অনলাইন ডেস্ক
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ। তাদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন অঙ্গ হারিয়েছেন এবং ২ হাজারের বেশি মানুষ তাদের মেরুদণ্ডে এবং মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কাজ করা লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজার আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া দক্ষিণ গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সম্মেলনে বলেন, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসনে যারা অঙ্গ হারিয়েছেন তাদের বেশির ভাগই শিশু। গণহত্যা শুরুর পর থেকে ৪ হাজারের বেশি মানুষ তাদের হাত বা পা হারিয়েছেন।’
মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, ‘২ হাজারের বেশি মানুষ এখন মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্কের আঘাতে পঙ্গু হয়ে বিছানায় শুয়ে আছেন এবং তারা জরুরি পুনর্বাসন সেবার প্রয়োজন।’ তিনি আরও জানান, ইসরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণের কারণে হাজার হাজার মানুষ শ্রবণ এবং দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।
আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের পরিচালক আরও বলেন, ‘গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে; কোনো চিকিৎসা সেবা বা সুবিধা নেই। একমাত্র পুনর্বাসন হাসপাতাল হামাদ হাসপাতাল এবং গাজার প্রস্থেটিকস সেন্টার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।’
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার জাতিসংঘের ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ—এর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি গাজার পরিস্থিতিকে ‘প্রতিবন্ধিতার মহামারি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। সংস্থাটি সতর্ক করেছে যে, আহতদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন সেবার প্রয়োজন হবে, যার মধ্যে অঙ্গচ্ছেদ ও মেরুদণ্ডের আঘাতের চিকিৎসা অন্তর্ভুক্ত।
ইউএনআরডব্লিউএ—এর এই তথ্য গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী সিগ্রিড কাগের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিবেদনে কাগ উল্লেখ করেছিলেন, গাজায় ২২ হাজারের বেশি মানুষ এমনভাবে আহত হয়েছেন যাদের জীবন আর কোনো দিন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না। এর মধ্যে ১৩ থেকে ১৭ হাজার ফিলিস্তিনির অঙ্গ এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা কখনোই কোনো উপায়েই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে না।
গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে অঞ্চলটি ৪৪ হাজার ৬০০—এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু এবং প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার জন আহত হয়েছেন।
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই ইসরায়েলি গণহত্যা আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখোমুখি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কর্মকর্তারা এই আক্রমণ এবং ত্রাণ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করার ঘটনাগুলোকে একটি জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এর আগে, গত ২১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করার অপরাধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এ ছাড়া, ইসরায়েল গাজায় তাদের বিধ্বংসী যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ। তাদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন অঙ্গ হারিয়েছেন এবং ২ হাজারের বেশি মানুষ তাদের মেরুদণ্ডে এবং মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কাজ করা লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজার আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া দক্ষিণ গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সম্মেলনে বলেন, ‘ইসরায়েলি আগ্রাসনে যারা অঙ্গ হারিয়েছেন তাদের বেশির ভাগই শিশু। গণহত্যা শুরুর পর থেকে ৪ হাজারের বেশি মানুষ তাদের হাত বা পা হারিয়েছেন।’
মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, ‘২ হাজারের বেশি মানুষ এখন মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্কের আঘাতে পঙ্গু হয়ে বিছানায় শুয়ে আছেন এবং তারা জরুরি পুনর্বাসন সেবার প্রয়োজন।’ তিনি আরও জানান, ইসরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণের কারণে হাজার হাজার মানুষ শ্রবণ এবং দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।
আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের পরিচালক আরও বলেন, ‘গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে; কোনো চিকিৎসা সেবা বা সুবিধা নেই। একমাত্র পুনর্বাসন হাসপাতাল হামাদ হাসপাতাল এবং গাজার প্রস্থেটিকস সেন্টার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।’
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার জাতিসংঘের ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ—এর কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি গাজার পরিস্থিতিকে ‘প্রতিবন্ধিতার মহামারি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। সংস্থাটি সতর্ক করেছে যে, আহতদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসন সেবার প্রয়োজন হবে, যার মধ্যে অঙ্গচ্ছেদ ও মেরুদণ্ডের আঘাতের চিকিৎসা অন্তর্ভুক্ত।
ইউএনআরডব্লিউএ—এর এই তথ্য গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী সিগ্রিড কাগের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিবেদনে কাগ উল্লেখ করেছিলেন, গাজায় ২২ হাজারের বেশি মানুষ এমনভাবে আহত হয়েছেন যাদের জীবন আর কোনো দিন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না। এর মধ্যে ১৩ থেকে ১৭ হাজার ফিলিস্তিনির অঙ্গ এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা কখনোই কোনো উপায়েই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে না।
গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে অঞ্চলটি ৪৪ হাজার ৬০০—এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু এবং প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার জন আহত হয়েছেন।
গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই ইসরায়েলি গণহত্যা আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখোমুখি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কর্মকর্তারা এই আক্রমণ এবং ত্রাণ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করার ঘটনাগুলোকে একটি জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এর আগে, গত ২১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করার অপরাধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এ ছাড়া, ইসরায়েল গাজায় তাদের বিধ্বংসী যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ায় এক নিরাপত্তা চৌকিতে বোমা হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ মিনিট আগেফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আরব দেশগুলো। গতকাল মঙ্গলবার কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি আরব সম্মেলনে বিকল্প প্রস্তাবটি উত্থাপন করে মিসর; যা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে মিসরের...
১৯ মিনিট আগেহোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে ব্যাপক বাগ্বিতণ্ডার পর দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে যাওয়া খনিজ চুক্তি ভেস্তে গিয়েছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসন ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা ফের সেই খনিজ সম্পদ চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিকটতম প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকো তাদের পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঐতিহাসিক শুল্ক আরোপের কঠোর সমালোচনা করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই ব্যাপক শুল্ক নীতি মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে। একইসঙ্গে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপরও শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে বেইজিং
৯ ঘণ্টা আগে