলপাইবাগান ও ফসলি জমিতে বিষ ছড়িয়ে দিয়েছিল। পরে নভেম্বরে এক হামলায় বসতি স্থাপনকারীরা আবাসিক এলাকা ও স্কুলে পানি সরবরাহের জন্য নির্ধারিত পাইপলাইন ভেঙে ফেলেছিল। যাতে এলাকাটি ফিলিস্তিনি পরিবারের জন্য বসবাস অযোগ্য হয়ে ওঠে। 

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণের পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে কারণে ছিটমহলটির বেশির ভাগ জলীয় অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে অঞ্চলটির প্রধান পানি পরিশোধনাগার বন্ধ হয়ে গেছে। এই কেন্দ্রটি প্রায় ১০ লাখ মানুষকে পানি সরবরাহ করে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত