গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলা, ৫ মাসের শিশুসহ ১৩ নারী নিহত 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪, ১৪: ০৬
আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪, ১৪: ৫৯

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গাজা উপত্যকায় হামলা তীব্রতর করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলায় পাঁচ মাস বয়সী শিশুসহ অন্তত ১৩ জন নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ধ্বংস হয়েছে রাফাহের একটি আবাসিক ভবন। 

নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের ওই ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল প্রায় ২১ জন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ছিল—পাঁচ মাস বয়সী শিশু জেইনা ও ছয় বছর বয়সী ওমর। 

নিহত এক শিশুর দাদা সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, ওই ঘরের মধ্যে এখন শুধু তিনিই জীবিত আছেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় এখন আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই। এক ইঞ্চি জায়গাও এখানে নিরাপদ নয়। ইসরায়েলিরা মিথ্যা বলছে। আমাদের বলা হয়েছিল গাজার উত্তরাঞ্চল নিরাপদ। এরপর আমাদের এখানে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়। আমরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। এই ঘরে যারা ছিল, সবাই ছিল নারী ও শিশু।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আদালত বা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন বলতে কিছুই নেই। এ সবই মিথ্যা। দুর্বলের বিরুদ্ধে সবল আর নিপীড়িতদের বিরুদ্ধে অত্যাচারীদের সমর্থন দেওয়ার জন্যই এসব নামের সৃষ্টি।’

এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে অপুষ্টির কারণে এক শিশু ও তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এতে ক্ষুধামৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫। 

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কর্মীদের কাছ থেকে নির্যাতনের মুখে হামাসের সঙ্গে যোগসূত্রের মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ তোলার পর জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থায় অর্থায়ন পুনর্বহাল করেছে কানাডা ও সুইডেন। হামাসের প্রধান হানিয়ে ইসরায়েল সমর্থকদের গাজায় ‘জঘন্য এ যুদ্ধ’ বন্ধ করার আহ্বান জানানোর পরই যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা।  

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৩০ হাজার ৯৬০ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ৭২ হাজার ৫২৪ জন ফিলিস্তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত