কেবল ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নয়, অপুষ্টিতেও শিশুমৃত্যু বাড়ছে গাজায়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৪, ০৮: ২৯

গাজা উপত্যকায় শুধু ইসরায়েলের বোমা কিংবা গুলিতেই থেমে নেই শিশুর মৃত্যু। টানা পাঁচ মাসের যুদ্ধে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুমৃত্যুর হার অনেকাংশে বেড়েছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফসহ শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েকটি সংস্থা। 

গাজার স্বাস্থ্য সূত্রে আল জাজিরা জানায়, রাফাহ শহরের আবু ইউসুফ আল-নাজ্জার হাসপাতালে এক শিশুর মৃত্যুর পর অপুষ্টি এবং অপর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবার অভাবে মারা যাওয়া ফিলিস্তিনি শিশুর সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। উত্তর গাজা উপত্যকার কামাল আদওয়ান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত রোববার জানায়, অপুষ্টি এবং পানিশূন্যতায় ভোগা ছয় শিশু নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছে। 

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, উত্তর গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছেন। প্রয়োজনীয় পানি ও খাদ্যের অভাবে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে তাঁদের। তবে এতে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে শিশুরা। ফলে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে এসব অঞ্চলের শিশুরা। 

এ ছাড়া গাজায় চিকিৎসার অভাবে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ১৫০ দিনের মধ্যে ১৫৫ টির স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া ৩২টি হাসপাতাল ও ৫৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিষেবা আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অন্তত ১২৬টি অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইসরায়েল। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এ সময়ে গাজায় ৩৬৪ স্বাস্থ্যকর্মীকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকসহ ২৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

এদিকে এক সতর্কবার্তায় ইউনিসেফ জানায়, গাজায় ত্রাণসহায়তা সচল রাখতে সরাসরি হস্তক্ষেপ না করা হলে আরও অনেক শিশু পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিতে মারা যেতে পারে। সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক অ্যাডেল খোদর বলেন, ‘আমরা শিশু মৃত্যুর যে আশঙ্কা করছিলাম, এখন তা-ই ঘটছে গাজায়। যুদ্ধের অবসান না হলে এবং মানবিক ত্রাণের বাধা অবিলম্বে দূর না করা হলে শিশুদের মৃত্যু দ্রুতই আরও বাড়বে।’ 

এমন আশঙ্কার মধ্যে নতুন করে গাজায় সংক্রামক রোগ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, গাজা উপত্যকায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ নানা ধরনের সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এসব রোগীর চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো কোনো সক্ষমতা এখন নেই। ফলে এসব সংক্রামক রোগ দ্রুত ছড়াতে পারে। রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে একটি বিপর্যস্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত