অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বিষয়টি দেশটির বাশার আল-আসাদ সরকারের জন্য একটি বড় সংকট তৈরি করেছে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা, বিশেষ করে ইসলামপন্থী দল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই দুটি বড় শহর দখল করেছে। তারা এখন হোমস শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কৌশলগত দিক থেকে এই শহরটি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক এবং পশ্চিমাঞ্চলের আসাদপন্থী এলাকাগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কেন্দ্রবিন্দু।
শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, হোমস সিরিয়ার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর। কারণ দেশটির পশ্চিমে আসাদ পরিবারের সমর্থকদের শক্ত ঘাঁটি এবং দক্ষিণে রাজধানী দামেস্কে যাওয়ার পথের মধ্যে পড়ে এই শহরটি। তাই হোমস দখলে নিলে তা বিদ্রোহীদের জন্য একটি বড় কৌশলগত জয় হবে। বিদ্রোহীদের এই অগ্রগতি আসাদের পতনও ডেকে আনতে পারে।
এইচটিএস নেতা আবু মোহাম্মদ আল-গোলানি একটি সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেছেন, তাদের লক্ষ্য আসাদ শাসনকে উৎখাত করা।
এদিকে সিরিয়ান সেনাবাহিনী বর্তমানে খুব ভালো অবস্থায় নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি। সৈন্যরা দীর্ঘদিন ধরেই কম বেতন এবং দুর্বল সরঞ্জামের অভাবে হতাশ। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সেনাবাহিনীর বেতন ৫০ শতাংশ বাড়ানোর নির্দেশ দিলেও, এটি পরিস্থিতি পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, আসাদের প্রধান দুই মিত্র রাশিয়া ও ইরান তাঁর শাসন টিকিয়ে রাখতে অতীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর মধ্যে রাশিয়া সিরিয়ার উপকূলীয় শহর টারতুসে অবস্থিত তাদের নৌ ঘাঁটি রক্ষার স্বার্থে আসাদকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সামরিক শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় তাদের উপস্থিতি দুর্বল হতে পারে।
অন্যদিকে ইরান অতীতে আসাদকে সামরিক সহায়তা প্রদান করলেও বর্তমানে তারা সরাসরি সংঘাতে জড়াতে আগ্রহী নয়। কারণ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গেরিলারা আগের তুলনায় অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে।
আসাদ শাসন টিকে থাকার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাব। এইচটিএস তুরস্ক-সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি এবং কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনীগুলোর প্রত্যেকে ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এমনকি ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে তাদের শক্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করতে পারে।
আসাদ এখনো কিছু সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সমর্থন পাচ্ছেন। বিশেষত তার নিজস্ব আলাউইত সম্প্রদায়, যারা এইচটিএস-এর মতো জিহাদিদের কাছে ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কিত।
বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ প্রধানত রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্কের মতো প্রধান আন্তর্জাতিক শক্তির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। অতীতে তারা সিরিয়ার বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে সমঝোতায় পৌঁছেছিল। তবে সাম্প্রতিক অপ্রত্যাশিত প্রেক্ষাপট তাদের নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য করতে পারে।
সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বিষয়টি দেশটির বাশার আল-আসাদ সরকারের জন্য একটি বড় সংকট তৈরি করেছে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা, বিশেষ করে ইসলামপন্থী দল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই দুটি বড় শহর দখল করেছে। তারা এখন হোমস শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কৌশলগত দিক থেকে এই শহরটি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক এবং পশ্চিমাঞ্চলের আসাদপন্থী এলাকাগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কেন্দ্রবিন্দু।
শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, হোমস সিরিয়ার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর। কারণ দেশটির পশ্চিমে আসাদ পরিবারের সমর্থকদের শক্ত ঘাঁটি এবং দক্ষিণে রাজধানী দামেস্কে যাওয়ার পথের মধ্যে পড়ে এই শহরটি। তাই হোমস দখলে নিলে তা বিদ্রোহীদের জন্য একটি বড় কৌশলগত জয় হবে। বিদ্রোহীদের এই অগ্রগতি আসাদের পতনও ডেকে আনতে পারে।
এইচটিএস নেতা আবু মোহাম্মদ আল-গোলানি একটি সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত করেছেন, তাদের লক্ষ্য আসাদ শাসনকে উৎখাত করা।
এদিকে সিরিয়ান সেনাবাহিনী বর্তমানে খুব ভালো অবস্থায় নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি। সৈন্যরা দীর্ঘদিন ধরেই কম বেতন এবং দুর্বল সরঞ্জামের অভাবে হতাশ। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সেনাবাহিনীর বেতন ৫০ শতাংশ বাড়ানোর নির্দেশ দিলেও, এটি পরিস্থিতি পাল্টানোর জন্য যথেষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, আসাদের প্রধান দুই মিত্র রাশিয়া ও ইরান তাঁর শাসন টিকিয়ে রাখতে অতীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এর মধ্যে রাশিয়া সিরিয়ার উপকূলীয় শহর টারতুসে অবস্থিত তাদের নৌ ঘাঁটি রক্ষার স্বার্থে আসাদকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সামরিক শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় তাদের উপস্থিতি দুর্বল হতে পারে।
অন্যদিকে ইরান অতীতে আসাদকে সামরিক সহায়তা প্রদান করলেও বর্তমানে তারা সরাসরি সংঘাতে জড়াতে আগ্রহী নয়। কারণ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গেরিলারা আগের তুলনায় অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে।
আসাদ শাসন টিকে থাকার পেছনে অন্যতম কারণ ছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাব। এইচটিএস তুরস্ক-সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি এবং কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনীগুলোর প্রত্যেকে ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এমনকি ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে তাদের শক্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করতে পারে।
আসাদ এখনো কিছু সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সমর্থন পাচ্ছেন। বিশেষত তার নিজস্ব আলাউইত সম্প্রদায়, যারা এইচটিএস-এর মতো জিহাদিদের কাছে ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কিত।
বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ প্রধানত রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্কের মতো প্রধান আন্তর্জাতিক শক্তির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। অতীতে তারা সিরিয়ার বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে সমঝোতায় পৌঁছেছিল। তবে সাম্প্রতিক অপ্রত্যাশিত প্রেক্ষাপট তাদের নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য করতে পারে।
ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মিনাস জেরাইস রাজ্যের একটি মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস ট্রাককে ধাক্কা দিলে ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। মিনাস জেরাইস ফায়ার ডিপার্টমেন্টের বরাতে বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘটনাস্থল থেকে আহত ১৩ জনকে তেওফিলো ওতোনি শহরের কাছাকাছি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তারা নতুন ই-ভিসা সিস্টেমে যাচ্ছে। ৯৪টি রয়্যাল থাই দূতাবাস ও কনস্যুলেট জেনারেল অফিস একসঙ্গে এই সেবা দেবে।
১৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন কংগ্রেস শুক্রবার মধ্যরাতে শাটডাউন ঠেকাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করেছে। দীর্ঘ আলোচনার পর পাস হওয়া এই বিলটি ফেডারেল সংস্থাগুলোর অর্থায়ন আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে। মধ্যরাতের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সিনেটররা প্রথাগত নিয়ম এড়িয়ে দ্রুত ভোট দেন।
১৬ ঘণ্টা আগে‘অবৈধ বাংলাদেশি’দের জন্য ভারতে ডিটেনশন সেন্টার বা বন্দিশালা তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবৈধ বাংলাদেশিদের জন্য মুম্বাইয়ে ভালো ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে