ইয়েমেনে হামলার জবাবে মার্কিন জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল হুতিরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১: ২০
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১: ২৭

ইয়েমেনে মার্কিন বাহিনীর হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। গত রোববার (১৪ জানুয়ারি) লোহিত সাগরে এ হামলা চালানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুসারে, লোহিত সাগরের হুদায়দাহ উপকূলে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস লাবুনকে লক্ষ্য করে একটি অ্যান্টি–শিপ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধবিমান ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করে। 

গত রোববার বিকেলের এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। 

হুতিদের সামরিক সক্ষমতা দুর্বল করতে ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে যৌথ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এর পরেই মার্কিন জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুতিরা। লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী পণ্যবাহী জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী। 

গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ইয়েমেনের অস্ত্রাগার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ প্রায় ৩০টি স্থানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এর পরদিন শনিবার হুতিদের র‍্যাডার সাইট লক্ষ্য করে আবারও হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ অব্যাহত রাখতে ভবিষ্যতে আরও পদক্ষেপ নিতে পিছপা হব না।’ 

যুক্তরাজ্যও বলছে, তারা হুতিদের বিরুদ্ধে আরও পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। 

গত রোববার বিশিষ্ট হুতি সমর্থক হুসাইন আল-বুখাইতি বিবিসিকে বলেন, ইয়েমেনের ওপর হামলা চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করবে হুতি যোদ্ধারা। 

রাজনৈতিক ও সামরিক গোষ্ঠী হুতি ইয়েমেনের রাজধানীসহ বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ইরান থেকে অস্ত্র পাওয়া এ গোষ্ঠীটি হামাসের প্রধান মিত্র। 

গত ১৯ নভেম্বর থেকেই লোহিত সাগরের বাণিজ্য জাহাজগুলো লক্ষ্য করে অন্তত ২৭টি হামলা চালিয়েছে হুতিরা। লোহিত সাগরের এ পথটি বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের প্রধান একটি রুট। 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু করার পর ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলগামী এবং ইসরায়েলের সব জাহাজে হামলা চালানোর ঘোষণা দেয় হুতিরা। তবে, এ বাহিনী এমন কিছু জাহাজেও হামলা করে বসে যার ইসরায়েলের সঙ্গে স্পষ্ট কোনো সম্পর্ক নেই। 

হামলাগুলোর কারণে প্রধান পণ্য পরিবহন কোম্পানিগুলো এ পথের বিকল্প হিসেবে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দীর্ঘ পথ ব্যবহার করা শুরু করেছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত