অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের জেনিন শরণার্থী ক্যাম্পে ড্রোন হামলার পাশাপাশি বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল সোমবার শুরু হওয়া এই অভিযান গত ২০ বছরের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় হামলা। এই অভিযানে কমপক্ষে ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি বাহিনীর ১ থেকে ২ হাজার সেনা এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়েছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। গতকাল স্থানীয় সময় বিকেল নাগাদ বন্দুকযুদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সেনারা বলছে, এ অভিযান এখনই থামবে না। আগামী দুই-তিন দিন ধরে চলতে পারে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় আরও ১০০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর পর্যন্ত ড্রোন উড্ডয়নের শব্দের পাশাপাশি শহরজুড়ে বন্দুকযুদ্ধ ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। শহরের ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থীশিবির ঘিরে গড়ে ওঠা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সংগঠন জেনিন ব্রিগেড বলেছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়েছে এবং একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
তবে ইসরায়েলি বাহিনী এ পর্যন্ত সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার কথা বলেছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, তাঁদের লক্ষ্যবস্তু সাধারণ ফিলিস্তিনিরা নয়, বরং জেনিনে এবং শরণার্থীশিবিরে অবস্থানরত জঙ্গি গ্রুপগুলো, যারা ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে বলে দাবি তাঁর।
দুই দশক আগের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর জেনিন শহরে এ ধরনের বড় অভিযানের ঘটনা বিরল। সকালে কমপক্ষে ছয়টি ড্রোন শহরের ওপর ও শরণার্থীশিবিরের আশপাশে উড়তে দেখা গেছে। আধা বর্গকিলোমিটারের কম এলাকার এই শিবিরে প্রায় ১৪ হাজার শরণার্থী গাদাগাদি করে থাকেন।
এই শরণার্থীশিবির ঘিরে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বাড়ছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে জেনিনের মতো শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনিদের হামলায় প্রাণহানির পাশাপাশি ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোতে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের তাণ্ডব চালানোর ঘটনা ঘটেছে।
জেনিনের কিছু রাস্তায় ফিলিস্তিনিরা টায়ার পুড়িয়ে ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। ইসরায়েলি সামরিক জিপের দিকে তরুণ ফিলিস্তিনিরা পাথর ছুড়লে সৈন্যরা পাল্টা গুলি করছে। এ অবস্থায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
এদিকে ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে জেনিন শিবিরটি বন্ধ করে দেওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সগুলোও সেখানে ঢুকতে পারছে না। একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক আল আহমদ রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, পরিস্থিতি এখন আসল যুদ্ধক্ষেত্রের মতো মনে হচ্ছে, অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহত লোকে ভর্তি হয়ে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা জেনিন এলাকায় ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামোর’ ওপর আঘাত হানছে এবং ২০ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ শেতায়েহ বলেছেন, ইসরায়েল ক্যাম্পটি ধ্বংস করে এখানকার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার চেষ্টা করছে।
প্রচণ্ড বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে জেনিন ব্রিগেড নামে একটি ফিলিস্তিনি গ্রুপ জানিয়েছে, তারা তাদের শেষ নিশ্বাস ও বুলেট থাকা পর্যন্ত লড়াই করে যাবে। কয়েকটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গ্রুপ মিলে এই জেনিন ব্রিগেড গঠিত বলে জানা যায়। পশ্চিম তীরের রামাল্লায়ও একটি বিক্ষোভ চলাকালে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
জেনিন শহরের অবস্থান অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তর দিকে এবং এই ক্যাম্প ১৯৫০-এর দশকের শুরুর দিকে স্থাপন করা হয়েছিল, ১৯৪৮-৪৯ সালের যুদ্ধের সময় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য।
গত এক বছরের মধ্যে জেনিনের শরণার্থীশিবিরের ওপর একাধিক ইসরায়েলি সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে, এবং ইসরায়েলিদের লক্ষ্য করে বেশ কিছু গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। এসব হামলায় ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় আরও ৩৬ জন নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের জেনিন শরণার্থী ক্যাম্পে ড্রোন হামলার পাশাপাশি বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল সোমবার শুরু হওয়া এই অভিযান গত ২০ বছরের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর সবচেয়ে বড় হামলা। এই অভিযানে কমপক্ষে ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি বাহিনীর ১ থেকে ২ হাজার সেনা এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়েছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। গতকাল স্থানীয় সময় বিকেল নাগাদ বন্দুকযুদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সেনারা বলছে, এ অভিযান এখনই থামবে না। আগামী দুই-তিন দিন ধরে চলতে পারে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় আরও ১০০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর পর্যন্ত ড্রোন উড্ডয়নের শব্দের পাশাপাশি শহরজুড়ে বন্দুকযুদ্ধ ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। শহরের ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থীশিবির ঘিরে গড়ে ওঠা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সংগঠন জেনিন ব্রিগেড বলেছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়েছে এবং একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
তবে ইসরায়েলি বাহিনী এ পর্যন্ত সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার কথা বলেছে। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন বলেছেন, তাঁদের লক্ষ্যবস্তু সাধারণ ফিলিস্তিনিরা নয়, বরং জেনিনে এবং শরণার্থীশিবিরে অবস্থানরত জঙ্গি গ্রুপগুলো, যারা ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে বলে দাবি তাঁর।
দুই দশক আগের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর জেনিন শহরে এ ধরনের বড় অভিযানের ঘটনা বিরল। সকালে কমপক্ষে ছয়টি ড্রোন শহরের ওপর ও শরণার্থীশিবিরের আশপাশে উড়তে দেখা গেছে। আধা বর্গকিলোমিটারের কম এলাকার এই শিবিরে প্রায় ১৪ হাজার শরণার্থী গাদাগাদি করে থাকেন।
এই শরণার্থীশিবির ঘিরে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বাড়ছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে জেনিনের মতো শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিনিদের হামলায় প্রাণহানির পাশাপাশি ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোতে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের তাণ্ডব চালানোর ঘটনা ঘটেছে।
জেনিনের কিছু রাস্তায় ফিলিস্তিনিরা টায়ার পুড়িয়ে ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। ইসরায়েলি সামরিক জিপের দিকে তরুণ ফিলিস্তিনিরা পাথর ছুড়লে সৈন্যরা পাল্টা গুলি করছে। এ অবস্থায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
এদিকে ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে জেনিন শিবিরটি বন্ধ করে দেওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সগুলোও সেখানে ঢুকতে পারছে না। একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক আল আহমদ রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, পরিস্থিতি এখন আসল যুদ্ধক্ষেত্রের মতো মনে হচ্ছে, অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহত লোকে ভর্তি হয়ে হাসপাতালের দিকে যাচ্ছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা জেনিন এলাকায় ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামোর’ ওপর আঘাত হানছে এবং ২০ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ শেতায়েহ বলেছেন, ইসরায়েল ক্যাম্পটি ধ্বংস করে এখানকার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার চেষ্টা করছে।
প্রচণ্ড বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে জেনিন ব্রিগেড নামে একটি ফিলিস্তিনি গ্রুপ জানিয়েছে, তারা তাদের শেষ নিশ্বাস ও বুলেট থাকা পর্যন্ত লড়াই করে যাবে। কয়েকটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গ্রুপ মিলে এই জেনিন ব্রিগেড গঠিত বলে জানা যায়। পশ্চিম তীরের রামাল্লায়ও একটি বিক্ষোভ চলাকালে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
জেনিন শহরের অবস্থান অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তর দিকে এবং এই ক্যাম্প ১৯৫০-এর দশকের শুরুর দিকে স্থাপন করা হয়েছিল, ১৯৪৮-৪৯ সালের যুদ্ধের সময় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য।
গত এক বছরের মধ্যে জেনিনের শরণার্থীশিবিরের ওপর একাধিক ইসরায়েলি সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে, এবং ইসরায়েলিদের লক্ষ্য করে বেশ কিছু গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। এসব হামলায় ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় আরও ৩৬ জন নিহত হয়েছে।
একজন বাক্প্রতিবন্ধী তরুণকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সৎকারের জন্য চিতায় ওঠানোর ঠিক আগমুহূর্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন রোহিতাশ! দুপুর ২টা নাগাদ চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফ্রিজিং করে রাখা হয়।
৭ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
৭ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ইসরায়েলের ‘‘শেষ এবং রাজনৈতিক মৃত্যু’ হিসাবে অভিহিত করেছে ইরান।
৮ ঘণ্টা আগেভারতের মণিপুর রাজ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে আরও ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ওই রাজ্যটিতে এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ২৮৮টি কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
৯ ঘণ্টা আগে