অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ার একটি খ্রিষ্টান-অধ্যুষিত শহরে বড়দিনের একটি গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) পোড়ানোর ঘটনায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নতুন ইসলামপন্থী শাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় সুকাইলাবিয়া শহরের প্রধান চত্বরে একটি ক্রিসমাস ট্রিতে আগুন জ্বলছে এবং আশপাশে মুখোশধারী ব্যক্তিরা ঘোরাফেরা করছেন।
সম্প্রতি আসাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে সিরিয়ার নেতৃত্ব নেওয়া ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) জানিয়েছে, ওই ঘটনায় বিদেশি যোদ্ধাদের আটক করা হয়েছে।
এইচটিএস প্রতিনিধিরা সিরিয়ার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, এই ঘটনার পর সিরিয়া জুড়ে, বিশেষ করে দামেস্ক এবং হামা প্রদেশের সুকাইলাবিয়ায় হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়—দুজন মুখোশধারী ব্যক্তি রাতের বেলায় গাছে আগুন দিচ্ছে। পরের দিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করতে জড়ো হয়েছেন।
ঘটনার পর এইচটিএস-এর একজন ধর্মীয় নেতা সুকাইলাবিয়ায় জড়ো হওয়া মানুষের সামনে প্রতিশ্রুতি দেন, গাছটি আবারও নির্মাণ করা হবে। একাত্মতা দেখাতে তিনি একটি ক্রস ধরে রাখেন, যা ইসলামি রক্ষণশীলদের কাছে বিরল ঘটনা।
মঙ্গলবার দামেস্কের কাসা এলাকায় বিক্ষোভকারীরা বিদেশি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন, ‘সিরিয়া স্বাধীন, বিদেশিদের এখানে থাকা উচিত নয়।’
দামেস্কের বাব তুমা এলাকায় বিক্ষোভকারীরা ক্রস এবং সিরিয়ার পতাকা হাতে নিয়ে বলেন, ‘আমরা আমাদের ক্রসের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেব।’
জর্জ নামে একজন বিক্ষোভকারী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘যদি আমাদের দেশে খ্রিষ্টান বিশ্বাস নিয়ে জীবনযাপন করতে না দেওয়া হয়, তাহলে এখানে থাকার কোনো মানে হয় না।’
সিরিয়ায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সম্প্রদায় রয়েছে। যেমন—কুর্দি, আর্মেনীয়, আসিরীয়, খ্রিষ্টান, দ্রুজ, আলাওয়ি শিয়া এবং আরব সুন্নি মুসলিম। মূলত আরব সুন্নি মুসলিমেরাই দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে বাশার আল-আসাদের সরকার পতন ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে আসাদ পরিবারের ৫০ বছরের শাসনের সমাপ্তি ঘটেছে। বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়া এইচটিএস গোষ্ঠী কীভাবে সিরিয়া শাসন করবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
এইচটিএস একসময় সহিংসতা এবং শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা আরও বাস্তবধর্মী ও নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে এই গোষ্ঠীর নেতারা দাবি করেন, তারা সব সিরিয়ানদের জন্য একটি সিরিয়া গড়ে তুলতে চান।
এইচটিএস এখনো জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত। তবে কূটনৈতিক অগ্রগতি হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
গত শুক্রবার বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়া এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারাআর মাথার দাম হিসেবে এক কোটি ডলারের পুরস্কারের ঘোষণাটি বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়ার একটি খ্রিষ্টান-অধ্যুষিত শহরে বড়দিনের একটি গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) পোড়ানোর ঘটনায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নতুন ইসলামপন্থী শাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় সুকাইলাবিয়া শহরের প্রধান চত্বরে একটি ক্রিসমাস ট্রিতে আগুন জ্বলছে এবং আশপাশে মুখোশধারী ব্যক্তিরা ঘোরাফেরা করছেন।
সম্প্রতি আসাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে সিরিয়ার নেতৃত্ব নেওয়া ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) জানিয়েছে, ওই ঘটনায় বিদেশি যোদ্ধাদের আটক করা হয়েছে।
এইচটিএস প্রতিনিধিরা সিরিয়ার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, এই ঘটনার পর সিরিয়া জুড়ে, বিশেষ করে দামেস্ক এবং হামা প্রদেশের সুকাইলাবিয়ায় হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়—দুজন মুখোশধারী ব্যক্তি রাতের বেলায় গাছে আগুন দিচ্ছে। পরের দিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করতে জড়ো হয়েছেন।
ঘটনার পর এইচটিএস-এর একজন ধর্মীয় নেতা সুকাইলাবিয়ায় জড়ো হওয়া মানুষের সামনে প্রতিশ্রুতি দেন, গাছটি আবারও নির্মাণ করা হবে। একাত্মতা দেখাতে তিনি একটি ক্রস ধরে রাখেন, যা ইসলামি রক্ষণশীলদের কাছে বিরল ঘটনা।
মঙ্গলবার দামেস্কের কাসা এলাকায় বিক্ষোভকারীরা বিদেশি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন, ‘সিরিয়া স্বাধীন, বিদেশিদের এখানে থাকা উচিত নয়।’
দামেস্কের বাব তুমা এলাকায় বিক্ষোভকারীরা ক্রস এবং সিরিয়ার পতাকা হাতে নিয়ে বলেন, ‘আমরা আমাদের ক্রসের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেব।’
জর্জ নামে একজন বিক্ষোভকারী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘যদি আমাদের দেশে খ্রিষ্টান বিশ্বাস নিয়ে জীবনযাপন করতে না দেওয়া হয়, তাহলে এখানে থাকার কোনো মানে হয় না।’
সিরিয়ায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সম্প্রদায় রয়েছে। যেমন—কুর্দি, আর্মেনীয়, আসিরীয়, খ্রিষ্টান, দ্রুজ, আলাওয়ি শিয়া এবং আরব সুন্নি মুসলিম। মূলত আরব সুন্নি মুসলিমেরাই দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে বাশার আল-আসাদের সরকার পতন ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে আসাদ পরিবারের ৫০ বছরের শাসনের সমাপ্তি ঘটেছে। বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়া এইচটিএস গোষ্ঠী কীভাবে সিরিয়া শাসন করবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
এইচটিএস একসময় সহিংসতা এবং শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা আরও বাস্তবধর্মী ও নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে এই গোষ্ঠীর নেতারা দাবি করেন, তারা সব সিরিয়ানদের জন্য একটি সিরিয়া গড়ে তুলতে চান।
এইচটিএস এখনো জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত। তবে কূটনৈতিক অগ্রগতি হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
গত শুক্রবার বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়া এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারাআর মাথার দাম হিসেবে এক কোটি ডলারের পুরস্কারের ঘোষণাটি বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরু করার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল রোববার তিনি বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আবারও শুরু করতে প্রস্তুত তাঁর দেশ। এদিকে, হামাস অভিযোগ করেছে, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি স্থগিত করে ইসরায়েল পাঁচ...
২৬ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের অন্তত ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের অনুদান দিয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পে। ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউএসএআইডি সাতটি প্রকল্পে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে।
২ ঘণ্টা আগেবিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) ইউএসএআইডির কার্যক্রম গুটিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এই সংস্থাটিই যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তার প্রধান বিতরণ ব্যবস্থা এবং এটিকে বিদেশে প্রভাব বিস্তারের জন্য মার্কিন ‘সফট পাওয়ার’–এর একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেজার্মানির পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে ফ্রেডরিক মের্ৎসের নেতৃত্বে রক্ষণশীল জোট। কট্টর ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) তাদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসডিপি) তৃতীয় অবস্থানে নেমে গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে