অনলাইন ডেস্ক
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি এক বর্ধিত পরিবারের ৭৬ জন নিহত হয়েছেন। গাজা শহরের একটি ভবনে শুক্রবারের ওই হামলা ছিল ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ। আজ শনিবার গাজার উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পলিটিকো এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে মার্কিন গণমাধ্যম এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার গাজার দুটি বাড়িতে ইসরায়েলের ওই হামলায় কমপক্ষে ৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েক ডজন একই পরিবারের।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল নিহতদের নামের একটি আংশিক তালিকা প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা যায়, আল-মুগরাবি পরিবারের ১৬ জনই পরিবারটির গোত্রপ্রধান। নিহতদের মধ্যে নারী-শিশুও রয়েছেন।
এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের এক প্রবীণ কর্মী ইসাম আল-মুগরাবি, তাঁর স্ত্রী এবং তাদের পাঁচ সন্তান রয়েছেন।
ইউএন ডেভেলপমেন্টের প্রধান আচিম স্টেইনার বলেছেন, ‘ইসাম এবং তাঁর পরিবারের ক্ষতি আমাদের সবাইকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। এই যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত।’
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েল এ পর্যন্ত আগ্রাসন চালিয়ে ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং এসব হামলায় ৫৩ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
এই সপ্তাহে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলের আকাশ ও স্থল হামলা সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযানগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। গাজার ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন লোকের প্রায় ৮৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত এবং ক্ষুদ্র উপকূলীয় ছিটমহলের বিস্তৃত অংশ গুড়িয়ে দিয়েছে। গাজার ৫ লাখেরও বেশি মানুষ (গাজার মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ) অনাহারে রয়েছে।
ইসরায়েল এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক চাপকে প্রতিহত করেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাজা থেকে আরও ৭ শতাধিক মানুষকে ইসরায়েলে স্থানান্তর করেছে।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করে বিশ্বনেতা হলেও গাজার বিতর্কিত ভূমিকায় বিশ্ব সমর্থন থেকে এখন অনেকটাই বিচ্ছিন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিশ্বব্যাপী নন্দিত হয় যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মিত্রদের একত্র করতে আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলো সামনে এনেছিলেন। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলি চরম বর্বরতার পরও দেশটিকে সামরিক সমর্থন ও সহযোগিতার ফলে সেই ভাবমর্যাদা এখন ম্লান গোটা বিশ্বে। এমনকি বাইডেন এখন নিজ দেশের জনগণের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন। ভোটাররা ব্যাপকভাবে তাঁর এই যুদ্ধ পরিচালনাকে পরিত্যাগ করেছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও ভয়েস অব আমেরিকার।
সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দেওয়া থেকে বিরত ছিল বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়ে উত্থাপিত রেজুলিউশনটি থেকে বিরত থাকলেও সেই ভাবমর্যাদা ফেরেনি।
সাবেক মার্কিন কূটনীতিক বারবারা বোডিন বলেন, ‘আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি।’
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি এক বর্ধিত পরিবারের ৭৬ জন নিহত হয়েছেন। গাজা শহরের একটি ভবনে শুক্রবারের ওই হামলা ছিল ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ। আজ শনিবার গাজার উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পলিটিকো এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে মার্কিন গণমাধ্যম এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার গাজার দুটি বাড়িতে ইসরায়েলের ওই হামলায় কমপক্ষে ৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েক ডজন একই পরিবারের।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল নিহতদের নামের একটি আংশিক তালিকা প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা যায়, আল-মুগরাবি পরিবারের ১৬ জনই পরিবারটির গোত্রপ্রধান। নিহতদের মধ্যে নারী-শিশুও রয়েছেন।
এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের এক প্রবীণ কর্মী ইসাম আল-মুগরাবি, তাঁর স্ত্রী এবং তাদের পাঁচ সন্তান রয়েছেন।
ইউএন ডেভেলপমেন্টের প্রধান আচিম স্টেইনার বলেছেন, ‘ইসাম এবং তাঁর পরিবারের ক্ষতি আমাদের সবাইকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। এই যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত।’
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েল এ পর্যন্ত আগ্রাসন চালিয়ে ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং এসব হামলায় ৫৩ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
এই সপ্তাহে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলের আকাশ ও স্থল হামলা সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযানগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। গাজার ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন লোকের প্রায় ৮৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত এবং ক্ষুদ্র উপকূলীয় ছিটমহলের বিস্তৃত অংশ গুড়িয়ে দিয়েছে। গাজার ৫ লাখেরও বেশি মানুষ (গাজার মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ) অনাহারে রয়েছে।
ইসরায়েল এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক চাপকে প্রতিহত করেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাজা থেকে আরও ৭ শতাধিক মানুষকে ইসরায়েলে স্থানান্তর করেছে।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করে বিশ্বনেতা হলেও গাজার বিতর্কিত ভূমিকায় বিশ্ব সমর্থন থেকে এখন অনেকটাই বিচ্ছিন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিশ্বব্যাপী নন্দিত হয় যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মিত্রদের একত্র করতে আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলো সামনে এনেছিলেন। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলি চরম বর্বরতার পরও দেশটিকে সামরিক সমর্থন ও সহযোগিতার ফলে সেই ভাবমর্যাদা এখন ম্লান গোটা বিশ্বে। এমনকি বাইডেন এখন নিজ দেশের জনগণের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন। ভোটাররা ব্যাপকভাবে তাঁর এই যুদ্ধ পরিচালনাকে পরিত্যাগ করেছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও ভয়েস অব আমেরিকার।
সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দেওয়া থেকে বিরত ছিল বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়ে উত্থাপিত রেজুলিউশনটি থেকে বিরত থাকলেও সেই ভাবমর্যাদা ফেরেনি।
সাবেক মার্কিন কূটনীতিক বারবারা বোডিন বলেন, ‘আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা তথা দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার ট্রাম্প এই বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যেখানে ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৮ মিনিট আগেস্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো ঘোষণা করেছেন যে, তাঁর দেশ ইউক্রেনকে আর কোনো সামরিক বা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে না। গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার এক খোলা চিঠিতে ফিকো স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তাঁর সরকার ইউক্রেনকে এমন কোনো সহায়তা দেবে না, যা দেশটিকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম করবে।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত এক বৈঠকের পর যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দেখা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ডাউনিং স্ট্রিটে এক বৈঠকে শেষে স্টারমার জানালেন, জেলেনস্কি ‘যুক্তরাজ্যের পূর্ণ সমর্থন’ পাচ্ছেন। প্রত্যুত্তরে জেলেনস্কি...
১ ঘণ্টা আগেআমাদের মসজিদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ভাঙেনি। আমরা এখনো ধ্বংসস্তূপে, তাঁবুর নিচে তারাবির নামাজ পড়ব। আমরা আমাদের সব আশা নিয়ে দু’আ করব, কোরআন তিলাওয়াতে সান্ত্বনা খুঁজব, এই বিশ্বাস নিয়ে যে, আমাদের সব কষ্টের প্রতিদান আল্লাহ দেবেন।
১ ঘণ্টা আগে