অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কর্মীদের বিরুদ্ধে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় সংস্থাটিতে অর্থায়ন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ। তহবিল স্থগিতের সিদ্ধান্তে শীর্ষ দাতা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দিয়ে দেশগুলো বলেছে, ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থায় অর্থায়ন দেওয়ার মাধ্যমে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় ইউএনআরডব্লিউএর একাধিক কর্মী জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি সাংবাদিকদের এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, সংস্থাটি ইতিমধ্যে অভিযোগ আসা কর্মীদের চাকরিচ্যুত করেছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলায় ইউএনআরডব্লিউএর বেশ কয়েকজন কর্মী জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। সংস্থার মানবিক সহায়তা প্রদানের সক্ষমতা রক্ষা করতে আমি এই সদস্যদের সঙ্গে অবিলম্বে চুক্তি বাতিল করার এবং সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য শিগগিরই তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
যুক্তরাজ্য সরকার এ প্রসঙ্গে বলেছে, তারা ইসরায়েলের অভিযোগে শঙ্কিত। ইউরোপের এই দেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইতালি, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড জাতিসংঘের এই সংস্থাকে অর্থায়ন স্থগিত করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ২৭ সদস্যের ব্লকটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে আরও পদক্ষেপের নেওয়ার কথা বিবেচনা করবে।
আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে অবশ্য ইউএনআরডব্লিউএর প্রতি অব্যাহত সমর্থন প্রকাশ করে বলেছে যে, সংস্থাটি গাজায় বাস্তুচ্যুত এবং মানবিকভাবে বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, সংস্থাটির ১২ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গাজায় ইউএনআরডব্লিউএর ১৩ হাজার কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় সবাই ফিলিস্তিনি স্কুলের শিক্ষক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ত্রাণকর্মী।
২০২২ সালে ইউএনআরডব্লিউএর শীর্ষস্থানীয় দাতাদের মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। সংস্থাটি বারবারই বলে আসছে, গাজায় তাদের মানবিক সহায়তা পরিচালনার সক্ষমতা ফুরিয়ে আসছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটির প্রতি যেসব দেশ সমর্থন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাদের প্রশংসা করেছে ইসরায়েল। গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ফিলিস্তিনে সংস্থাটির কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে চায় বলেও জানিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির পর লক্ষাধিক ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় ফিলিস্তিনিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক পরিষেবা এবং চাকরি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫০ সালে কার্যক্রম শুরু করে ইউএনআরডব্লিউএ। সংস্থাটি গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়ার ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রদান করে।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কর্মীদের বিরুদ্ধে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় সংস্থাটিতে অর্থায়ন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ। তহবিল স্থগিতের সিদ্ধান্তে শীর্ষ দাতা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দিয়ে দেশগুলো বলেছে, ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থায় অর্থায়ন দেওয়ার মাধ্যমে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় ইউএনআরডব্লিউএর একাধিক কর্মী জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি সাংবাদিকদের এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, সংস্থাটি ইতিমধ্যে অভিযোগ আসা কর্মীদের চাকরিচ্যুত করেছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলায় ইউএনআরডব্লিউএর বেশ কয়েকজন কর্মী জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। সংস্থার মানবিক সহায়তা প্রদানের সক্ষমতা রক্ষা করতে আমি এই সদস্যদের সঙ্গে অবিলম্বে চুক্তি বাতিল করার এবং সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য শিগগিরই তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
যুক্তরাজ্য সরকার এ প্রসঙ্গে বলেছে, তারা ইসরায়েলের অভিযোগে শঙ্কিত। ইউরোপের এই দেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইতালি, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড জাতিসংঘের এই সংস্থাকে অর্থায়ন স্থগিত করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ২৭ সদস্যের ব্লকটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে আরও পদক্ষেপের নেওয়ার কথা বিবেচনা করবে।
আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে অবশ্য ইউএনআরডব্লিউএর প্রতি অব্যাহত সমর্থন প্রকাশ করে বলেছে যে, সংস্থাটি গাজায় বাস্তুচ্যুত এবং মানবিকভাবে বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, সংস্থাটির ১২ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গাজায় ইউএনআরডব্লিউএর ১৩ হাজার কর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় সবাই ফিলিস্তিনি স্কুলের শিক্ষক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং ত্রাণকর্মী।
২০২২ সালে ইউএনআরডব্লিউএর শীর্ষস্থানীয় দাতাদের মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। সংস্থাটি বারবারই বলে আসছে, গাজায় তাদের মানবিক সহায়তা পরিচালনার সক্ষমতা ফুরিয়ে আসছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটির প্রতি যেসব দেশ সমর্থন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাদের প্রশংসা করেছে ইসরায়েল। গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ফিলিস্তিনে সংস্থাটির কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে চায় বলেও জানিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির পর লক্ষাধিক ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় ফিলিস্তিনিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক পরিষেবা এবং চাকরি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫০ সালে কার্যক্রম শুরু করে ইউএনআরডব্লিউএ। সংস্থাটি গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়ার ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রদান করে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাঁর দেশ ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে নতুন হাইপারসনিক ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাবে। অর্থাৎ, রাশিয়া ইউক্রেনে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যাবে।
২৮ মিনিট আগেএকজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
১০ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
১০ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান।
১১ ঘণ্টা আগে