সাইফার মামলায় ইমরান খানকে জামিন দিলেন সুপ্রিম কোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮: ০৮
Thumbnail image

সাইফার মামলা বা রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে জামিন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আজ শুক্রবার ইমরান খানের আইনজীবীর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

এই দুই নেতার প্রত্যেককে জামানত হিসাবে ১০ লাখ রূপি করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দুজনই এখন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দী। 

রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করার অভিযোগে ইমরান খান দোষী নন বলে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। ইমরান খানের আইনজীবী সালমান সাফদার বলেছেন, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে জেল থেকে এখনই মুক্তি দেওয়া হবে কি না তা স্পষ্ট নয় কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলায় একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আছে। 

 ‘সাইফার মামলা’ নামে পরিচিত এই মামলায় প্রথমবারের মতো ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কোরেশিকে অভিযুক্ত করা হয় ২০২৩ সালের অক্টোবরে। পরে গত নভেম্বরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই মামলাকে ‘অন্তঃসারশূন্য’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং ঘোষণা দিয়েছিলেন, কারাগারে বিশেষ আদালত স্থাপন করে এই মামলা চালানো ‘বেআইনি’। 

এরপর চলতি মাসে ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কোরেশির বিরুদ্ধে এই মামলায় নতুন করে অভিযোগ গঠন করা হয়। তখন ইমরান খান অভিযোগ করে বলেন, তাঁর সরকারকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এর আগেও একই অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তবে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ সময় তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওই সাইফার বা গোপন তারবার্তা পাঠানো হয়েছিল মূলত তাঁর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই। 

গত বছর ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ইসলামাবাদে একটি তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেই তারবার্তা প্রকাশ করার জন্যই অভিযুক্ত হন ইমরান খান। 

২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির দায় তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের পর ৫ আগস্ট থেকে তিনি কারাভোগ করছেন ইমরান খান। তোশাখানা দুর্নীতি মামলা নামে পরিচিত ওই মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ইমরানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য হন। 

নিম্ন আদালতের ওই দণ্ডের বিরুদ্ধে ইমরান খানের আপিল গতকাল বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। আজ সুপ্রিম কোর্টে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করার কথা বলেছিল পিটিআই। 

এদিকে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা দুই দিন বাড়িয়ে ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। নির্বাচনে অযোগ্য হলেও আপিলের সুযোগ থাকায় ইমরান খান নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে পিটিআই। তিনটি আসন থেকে তাঁর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত