ইমরান ‘না’ বললেও তাঁর দলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা দেখছে পিপিপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ২২
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৪৩

৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিলম্বিত ফলাফলে দেখা গেছে, এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ৯২টি আসনে জয়লাভ করেছে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৭৫ আসন পেয়ে এরপরই অবস্থান করছে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন। আর বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি নিশ্চিত করেছে ৫৪টি আসন।

পাকিস্তানের সরকার গঠনের জন্য ১৩৪টি আসন বাধ্যতামূলক হওয়ায় দলগুলোকে নিশ্চিতভাবেই জোট সরকার গঠন করতে হবে। এখানেই সবচেয়ে বড় ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে ভোটের মাঠে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিলাওয়ালের পিপিপি। কারণ বর্তমান প্রেক্ষাপটে পিপিপিকে ছাড়া কোনো দলই সরকার গঠন করতে পারবে না, যেহেতু নওয়াজ আর ইমরানের দলের মধ্যে জোট গঠনের কোনো সম্ভাবনাই দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

সুবিধাজনক এমন পরিস্থিতির মধ্যে একটি জোট সরকার গঠনের জন্য পিপিপির নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই নওয়াজের দলের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে। এসব বৈঠকে সরকার গঠনের বিষয়ে দুই দলের ঐকমত্যে পৌঁছানোরও খবর পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি এখনো যে ক্ষমতা ভাগাভাগির দর-কষাকষির মধ্যে আটকে আছে তারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। এমনকি দর-কষাকষি না মিললে পিপিপির নেতারা ইমরান খানের পিটিআইয়ের সঙ্গেও জোট করা যায় কি না সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। 

বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার দুপুরে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পিপিপি সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ের স্রোতকে স্বীকার করে। এমনকি পিটিআইয়ের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে দলটি।

এ অবস্থায় পিটিআইয়ের সঙ্গে ব্যাটে-বলে মিল না পড়লে নওয়াজের পিএমএল-এনের সঙ্গেই জোট গড়বে বিলাওয়ালের পিপিপি। এ ক্ষেত্রে ইমরানের দলের সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছে পিপিপি নেতারা। উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

এদিকে দ্য ট্রিবিউনেরই ধারাবাহিক আরেকটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ও কারাবন্দী নেতা ইমরান খান নওয়াজের পিএমএল-এন, বিলাওয়ালের পিপিপি এমনকি ১৭ আসনে বিজয়ী হওয়া খালিদ মকবুল সিদ্দিকীর এমকিউএম-পির সঙ্গে কোনো ধরনের জোট গড়তে চান না। মঙ্গলবার দুপুরে পিটিআইয়ের একটি বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এই বিবৃতিতে দলটি জনগণের ম্যান্ডেটকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবারও আহ্বান জানিয়েছে এবং নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেছে। ইমরান খানের প্রতি সমর্থন দেওয়ার জন্য নতুন প্রজন্মের ভোটারদেরও কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত