গাজায় কমেছে ত্রাণ সরবরাহ, খাবার ট্রাক ও বেকারির সামনে ক্ষুধার্তদের ভিড়

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ১৩৪ দিন পেরিয়ে গেছে। এই সময়ে ২৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। বাস্তুহারা হয়েছে গাজায় ২৪ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই। এমন নারকীয় অবস্থায় অঞ্চলটিতে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা ব্যাপক কমেছে। ক্ষুধার তাড়নায় মানুষ ভিড় করছেন ত্রাণবাহী ট্রাক ও শহরটির বেকারিগুলোতে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদক হানি আল-শায়ের গাজা-মিসর সীমান্তে কারাম আবু সালেম ক্রসিং থেকে সরেজমিনে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছেন, চলতি মাসে এখন পর্যন্ত গত মাসের তুলনায় গড়ে ত্রাণবাহী ট্রাকের পরিমাণ অনেক কম প্রবেশ করেছে। 

ক্রসিংয়ে থাকা গাজা ও মিসরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মূলত এসব সীমান্তের কাছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবার এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা বিক্ষোভ করায় ত্রাণের সরবরাহে এই কমতি। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, ত্রাণ সংকটের কারণে গাজার মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হবে। 

গাজায় ত্রাণের পরিমাণ এতটাই কমে এসেছে যে, তা গত মাসের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। কারাম আবু সালেম ক্রসিং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত গাজায় গড়ে ১১০টি করে ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। যেখানে আগের মাসে এই সংখ্যা ছিল গড়ে ২০০। 

এদিকে, এরই মধ্যে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কমে যাওয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে স্থানীয়দের ওপর। খাবার সংকটের কারণে ত্রাণবাহী ট্রাক দেখলেই একসঙ্গে ছুটে যাচ্ছেন সবাই। অথচ সবাইকে সেই ট্রাক থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া শহরের বেকারিগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। 

অপরদিকে, গাজায় মানবিক সংকট তীব্র হতে থাকলেও অঞ্চলটিতে যুদ্ধবিরতি মানতে নারাজ ইসরায়েল। এমনকি আন্তর্জাতিক চাপ থাকার পরও গাজায় শরণার্থীদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়স্থল রাফাহেও অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে দেশটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত