হিরোশিমার পারমাণবিক বোমার দেড় গুণ ধ্বংসক্ষমতার বিস্ফোরক গাজায় ফেলেছে ইসরায়েল 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ২১: ৩৫
Thumbnail image

গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণ শুরু হয়েছে গত ৭ অক্টোবর। এরপর পেরিয়ে গেছে ২৭ দিন। নির্বিচারে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। এখন শুরু করেছে স্থল অভিযানও। 

গাজার প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগের বরাত দিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, মাত্র ২৪ দিনে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী ১৮ হাজার টনের বেশি বোমা ফেলেছে। গত ৩০ অক্টোবর গাজার জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য দেয়। 

সে হিসাবে ২৪ দিনে গাজার প্রতি বর্গকিলোমিটারে গড়ে অন্তত ৫০ টন বা ৫০ হাজার কেজি বিস্ফোরক ফেলেছে ইসরায়েল। এই পরিমাণ বিস্ফোরক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে অন্তত দেড় গুণ বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম। 

জনসংযোগ বিভাগের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২৩ থেকে ৩০ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অন্তত ১২ হাজার টন বোমা ফেলেছে। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমা যে পরিমাণ ক্ষতিসাধনে সক্ষম, তার প্রায় সমান। 

এদিকে, গাজার জনসংযোগ বিভাগের প্রধান সালামা মারুফ বলেন, ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রায় ১০ হাজার মানুষ হয় নিহত, নয়তো নিখোঁজ হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৮৫ সরকারি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ৪৭টি মসজিদ,৩টি গির্জাও বিধ্বস্ত হয়েছে। আবাসিক ভবন বিধ্বস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ। এর মধ্যে ৩২ হাজার বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। 

সালামা মারুফ আরও জানান, ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০৩টি স্কুল। এগুলোর মধ্যে ৪৫টি স্কুলে আর কোনো ধরনের কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলার তীব্রতার কারণে, এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়নি। বাস্তবিক ক্ষয়ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত